বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

নগরবাসীর ভোগান্তি

মেট্রোরেলের দ্বিতীয় দফা নির্মাণ শুরু

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৫ এএম

রাজধানীর ফার্মগেট থেকে শাহবাগ হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের দ্বিতীয় ধাপের কাজ শুরু হয়েছে। রাস্তার বেশিরভাগ স্থান টিনের বেরা দিয়ে ঘেরাও করে দখলে নিয়েছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। দুদিকের সরু অংশ নিয়ে কোনোমতে চলাচল করছে যানবাহন। তাতে দিনভর যানজটের ভোগান্তি লেগেই আছে। এরই মধ্যে এই পথের শতাধিক বাসের রুট পরিবর্তন করা হয়েছে। এতে করে যাত্রীদের নতুন করে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত মাসের ১৫ তারিখ থেকে মেট্রোরেলের কাজের সুবিধার্থে বেশ কিছু বাসের রুট পরিবর্তন করা হয়েছে। মিরপুর থেকে ফার্মগেট হয়ে যে সব বাস বাংলামোটর-শাহবাগ হয়ে গুলিস্তান-মতিঝিল আসতো সেগুলো এখন সংসদ ভবন থেকে ঘুরে এলিফ্যান্ট রোড অথবা তেজগাঁও-মগবাজার হয়ে ঘুরে আসছে। এতে করে হাজার হাজার যাত্রীর পথ এলোমেলো হয়ে গেছে। যাত্রীদের কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরতে গিয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে করতে অনেক সময় রাত হয়ে যাচ্ছে।
হাতিরপুলের এক অভিজাত মার্কেটে সেলসম্যানের কাজ করেন আব্দুল লতিফ। মিরপুর ১১নং সেকশনের বাসা থেকে বের হয়ে বাসে চড়ে এসে নামেন বাংলামোটরে। সেখান থেকে পায়ে হেঁটে তার কর্মস্থল মাত্র কয়েক মিনিটের পথ। আব্দুল লতিফ জানান, সাপ্তাহিক ছুটির দিন বাদে প্রতিদিন হাতে কমপক্ষে দুই ঘণ্টা সময় নিয়ে তিনি বাসা থেকে বের হন। কখনও কখনও যানজটের মধ্যেই সেই দুই ঘণ্টা শেষ হয়ে যায়। কিন্তু কয়েক দিন ধরে বাস মিরপুর থেকে আর সোজা পথে আসছে না। ফার্মগেট, বাংলামোটর এলাকায় মেট্রোরেলের কাজ শুরু হওয়ায় মিরপুরের বাস এলিফ্যান্ট রোড হয়ে মতিঝিলের দিকে যাচ্ছে। এ কারণে লতিফকে নামতে হচ্ছে শুক্রবাদে। সেখান থেকে সরাসরি কোনো বাস না থাকায় পায়ে হেঁটেই হাতিরপুল পর্যন্ত আসতে হচ্ছে তার। এতে হাতে আরও এক ঘণ্টা সময় রাখতে হচ্ছে। আব্দুল লতিফের কথায়, কাজ শেষে ফিরতে গিয়ে ভোগান্তি আরও কয়েক গুণ বেশি। বাংলামোটর এলাকায় কোনো বাস না থাকায় পায়ে হেঁটে এলিফ্যান্ট রোড বা শুক্রবাদে যেতে হয়। রুট এলোমেলো হওয়াতে বাসের দেখা সহজে মেলে না। হাজার যাত্রীর জন্য মাঝে মধ্যে দু’একটা বাস আসে। তখন সেগুলোতে চড়ার মতো উপায় থাকে না। কাওরানবাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী ফারুক জানান, পুরো রাজধানীর যানজট এখন কাওরানবাজারমুখি। অর্থাৎ কাওরানবাজারের আশপাশে সবগুলো এলাকাতেই এখন দিনভর যানজট লেগে থাকে। বিকালে বসুন্ধরা সিটিতে গাড়ির ভিড়ের কথা উল্লেখ করে ওই ব্যবসায়ী বলেন, তখন কি যে ভয়াবহ পরিস্থিতি হয় তা ভুক্তভোগিরাই জানেন। তার ভাষায়, কদিন পরে বিপদে না পড়লে আর কেউই এই এলাকায় আসবে না। কিন্তু ফারুকের মতো যারা না এসে পারবেন না তাদের জন্য ‘মহাবিপদ’। বললেন, কবে যে এই বিপদ থেকে রেহাই মিলবে কে জানে?
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মেট্রোরেল প্রকল্পের দ্বিতীয় অংশের কাজ শুরু হওয়ায় গত ১৫ জানুয়ারি থেকে বেশ কিছু গণপরিবহনের রুট পরিবর্তন করা হয়েছে। মিরপুর রোড থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ হয়ে আসা বাসগুলোকে ফার্মগেটের দিকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। এই রুটের বাসগুলো বিজয় সরণি থেকে তেজগাঁওয়ের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আবার কোনো কোনো রুটের বাস মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে সায়েন্স ল্যাবরেটরির দিকে ঘুরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আপাতত কিছুদিন বাসগুলো সায়েন্সল্যাবরেটরি হয়ে শাহবাগ দিয়ে মতিঝিল-গুলিস্তান আসবে। কাজের অগ্রগতির পর শাহবাগের রাস্তাও বন্ধ করে দেয়া হতে পারে। এখন কেবল ক্যান্টনমেন্ট রুটের বাস ফার্মগেট হয়ে মতিঝিল-গুলিস্তানের দিকে আসতে পারছে। জানা গেছে, মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে আরও কিছু পথ পরিবর্তন হবে। ট্রাফিক বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, সকাল আটটা থেকে সকাল সাড়ে দশটা এবং বিকেল পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত সপ্তাহে রবি থেকে বৃহস্পতিবার প্রতিদিন মোট সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা ফার্মগেট থেকে শাহবাগ পর্যন্ত প্রাইভেট কার চলাচল বন্ধ রাখা হতে পারে। প্রথম দিকে রাজধানী ‘গ’ সিরিজের প্রাইভেট কারগুলো বন্ধ রাখার চিন্তাভাবনা চলছে। পরিস্থিতি অনুকূলে না এলে পরবর্তী সময়ে ‘ক’ ও ‘খ’ সিরিজের প্রাইভেট কারগুলো বন্ধ রাখার চিন্তা করা হচ্ছে। তবে অ্যাম্বুলেন্স, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, রোগী বহনকারী, সংবাদপত্র ও ওষুধ পরিবহনের মতো জরুরি সেবার গাড়িগুলো এর আওতার বাইরে রাখা হবে।
ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আগারগাঁও-ফার্মগেট থেকে মতিঝিল পর্যন্ত রাস্তাটির প্রস্থ প্রায় ২২ মিটার। এর মধ্যে সড়কের দুই পাশের মধ্যবর্তী ১১ মিটার অংশে মেট্রোরেল প্রকল্পের জন্য টিনের বেরা দিয়ে আলাদা করে নেয়া হয়েছে। এতে করে রাস্তার এক পাশে মাত্র ৫ মিটারের মতো জায়গা থাকছে। ওই রাস্তা দিয়েই চলছে যানবাহন। চালকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রাস্তার এক পাশে যতোটুকু জায়গা আছে তাতে একটা বাস বা প্রাইভেট কারের পাশে কোনোমতে একটা মোটরসাইকেল চলতে পারে। এতে করে যানবাহনগুলোকে খুবই ধীরে চলতে হয়। ফার্মগেট থেকে কাওরানবাজার-বাংলামোটর হয়ে শাহবাগ পর্যন্ত চলতে গিয়ে ভয়াবহ যানজটের কবলে পড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় নষ্ট হচ্ছে। ট্রাফিক পুলিশের আশঙ্কা, শাহবাগ অথবা মতিঝিল পর্যন্ত রাস্তা সরু হলে আরও ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হবে। এজন্য বিকল্প ব্যবস্থার কি করা যায় তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা চলছে বলে জানান ট্রাফিক পুলিশের একজন উপকমিশনার। তিনি জানান, পরিস্থিতি সামাল দিতে ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে সরকারের উচ্চপর্যায়ে ১৫ দফা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। মাঠ পর্যায়ের ট্রাফিক পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, এভাবে আরও দুই বছর কিভাবে যানজট সামাল দিবো তা নিয়ে আমরাও রীতিমতো চিন্তায় আছি।
রাজধানী ঢাকার প্রধান তিনটি সড়ক হলো-বিমানবন্দর-ফার্মগেট-শাহবাগ-জিরোপয়েন্ট-মতিঝিল, পল্টন-বাড্ডা-বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা হয়ে বিমানবন্দর এবং গুলিস্তান থেকে মিরপুর। এই তিনটি সড়কের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বিমানবন্দর-মতিঝিল সড়কটি। এই সড়ক ‘ভিআইপি সড়ক’ হিসেবে পরিচিত। এই ভিআইপি সড়কই রাজধানী ঢাকাকে দুই ভাগে ভাগ করেছে। ট্রাফিক পুলিশের মতে, ভিআইপি সড়কের কোনো অংশে যানজট সৃষ্টি হলে এর প্রভাব পড়ে পুরো রাজধানীতে। এ ছাড়া ভিআইপি সড়ক দিয়ে প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীসহ সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিরা চলাচল করেন। এর পাশাপাশি এই সড়কে ১১১টি রুটের বাস চলাচল করে।
ট্রাফিক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজের কারণে বাসের চলার পথ পরিবর্তন করায় বর্তমানে সার্ক ফোয়ারা অতিক্রম করছে প্রতি ঘণ্টায় গড়ে ৮০০ প্রাইভেট কার। তাই যানজট কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে। কিন্তু দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা, যাদের প্রধান বাহন বাসের মতো গণপরিবহন। আগামীতে প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে এই সংখ্যা আরও বেড়ে যানজটের ভয়াবহ বিস্তৃতি ঘটবে। তাতে যাত্রীদের ভোগান্তি ক্রমেই বাড়তেই থাকবে।
এদিকে, যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে ১৫টি প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এগুলো হলো, মেট্রোরেল প্রকল্প, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে মাঠপর্যায়ে সমন্বয় করা, যেসব এলাকায় সড়ক বেশি সরু হয়েছে সেখানে ফুটপাত কেটে ছোট করা, বিদ্যুতের খুঁটি সরিয়ে ফেলা, ধুলাবালিতে পরিবেশদূষণ যেন না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা, মেট্রোরেলের ভারী কাজগুলো সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে করানো। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ টার্নিং পয়েন্ট বা মোড়গুলোতে নজরদারি করা। এর পাশাপাশি বড় কোনো কাজের আগে গণমাধ্যমের সহায়তায় নগরবাসীকে অবহিত করা।
ভুক্তভোগিদের মতে, ফার্মগেট থেকে শাহবাগ পর্যন্ত মেট্রোরেলের কাজ শুরু হতে না হতেই যেভাবে যানজটের ভোগান্তি বাড়তে শুরু করেছে তাতে যাত্রী, বাস চালক ও বাস মালিক সবাই হতাশ। তাদের মতে, গত কয়েক দিনে রাজধানীতে দুর্ভোগ বেড়েছে ফার্মগেট, বাংলামোটর, শাহবাগ, খেজুরবাগান, তেজগাঁও, শাহবাগ, এলিফ্যান্ট রোড, সায়েন্সল্যাবরেটরিসহ আশপাশের এলাকায়। বাসের রুট পরিবর্তন করায় যাত্রীদের ভোগান্তি যেমন বেড়েছে তেমনি বাসের রুটভিত্তিক যাত্রীও কমে গেছে বলে মালিকদের দাবি।কয়েকজন মালিকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রুট পরিবর্তন হওয়ায় গন্তব্যের দূরত্ব বেড়ে গেছে। তাতে জ্বালানী খরচও বেড়েছে। মালিকপক্ষের দাবি, দূরত্ব বাড়াতে শ্রমিকদের খরচও দিতে হচ্ছে বেশি।
মেট্রোরেল প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দূরত্বের মেট্রোরেল বসবে। তাতে ৩৭৭টি পিয়ারের ওপর ৩৭৬টি স্প্যান বসানো হবে। প্যাকেজ (সিপি)-৩, ৪, ৫, ৬ -এই চারটি প্যাকেজে এর কাজ পুরোদমে চলছে। এর মধ্য প্রথম ভাগে প্রায় ১২ কিলোমিটার অংশে রয়েছে আগারগাঁও পর্যন্ত। প্রকল্পের এই অংশের কাজ অনেকটাই দৃশ্যমান। ২০২০ সালের মধ্যে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চালুর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২২ সালে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (19)
Shubhro Ahmed ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৮ এএম says : 0
মেট্রোরেলের এঞ্জিন এবং বগি নিয়ে বিজ্ঞ আলোচনা কবে শুরু হবে? এটা করলে ঠিক হতো, ওটা করলে ঠিক হতো, ইত্যাদি ইত্যাদি। আমাদের দেশের এক্সপার্টরা তো সবাই মুখিয়ে বসে আছেন। বসে আছেন পত্রিকায় এক্সপার্ট কমেন্ট দিতে।
Total Reply(0)
hopeful ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৯ এএম says : 0
রাস্তা সীমিত কিন্তু অসংখ্য গাড়ি।আইন মানার মানসিকতা আমাদের নেই।আসলে আমরা আইন ই জানি না, আইন মানা তো অনেক দুরের ব্যাপার।ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে জনগণকে রাস্তায় চলাচলের নিয়ম কানুন জানতে হবে এবং মানতে বাধ্য করতে হবে।
Total Reply(0)
Omar Faruq John ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৯ এএম says : 0
সরকার চাচ্ছে দ্রুত মেট্রোরেল প্রকল্পটা শেষ করতে, এটা খুবই ভাল উদ্যোগ, নাহলে নেক্সট নির্বাচনে সরকার পরিবর্তন হয়ে গেলে এই প্রকল্প থেমে যাবে, তবে ঢাকার বিকেন্দ্রীকরন হচ্ছেনা, এই দিকটায় সরকারের নজর দেওয়া উচিত, সরকারের উচিত বেসরকারী বড় বড় কোম্পানীর অফিস গুলো ঢাকার আশে পাশের এলাকা গুলোতে যেমন গাজিপুর, সাভার, ধামরাই, কেরানীগঞ্জ ইত্যাদি দিকে সরানোর জন্য উদ্যগ নেওয়া, এমনকি সরকারী বড় কোনো মন্ত্রনালয় ঢাকার আশেপাশের এই এলাকা গুলোর কোনো এক জায়গায় স্থাপন করে বিকেন্দ্রীকরনের সুচনা/পথ প্রদর্শন করা উচিত।
Total Reply(0)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৯ এএম says : 0
হাসিনার সরকার যত দ্রুত সম্ভব মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছে । জনগণকে এই সামরিক দুর্ভোগ মেনে নিতে হবে। আগামী দুই হাজার 30 সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে। বাংলাদেশ থাকবে অত্যাধুনিক মেট্রোরেল ফ্রি ওয়াইফাই সিস্টেম আরো অনেক কিছু। আশা করি বাংলাদেশের জনগণ সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন।
Total Reply(0)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৯ এএম says : 0
ঢাকা থেকে যখন কোনো প্রতিষ্ঠান ঢাকার বাইরে সারা দেশের অন্যান্য জেলায় সরাবেন না, সমস্ত কিছু ঢাকাতেই কোলের মধ্যে রেখে দিতে চান, তাহলে ২০২২ সাল পর্যন্ত ঢাকায় সরকারি হরতাল দিয়ে দিলেই হয়... !
Total Reply(0)
NAhmed ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:০০ এএম says : 0
লাভ নেই যত বেশি আধুনিক বা উন্নত হবে ঢাকা শহর তত বেশি লোকের আগমন হবে ঢাকাতে। ঢাকার সাথে সাথে অন্নান্য জেলারও কর্মসংস্থানে যেন গড়ে উঠে সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে.
Total Reply(0)
NAhmed ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:০০ এএম says : 0
আমি একটা বিষয় আজ বুঝলাম না বাংলাদেশে কেন দিনের বেলা যানবাহন চলাচলের ব্যাঘাত ঘটিয়ে মেনটেনেন্স কাজ করা হয়। সম্ভবত আমাদের সাবকন্টিনেন্টেই এ সমস্যা। কোন কিছু বিচার বিবেচনা না করেই দিনের বেলা রাস্তা খুড়াখুড়ি, মেট্রোরেলের কাজ, ঢালাই, পানির লাইন, গ্যাসের লাইন ইত্যাদি বসানো হয়। উন্নত দেশগুলোতে এসব বড় বড় প্রকল্পের কাজ সাধারণত রাতের বেলায় করা হয় যাতে সাধারণ মানুষ বিড়ম্বনার স্বীকার না হয়.দিনের এসব কাজ করলেও একটি বিকল্প ব্যবস্থা মাথায় রেখে কাজগুলো সম্পন্ন করা হয়. যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি একটু ভেবে দেখার অনুরোধ রইল.কোন প্রকল্প শুরু করার আগে একটি স্টাডি আর রিসার্চ করে এবং বড় প্রকল্প শুরু করলে দেশের মানুষ এসব বিড়ম্বনা থেকে বেঁচে যায়. দেশের মানুষের টাকা খরচ করে এদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বা প্রকৌশলীরা অভিজ্ঞতা অর্জনের নামে বিদেশে গিয়ে কি শিখে আসেন সেটা তারাই বলতে পারেন।
Total Reply(0)
A.H.B ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:০০ এএম says : 0
সাব ওয়ে ও ফ্লাই ওয়ে দুটো মিলিয়ে মেট্রো রেল প্রকল্প করা হলে মানুষের কষ্ট কম হত এবং টাকা ও সময় দুটোই কম লাগত ,যেমনটা দিল্লি সহ পৃথিবীর অনেক জায়গায় আছে , কিন্তু কি আর করা পকেট ত ভরতে হবে জনগনের কথা আর কে ভাবে ?
Total Reply(0)
Fuad ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:০১ এএম says : 0
রাস্তার ৪ লেনের ৩ লেন দখল করে লোকাল বাসগুলার যাত্রি উঠানো বন্ধ হলে ঢাকাতে যানযট বলে কোন জিনিস থাকবে না, আর ফুটপাথের হকার তুলে মানুষের হাটার বেবস্থা করলে রাস্তায় ও মানুষ হাটবে না।
Total Reply(0)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:০১ এএম says : 0
দয়া করে এই সময়ের মধ্যে ভিআইপিরা একটু রাস্তায় কম চলাচল করলে ভাল হয়......
Total Reply(0)
সত্য হক ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:০১ এএম says : 0
"কত দিন এভাবে গণপরিবহন চলবে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানা যায়নি।" আসলে ২০২২ সালের আগে সমস্যার সমাধান হবে না। ২০২২ সালে যে হবে তারও নিশ্চয়তা নেই। তবে হবেই কোন একদিন।
Total Reply(0)
MRajib ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:০১ এএম says : 0
Allah knows if this project can reduce our day to day life traffic hassles.
Total Reply(0)
SUJON KUMAR ROY ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:০২ এএম says : 0
একটু স্বার্থপর হলেম তাতে ক্ষতিই বা কি বা কার বা কি এসে যায়। আসলে উন্নয়নের আমরা মানে আমাদের বর্তমান জেনারেশন-প্রজন্ম কি পাচ্ছে। আদৌ কি আমরা উন্নয়নের জোয়ার দেখে যেতে পারবো? ভবিষ্যৎ আমাদেরকে কি মনে রাখবে? আজকের আমাদের এই স্যাক্রিফাইস কি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম মনে রাখবে? আজকে আমরা যে উন্নয়নের নামে যে দুর্দশা পোহাচ্ছি! তা কি কেউ মনে রাখবে। তাতে তাদের কি কিছু যায় আসবে? প্রশ্ন সবার কাছে রইল।
Total Reply(0)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:০২ এএম says : 0
প্রতি চার রাস্তার মোড়ে বাইপাস ওভার ব্রিজ করলে যানজট কমে যেত। এটা সরকার বোঝে না যে তা না, সরকারে এই বিষয়ের উপর পিএইচডি করা গন্ডায় গন্ডায় লোক আছে। এসব বাইপাস ওভার ব্রিজ করলে সরকারী দলের লোকদের পকেটে কোন টাকা আসবে না । বরং যত মেগা ও ভেজাইল্যা প্রজেক্ট নেওয়া হবে ততই নাক গলানোর সুযোগ থাকলে এবং এটাকে পুঁজি করে এন্তার টাকা হাতানো যাবে।
Total Reply(0)
Md. Nur Hussain ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:০২ এএম says : 0
উন্নয়ন করতে হলে জনগণের এইটুকু দূর্ভোগ পোহাতে হবে তবে আমার মনে হয় এতেই যে ঢাকার দূর্ভোগ কমবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। আমার মতে ঢাকা থেকে লোক সরাতে হবে তার মানে ঢাকার বাহিরে কর্মসংস্থান করতে হবে। সরাতে হবে গার্মেন্টস, সরকারী সেক্টর অফিস পাঠাতে হবে বিভিন্ন জেলায়, বেসরকারী ইউনিভার্সিটি, চাকুরীর ইন্টারভিউ ইত্যাদি সরাতে পারলেই আমার মনে হয় সমাধান হতে পারে।
Total Reply(0)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:০৩ এএম says : 0
এলোমেলো, পরিকল্পনাহীন ভাবে গড়ে ওঠা ঢাকা শহরে বসবাসকারী বাসিন্দাদের সুবিধার জন্য একদম সদ্যস্বাধীনতা প্রাপ্ত সরকার ব্যাতিত, ২০০৮ পর্যন্ত সরকার গুলো কোন প্রকৃত গঠনমূলক কর্মসূচী কার্যকর করতে না পারায় দিনের পর দিন শহর সমস্যা বাড়তেই ছিল। এমন কি ২০০৮-এ কিছু বাস্তব সম্পন্ন প্রকল্প গ্রহণের এখন আমরা শত কষ্টের মাঝেও জনসেবার কাজকর্ম দেখতে পাচ্ছি। আমরা একটু ধৈর্য ধরলে শিঘ্রই সুফল পব।
Total Reply(0)
মোস্তফা আল মতিন ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:০৩ এএম says : 0
সমন্বিত ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন, সুপরিকল্পিত ট্রাফিক ব্যবস্থা, ধীরগতি যানবাহনের জন্য আলাদা লেন, পাবলিক বাসগুলোর মাঝে শৃংখল আচরণ, মেট্ররেল প্রকল্পপের পাশাপাশি বিকল্প রাস্তা অথবা একমূখী রাস্তার ব্যবস্থা, সরু রাস্তা/গলি যে গুলো ব্যবহার করা সম্ভব গুগল ম্যাপ দেখে তা নির্নয় করা অথবা সরজমিনে জরিপ করে রাস্তা ব্যবহারউপযোগী করা, রেলক্রসিং গুলোর বন্ধ করে ওভার পাস, গাবতলী/মহাখালী/সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল গুলো ঢাকার বাইরে স্থানান্তর সহ আরও যেসকল ট্রাফিক বান্ধব কর্মসূচী আছে তা আন্তরিক ভাবে গ্রহন করে জনগণের দুর্ভোগ লাগবের মনমানসিকতা নিয়ে আগ্রহী হয়ে কাজ করলে এবং বি আরটি এ দুর্নিতি মুক্ত হয়ে মাঠে নামলে ঢাকা শহরের জানজট নিরশন সম্ভব!
Total Reply(0)
Sumon ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:০৩ এএম says : 0
The private car should be banned permanently and public bus service should be modernized...
Total Reply(0)
ash ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৪:৩৮ এএম says : 0
JOTO DIN MATRORAIL ER KAJ CHOLBE, TOTO DIN OI SHOMOSTO ROAD E BUS ER SHONGKHA BARIE PRIVET CAR ER SHONGKHA KOMANO WCHITH, BUS KE PRADHANOO DEW A WCHITH, CNG, RIKSