শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

জামায়াতে তোলপাড়

স্টালিন সরকার | প্রকাশের সময় : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম

জামায়াতের রাজনীতি নিয়ে হঠাৎ তোলপাড় শুরু হয়েছে। নির্বাচনের ক্যারিকেচা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গন যখন কিংকর্তব্যবিমূঢ়; ধানের শীষের প্রার্থীরা নির্বাচন বাতিলের দাবি জানিয়ে আদালতে মামলা করছেন; তখন জামায়াতের ইসলামী নিয়ে এ তোলপাড়। সর্বত্রই এখন আলোচনায় জামায়াত। দলটি কি আবার নাম পরিবর্তন করছে; নাকি দুইভাগে বিভক্ত হচ্ছে? দলটি কী অতীত ভূমিকার জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইবে; ২০ দলীয় জোট থেকে বেড়িয়ে যাচ্ছে; নাকি রাজনীতিতে নতুক কিছু ঘটতে যাচ্ছে? দলটি নিয়ে চলছে হাজারো প্রশ্ন, আলোচনা-বিতর্ক। উল্লেখ, ২০০৮ সালে নাম পরিবর্তন করে দলটি ইসিতে নিবন্ধন নেয়। অবশ্য আদালতের নির্দেশে সে নিবন্ধন বাতিল হয়ে গেছে।
জামায়াতের রাজনীতি প্রসঙ্গে এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে প্রশ্নত্তোর পর্বে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে আদালতে একটি মামলা রয়েছে। এই মামলার রায় না হওয়া পর্যন্ত দলটিকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে সরকারের কিছু করার নেই। আশা করা যায় শিগগির মামলার রায় হবে তখন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। মামলার রায় ঘোষণার আগে কিছুই করা যাবে না।
বিদেশে অবস্থানরত দলের একজন সিনিয়র নেতার পদত্যাগ করায় মূলত জামায়াত নিয়ে মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় তোলপাড়। কয়েক বছর ধরে নেতাকর্মীদের ওপর দিয়ে সুনামী বয়ে যাওয়া দলটির অবস্থা এখন বিপর্যয়কর। দীর্ঘ ৯ বছর থেকে দলটির প্রকাশ্যে সাংগঠনিক কর্মকান্ড নেই। এ অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধকালীন ভূমিকার জন্য ক্ষমা এবং নতুন নামে দল গঠন নিয়েই দেখা দিয়েছে মতভেদ। দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক পদত্যাগপত্রে দাবি করেছেন, স্বাধীনতাবিরোধী ভূমিকার জন্য ক্ষমা চাইতে তিনি জামায়াতকে একাধিকবার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তার পরামর্শ উপেক্ষা করা হয়েছে। যদিও মৃত্যুদন্ড কার্যকর হওয়া জামায়াতের নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামান কয়েক বছর আগে কারাগার থেকে লেখা এক চিঠিতে দলে সংস্কারের পরামর্শ দিয়েছিলেন।
দীর্ঘ ওই চিঠিতে বিশ্ব রাজনীতির প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে কামরুজ্জামান লিখেছিলেন, প্রশ্ন হচ্ছে আমাদের (জামায়াত) ভবিষ্যৎ কী? এ রিপোর্ট লেখার সময় খবর আসে জামায়াত থেকে পদত্যাগ করেছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের দলের সাধারণ সম্পাদক মো. বখতিয়ার উদ্দিন। তিনি বলেছেন, ‘ভুল’ শোধরাতেই জামায়াত থেকে পদত্যাগ করলাম। জামায়াত নেতাদের পদত্যাগ-বহিষ্কারের ঘটনা নিয়ে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা ও মন্ত্রী বক্তব্য দিয়েছেন। বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে বক্তব্য না দিলেও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বক্তব্য দিয়েছেন। প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলীয় জোটের কয়েকজন নেতা।
বিদেশে অবস্থানরত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক মতপার্থক্যের কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করায় পর বিতর্কের শুরু হয়। তাঁর পদত্যাগের একদিন পর শিবিরের সাবেক সভাপতি ও দলের নেতা মজিবুর রহমান মঞ্জুকে বহিষ্কার করা হয়। মজিবুর রহমান মঞ্জু ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে নিজের বহিষ্কারের খবর জানান। ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ও শিবিরের সাবেক সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জুকে নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে দলটি। কারণ এর আগে ১৯৯৪ সালে যশোর জেলার কেশবপুর আসন থেকে নির্বাচিত জামায়াতের এমপি মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন দল ছেড়ে বিএনপিতে যোগদান করায় দলটি বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছিল। দলের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরতে সারাদেশের তৃর্ণমূলের নেতাকর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে একটি চিঠি পাঠিয়েছে দলটি। সেখানে বলা হয়েছে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের পদত্যাগে আমরা মর্মাহত। সংগঠনের এক কঠিন সময় এটা আমাদের বাড়তি কষ্টের কারণ।
দীর্ঘদিন তিনি আমাদের সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। আইন অঙ্গনে সংগঠনের কঠিন সময়ে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তার অতীতের সব অবদানকে সম্মানের চোখে দেখি। এরপর শিবিরের সাবেক সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জুর ব্যাপারে চিঠিতে বলা হয়েছে, বিগত কয়েক বছর থেকে তিনি সংগঠনের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে প্রকাশ্যে ভিন্নমত প্রকাশ করে আসছিলেন। যা সংগঠনের জন্য খুবই বিব্রতকর। তার কর্মকান্ড সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী হওয়ায় তাকে এসব পরিহার করার জন্য সতর্ক করা হয়। দলের আমীরের নেতৃত্বের ও মহানগরীর নেতারা বসে এরকম কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার জন্য তাকে সিদ্ধান্ত দেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় তার প্রতি এ দরদ ও উদারতার কোনো মূল্যই তিনি দেননি।
জামায়াতের অভ্যন্তরে হঠাৎ বিরোধ এবং বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে জানতে দলের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক এমপি মিয়া গোলাম পারওয়ারকে কয়েক দফায় ফোন করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেননি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দলের বিপর্যয় অবস্থায় কৌশলগত কারণে দলটির নেতারা কথা বলা থেকে বিরত রয়েছেন। তবে অফিসিয়ালি বিবৃতি-বক্তব্য মিডিয়ায় পাঠিয়েছেন। তবে দলটির আদর্শিক চিন্তাবিদ শাহ আবদুল হান্নান মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, জামায়াত রাজনীতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। নতুন করে একটি দল করতে পারে যারা সরাসরি ইসলামের কথা বলবে না, কিন্তু ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের পদত্যাগকে তার ব্যক্তিগত অধিকার মন্তব্য করে তিনি বলেন, রাজ্জাক আমার বন্ধু ও ছোট ভাই। তিনি পদত্যাগ করেছেন এবং জামায়াত রাজ্জাকের অবদানের কথা স্বীকার করে যে বিবৃতি দিয়েছেন তা খুবই ভালো দিক। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অধ্যাপক গোলাম আযম নিজে অনেক বছর আগে ক্ষমা চেয়েছেন। জেল থেকে বের হওয়ার পর ঢাকায় বিশাল জনসভায় তিনি ক্ষমা চেয়ে বলেছিলেন, ‘আমি যদি কোনো ভুল-ত্রুটি করে থাকি তবে ক্ষমা চাচ্ছি’।
পদত্যাগ করে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, পৃথিবী পরিবর্তন হয়েছে। মুসলিম বিশ্বেও পরিবর্তন হচ্ছে। সেই পরিবর্তনকে বিবেচনায় এনে জামায়াতের নতুন প্রজন্মের নতুন চিন্তা করা উচিত। গতকাল শনিবার বিবিসি বাংলাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, নতুন প্রজন্ম আলোকিত, তারা শিক্ষিত, তারা ওয়াকেবহাল। যথেষ্ট ফরওয়ার্ড লুকিং মানুষ জামায়াতে রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি জামায়াতের নতুন লোকজন যদি লিডারশিপে আসে, তাহলে পরিবর্তন সম্ভব। ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ’৭১ সালের ভূমিকার জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত বিষয়টি নিয়ে দ্বিধা-দ্ব›দ্ব জামায়াতের মধ্যে ছিলো। কিছু লোক ক্ষমা চাওয়ার পক্ষে ছিলেন। আর কিছু ছিলেন না। আমাদের আসলে ক্ষমা চাওয়ার সংস্কৃতি কম।
জামায়াতে ইসলামিকে বিলুপ্ত করে দেয়ার কথা বলেছেন কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রায় ৯ বছর হয়ে গেলো জামায়াত প্রকাশ্যে কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে না, মিছিল-মিটিং করতে পারে না, প্রেস কনফারেন্স করতে পারে না। সুতরাং জামায়াত এখন প্রায়মৃত। জামায়াতকে নিয়ে এই অবস্থায় অগ্রসর হওয়া সম্ভব নয়। এজন্যই আমি জামায়াতকে বিলুপ্ত করে দিতে বলেছি। ভেবেছিলাম জামায়াতে ইসলামকে আমি কনভেন্স করতে পারবো। বাঝাতে পারবো ’৭১-এ জামায়াতের ভূমিকার জন্য তাদের ক্ষমা চাওয়া এবং অভ্যন্তরীণ সংস্কার করা উচিত। আমি আমার প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছি, কিন্তু ফাইনালি দেখতে পেলাম, ওই বিষয়ে কোন অগ্রগতি হবে না, তখনই আমি পদত্যাগ করলাম।
ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি জামায়াতের ঢাকা মহানগর মজলিসে শূরার সদস্য মজিবুর রহমান মঞ্জু নিজেই বহিষ্কারের কথা জানিয়ে লিখেছেন, শুক্রবার, ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর মকবুল আহমদের পক্ষ থেকে নির্বাহী পরিষদের একজন সদস্য আমাকে জানান যে, আমার দলীয় সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। মজিবুর রহমান মঞ্জুর ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন জামায়াতের সংস্কার চাওয়ায় বহিষ্কার করা হয়েছে। এর আগে ১৯৮২ সালে শিবিরের সাবেক সভাপতি আহমদ আবদুল কাদেরকে সংগঠন থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল। ওই কমিটির সেক্রেটারি ফরিদ আহমদ রেজাকেও সরে যেতে হয়েছিল। দল থেকে সদ্য পদত্যাগ করা ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের একনিষ্ঠ কর্মী মজিবুর রহমান মঞ্জু। স্ট্যাটাসে বলেন, বেশ কয়েক বছর যাবত সংগঠনের কিছু বিষয়ে আমি দ্বিমত করে আসছিলাম। মৌখিক ও লিখিতভাবে বৈঠকে আমি প্রায়ই আমার দ্বিমত ও পরামর্শের কথা দায়িত্বশীলদের জানিয়েছি।
জামায়াত প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী ভূমিকার জন্য ক্ষমা চাওয়ার কথা বলে জামায়াত নতুন নামে আসার কৌশল নিতে পারে। নতুন কোনো চিন্তা-ভাবনায় হয়তো তারা এসেছে। একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের বিষয় নিয়ে ৪৭ বছর পর ক্ষমা চাওয়ার বিষয় কেন এলো? সেটাও কোনো কৌশল কি না ভেবে দেখতে হবে। গতকাল আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতার জন্য এখনো জামায়াত ক্ষমা চায়নি। ক্ষমা চাওয়ার আগে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তবে ক্ষমা চাইলেও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার বন্ধ হবে না।
জামায়াত থেকে পদত্যাগ করা ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, তিনি (ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক) যে কথাগুলো বলেছেন তা নিশ্চয়ই ভালো। তার কথাগুলোকে স্বাগত জানাই, কিন্তু কথাগুলো কি উদ্দেশ্যে সেটি তার পরবর্তী কার্যক্রম দিয়েই বোঝা যাবে। জামায়াতে জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতাকারী ও জঙ্গিবাদী ধারণা আছে। তারা সেই ধারণা সেই চিন্তাগুলোকেই আদর্শ করে ভিন্ন নামে আরেকটি সংগঠন করতে চায় কি-না সেটিও দেখার বিষয়। ১৪ দলীয় জোটের শরীক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, আমি তো মনে করি জামায়াতের নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বের মধ্যে এ উপলব্ধি অনেক দিন ধরেই রয়েছে। যুদ্ধাপরাধের নেতৃত্বে যারা ছিলেন তারাই এটা হতে দেয়নি। রাজ্জাকের পদত্যাগ জমায়াতের মধ্যে নতুন মেরুকরণের পথ তৈরি করবে। এটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য ভালো হবে। জামায়াত ইস্যুতে সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির কো চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, আমি যতটুকু জানি দীর্ঘদিন ধরেই ব্যারিস্টার রাজ্জাক একটা মতবাদ বিশ্বাস করতেন। একাত্তরে তাদের ভূমিকা ঠিক ছিল না। যে কোনো কারণেই হোক তিনি পদত্যাগ করেছেন। এখন জামায়াতের প্রথম সারিতে যারা আছেন তাদের বেশিরভাগই স্বাধীনতার পরের প্রজন্ম।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আমরা স্পষ্ট বলছি- জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে হবে। ওদের ইন্ডিভিজুয়াল কোনো স্টেটমেন্টের গুরুত্ব নেই। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- জামায়াতের মামলা চলমান রয়েছে। মামলা নিষ্পত্তি হয়ে গেলে নিষিদ্ধ হবে। তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই। বিএনপির স্থায়ী কমিটি থেকে পদত্যাগকারী নেতা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মিডিয়ায় বলেন, আমি এটাকে খুব পজিটিভলি দেখছি। আমি মনে করি রাজ্জাক সাহেব দেরিতে হলেও তার এ উপলব্ধি ও ক্ষমা চাওয়ার কথা বলেছেন। খুব ভালো দিক। আমি বিশ্বাস করব জামায়াতে ইসলামীর সকলেই তা-ই করবে; দল হিসেবেও তারা ক্ষমা চাইবে। জামায়াত সত্যি সত্যি মানবতাবিরোধী মতবাদে বিশ্বাসী না হয়ে থাকলে অনেক আগেই তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত ছিল। বাংলাদেশের মানুষ অনেক বড় উদার, বড় মনের মানুষ। তারা চাইলে ক্ষমা করবে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (24)
ফারুক চান্দ মিয়া হাজী ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:০৭ এএম says : 0
কেন পাকিস্তান রাষ্ট্র কাঠামো থেকে বিছিন্ন হতে চান নাই ? জবাবে যা বলেছিলেন অধ্যাপক গোলাম আযম ২০১২ সালের ১২ জানুয়ারি গ্রেফতার হওয়ার আগে দৈনিক নয়া দিগন্তের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে জামায়াতের সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযম তার রাজনৈতিক অবস্থান ও সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন। সেই সাক্ষাৎকারে গোলাম আযমের প্রতি একটি প্রশ্ন ছিলো- ১৯৭১ সালে আপনারা কেন পাকিস্তান রাষ্ট্র কাঠামো থেকে আলাদা হতে রাজি ছিলেন না ? গোলাম আযম এই প্রশ্নের জবাবে যা বলেছিলেন তা পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো- “আমরা ছিলাম পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ। দুনিয়ার কোথাও সাধারণত এমনটি হয়নি, মেজরিটি অংশ মাইনরিটি থেকে আলাদা হতে চায়। আলাদা তো হতে চায় যারা মাইনরিটি তারা। আমরা কোন দুঃখে আলাদা হতে যাবো? যেহেতু আমরা মেজরিটি তাই আমাদের দায়িত্ব ছিল গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং পাকিস্তানে প্রাধান্য বিস্তারের চেষ্টা করা। আমরাই পাকিস্তানের আসল শাসক হবো। সে সুযোগ না নিয়ে আমরা কেন পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে যাবো? দ্বিতীয় কথা হলো, পশ্চিম পাকিস্তান ছিল ভারতের বাইরে। আর আমরা পূর্ব পাকিস্তান ছিলাম ভারতের পেটের ভেতরে। আমরা তো আলাদা হয়ে ভারতের আধিপত্য থেকে বাঁচতে পারব না। কাশ্মির নিয়ে পাকিস্তানের সাথে ভারতের দু’বার যুদ্ধ হয়েছে। সেই যুদ্ধে ভারত কিছুই করতে পারেনি এবং দু’বারই তারা পাকিস্তানের সাথে পরাজিত হয়েছে। কিন্তু ১৯৭১ সালে ভারত যখন যুদ্ধ লাগাল, তখন তারা জয়ী হলো এ জন্য যে, এখানে জনগণের কোনো সমর্থন পাকিস্তান পায়নি। আওয়ামী লীগ যদি রাজনৈতিকভাবে স্বাধীনতা আন্দোলন করে যেত, তাহলে আমরা তাদের সহযোগিতা করতে পারতাম। কিন্তু তারা ভারতে গিয়ে ইন্দিরার কাছে সাহায্য চাইল স্বাধীনতা অর্জনের জন্য। ভারত তার কূটনৈতিক, সামরিক সব শক্তি ব্যবহার করল। এ পরিস্থিতিতে আমরা এটা বিশ্বাস করতে পারিনি যে, ভারতের সাহায্য নিয়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করতে পারব। ভারত আমাদেরকে স্বাধীন করার উদ্দেশে সাহায্য করেনি। তারা তাদের স্বার্থের কারণে আমাদের সাহায্য করেছে। তাদের স্বার্থ ছিল তিনটা : প্রথমত, পূর্ব পাকিস্তানের নেতারা ভারতকে সুযোগ দিয়েছে পাকিস্তানকে ভাগ করে দুর্বল করার। চিরদুশমন পাকিস্তানকে দুর্বল করা গেল। দুইবার যুদ্ধ করে ভারত পরাজিত হয়েছে। এবার তারা তৃতীয়বার সুযোগ পেয়েছে তার প্রতিশোধ নেয়ার এবং তাকে ভাগ করে দুর্বল করার। দ্বিতীয় উদ্দেশ্য ছিল, যেহেতু বাংলাদেশ ভৌগোলিকভাবে ভারতের পেটের ভেতরে সে জন্য তারা বাংলাদেশকে আলাদা করতে পারলে আমাদের ওপর তারা প্রভাব বিস্তার করতে পারবে। তৃতীয় স্বার্থ ছিল, তারা তাদের পণ্যের বাজারে পরিণত করবে এ অঞ্চলকে। তাদের সেই তিনটা স্বার্থই উদ্ধার হয়েছে। তিনটা স্বার্থই পূরণ হয়েছে। আমরা এই আশঙ্কা করেই স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারলাম না। আমাদের সেই আশঙ্কা দুর্ভাগ্যজনকভাবে সত্যে পরিণত হয়েছে। আমরা সর্বক্ষেত্রে স্বাধীন নই। আমরা এখন অনেকটাই ভারতের কুক্ষিগত। ভারত যা চায় আমরা সব দিতে বাধ্য হচ্ছি। আমাদের অধিকার কিছুই দিতে চায় না তারা। আর তাদের যা ইচ্ছা তা-ই তারা চায় এবং তা-ই তারা পায়। এ অবস্থা কোনো স্বাধীন মর্যাদাশীল দেশের জন্য কাম্য হতে পারে না। আমরা এই আশঙ্কা করেছিলাম এবং এই আশঙ্কার কারণেই ১৯৭১ সালে ঐক্যবদ্ধ পাকিস্তান রাখার পক্ষে ছিলাম।”
Total Reply(2)
Md Mahmudul Haque ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১১:১৬ এএম says : 4
I respect to all. This is a clear message. Everyone should be read it. We are shouted unnecessary. Thanks.
Mohammed Shah Alam Khan ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৮:২০ পিএম says : 4
@ ফারুক চান্দ মিয়া হাজী,আপনি এখানে ... আযমের পত্রিকায় দেয়া সাক্ষাৎকার তুলে দিয়েছেন। আমি তারউপর লিখেছিলাম এই পত্রিকায় কিন্তু ছাপা হয়নি। সেজন্য আপনার মন্তব্যের নিচে লিখছি কারন না হলে এখনও ভাল মানুষ ভুল বুঝবে জামাতকে সমর্থন দিবে সেটা ঠিক নয়। পাঠককে জানতে হবে সবদিক থেকেই এটাই করা প্রয়োজন সংবাদ মাধ্যমের।... আযম কেন ২৪ বছরে বাঙালিদের দখলে পাকিস্তান নিতে পারেনি। কেন পারেনি বৈষম্য দূর করতে। এসব করতে পারলে কি মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নের সৃষ্টি হতো??... আযম ছিল পাকিস্তানিদের দালাল এবং পাকিস্তআনিদের স্বার্থই দেখে আসছিল ২৪ বছর। ভারত পশ্চিম পাকিস্তান আক্রমন করেছে কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানের সাথে কোন গোলযোগ হয়নি ভারতের। কাজেই ভারতকে দায়ি করার কোন করানই নেই। আল্লাহ্‌ আমাকে সহ সবাইকে সত্য জানার, সত্য বলার ও সত্যের উপর চলার ক্ষমতা দান করুন। আমিন
Ashiq A ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:০৯ এএম says : 0
জামায়াতের নাম পরিবর্তনের ভূত যাদের মাথায় ঘুরছে তাদের জন্য অগ্রীম ঔষধ দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন "নাম পরিবর্রতন মানে পুরানো বোতলে নতুন মদ"। ল্যা ঠ্যালা। যাইহোক আজকের হট নিউজ হল পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছেন "ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ‘স্বামী-স্ত্রী’র মতো"। ৭১এ যারা স্বামী-স্ত্রীর পবিত্র বন্ধনের বিরোধী ছিল তাদের ক্ষমা চাইতে হবে।
Total Reply(0)
Dm Toaha Dk ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:০৯ এএম says : 0
পদত্যাগ করবেন যখন, সবাই একই দিনে একেবারে করলে কি সমস্যা?
Total Reply(0)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:১১ এএম says : 0
একজন নেতার পদত্যাগে সবাই চিন্তিত।
Total Reply(0)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:১১ এএম says : 0
আজ অনেকেই জামায়াতের পক্ষে নিবে কারণ এই সরকারকে পরাজিত করতে পারে একমাত্র জামায়ত ইসলাম। যেভাবে এরশাদ ও বি এন পির বেলায় হয়েছি।
Total Reply(0)
Foyruz Ahmed ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:১১ এএম says : 0
বিএনপিরই উচিৎ ছিল জামাতকে ছাড়া। কিন্তু ঘটেছে উল্টো।
Total Reply(0)
জামিল ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:১২ এএম says : 0
তাদের গঠনমুলক আলোচনায় আওয়ামীলীগ/বিনএনপি বা সকল দল অভাক। হাজার জামায়াত শিবির কর্মি স্বাধীনতা বিরুধী অপবাদ বইয়ে বেড়াচ্ছে শুধু তখনকার একটি ভূল সিদ্ধান্তের কারনে। কিন্তু তারা দলের বিরুদ্ধে কখনো বিদ্রোহ করেনি। পদত্যাগ করেছে।
Total Reply(0)
রিদওয়ান বিবেক ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:১৩ এএম says : 0
রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগান ১৯৬২ সাল পর্যন্ত ডেমোক্রেটিক পার্টির সঙ্গে ছিলেন, ডেমোক্রেটিক সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন একদা রিপাবলিকান ছিলেন। এখন কথা হচ্ছে নতুন দল করে তার নেতৃত্বে আসার পর মোরাল কম্পাস আবদুর রাজ্জাকের আছে কি না?
Total Reply(0)
Mahibur Rahman Saju ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:১৪ এএম says : 0
আপনি জামায়াত-শিবিরকে যদি হাজার টা প্রলেপ লাগিয়ে দেন তারপরেও দেখবেন, যা ছিল তাই আছে।
Total Reply(1)
Raz ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৩:০৩ পিএম says : 4
Vai, Alada hole to Jahel/Batiler dole zete hobe-Aktu cinta korun.
SHIKE ABDUR GOFUR. ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:১৪ এএম says : 0
কোন রাজনৈতিক দল চিরস্থায়ী নয়...সময়ের আদলে পরিবতন-পরিমাজিত হয়।।। জামাতের "শুভ বুদ্ধি" উদয় হোক।।।
Total Reply(0)
Sk.Abdul Malek ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:১৫ এএম says : 0
একটি কল্যানমুখী জাতি গঠনের জন্য নিজের বিশ্বাস ও নীতিতে পরিবর্তন না করে চলার পদ্ধতিতে পরিবর্তন করা যেতে পারে। এটাই কৌশল । উড়তে না পারলে হাটতে হবে, হাটতে না পারলে হামাগুড়ি দিতে হবে তাও যদি না পারে তবে গড়তে গড়তে লক্ষ্যে পৌছবে।
Total Reply(0)
Abdul Ahad ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৬:৩৮ এএম says : 1
যার বিয়ে তার খবর নাই, পাড়ার লোকের ঘুম নাই, ইনকিলাব জামায়াতকে নিয়ে একটু বেশিই করে, চরমোনাইর বেলায় হলে মশকিল??
Total Reply(0)
Anwar Hossain ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৬:৩৮ এএম says : 0
No problem inshallah
Total Reply(0)
Md Abdul Kader ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৬:৩৯ এএম says : 0
মামলা আর কত খাব আর কত দিন পালিয়ে থাকব?
Total Reply(0)
Faysal Mohammed ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৬:৪০ এএম says : 3
হযরত আবু বকর রা আনহুর সেই খুতবা মনে পড়ে গেল তোমারা যারা মুহাম্মদ স: মাবুদ মনেকরে ইবাদত করতে তিনি মরে গেছেন । যারা আল্লাহর ইবাদত কর আল্লাহ চিরন্জীব তিনি মরেন না । বর্তমানে তোমরা যারা ব্যক্তির পরিচয়ে দল করতা কেউ মরেগেছে কেউ ইস্তেবা দিয়েছেন। কেউ বহিস্কার হয়েছেন । যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইসলামী আন্দোলন কর তোমাদের দল রয়েগেছে । যুগ যুগ থাকবে ।আল্লাহ তায়ালা সবাই হেফাজত করুন ।
Total Reply(1)
saif ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৯:৪৬ এএম says : 4
জনাব ফাইসাল সাহেব, আসসালামুআলাইকুমআপনার সাথে আমার মত বিরোদ কেবল তুলনা করার জায়গাটাতে, আপনি জামায়াত/ বা এর নেতাদের কর্মকান্ডকে হযরত আবু বকর (রাঃ) মত সাহাবিদের কর্ম কান্ডের সাথে তুলনা করছেন সেই জন্যে আপনাকে ডিসলাইক দিয়েছি।
Islam ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১০:২৫ এএম says : 2
স্বাধীন বাংলাদেশে পরাজিত শক্তির দোষরদের রাজনীতি করার কোন অধিকার থাকতে পারে না । ১৯৭১ সালে যদি দেশ স্বাধীন না হতো তাহলে কি পরিনতি হতো ভেবে দেখুন তো । ১৯৭১ এর ১৪ ডিসেম্বর যা ঘটেছে তার চেয়ে হাজার গুন ভয়াবহ ঘটনা ঘটত । আর আমরা আজ পাকিস্তান থাকলে আমাদেরই কি পরিনতি হতো । আল্লাহ আমাদেরকে রক্ষা করেছেন । আর এসব মিথ্যাবাদী যারা ইসলামের নামে মানুষকে ধোঁকা দিতে চেয়েছিল তারা কোনদিন এদেশে টিকতে পারবে না ।
Total Reply(0)
ওয়াক্কাচ ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১০:২৭ এএম says : 2
ফারুক চাঁদ মিয়া হাজির মন্তব্যই সঠিক
Total Reply(0)
Mohammed Shah Alam Khan ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১০:৩১ এএম says : 0
জামাতকে নিয়ে স্টালিন সরকারের এই তথ্য বহুল প্রতিবেদনটি আমাদেরকে অনেক বিষয় জানিয়েছেন তাই তাকে অনেক ধন্যবাদ। জামাত এখন ‘টক অব দ্যা টাউন’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন মানুষের মন নির্বাচন থেকে সড়ে গিয়ে জামাতের উপর ন্যাস্ত হবে এটাই মনে হচ্ছে। এটা অবশ্যই একটা ভাল দিক এখন জামাতকে কিভাবে কুবকাত করা যায় সেটাই ভাবতে হবে কারন দেশের জন্যে জামাত একটা বড় সমস্যা। আল্লাহ্ বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ও তাদের দোসরদের হাত থেকে ’৭১ মত করে রক্ষা করুন এটাই আমাদের মোনাজাত আল্লাহ্র দরবারে। আমিন
Total Reply(0)
Mohammed Shah Alam Khan ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৮:৫১ পিএম says : 0
ইনকিলাব পত্রিকার সম্পাদক জনাব বাহাউদ্দিন সাহেব কে অনুরোধ করছি আমার আগের লিখাটা বড় হওয়াতে আসেনি ঠিক আছে কিন্তু এটা আশা করি এখানে মন্তব্যের আকারে দিবেন কারন এখানে মন্তব্য কারিরা ... আযমের একটি ভ্রান্তমূলক সাক্ষ্যাতকার ছাপা হয়েছে যার জন্যে অনেকেই ভুল বুঝছেন। আমি ছোট আকারে আমার মন্তব্য এখানে তুলে ধরছি। এখানে মন্তব্যের আকারে জনাব ফারুক চান্দ মিয়া হাজী ... আযমের একটা সাক্ষাৎকার তুলে দিয়েছেন। সেখানে... আযম বলেছেন ’৭১ সালে পাকিস্তানের সাথে ঐক্য বদ্ধ থাকার জন্যে তিনি যুদ্ধের বিপক্ষে ছিলেন। কিন্তু কথা হচ্ছে পাকিস্তানিরা যেভাবে আমাদেরকে বাঙালিদেরকে অত্যাচার করছিল জন সংখ্যা বেশী ট্যাক্স দেই বেশি বৈদেশীক মুদ্রা আয় হয় আমাদের অংশে ব্যাবহারের জিনিষ উৎপাদন হয় এখানে আমাদেরকে না দিয়ে বেশীর ভাগ চলে যায় পশ্চিমে চাকুরির ক্ষেত্রে উপযুক্ততার তালিকায় থাকার পরও নেয়া হয়না। নেবার সময়ে ওদের থেকে নেয় ৬৫ জন আমাদের থেকে ৩৫ যদিও আমরা সংখ্যায় ৬০% তারপরও ...আযমদের দল জামাত কোন দিনও এসব বৈষম্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেনি। কাজেই ওনার এসব কথা পত্রিকায় আসা মানে হচ্ছে জনগণকে বিভ্রান্ত করা। আল্লাহ্‌ আমাকে সহ সবাইকে আল্লাহ্‌র ইচ্ছাকে অনুভোব করা এবং সেইভাবে নিজেদেরকে আল্লাহ্‌র রাস্তায় চলার ক্ষমতা দান করেন। আমিন
Total Reply(0)
Islam ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১০:০৩ পিএম says : 1
ফারুক চান্দ মিয়া কে চাঁন্দের দেশে অথবা পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয়া হোক । সাঈদীক যেমন চান্দে দেখা গিয়েছিল।যত সব ভন্ড যুক্তি নিয়ে হাজির হয়েছেন।এই যুগের মানুষকে আর ধোঁকা দিয়ে বোকা বানানো যাবে না । এসব খোঁড়া যুক্তি ২০১৯ সালে টিকবে না ।
Total Reply(0)
জুনাইদ হোছাইন ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৫:৫৬ পিএম says : 0
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক একজন ভালো মানুশ। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সত্য জানার, সত্য বলার ও সত্যের উপর চলার ক্ষমতা দান করুন। আমিন
Total Reply(0)
Ahmed ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৮:২৮ পিএম says : 0
Any body should not happy with present position of Jamaat e Islami. Existence of every party is necessary to maintain political balance in the country. Top leaders were given punishment for the same reason. National unity in place of divide and rule is essential at this moment.
Total Reply(0)
Alamin zaman ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৬:৫৫ পিএম says : 0
ফারুক সাহেবের কথাই ঠিক
Total Reply(0)
মোহাম্মদ রমজান আলী ভুঁইয়া ১০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৬:০৭ পিএম says : 0
জামায়াতে ইসলামী ১৯৭১ এ কোন ভুল করেনি
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন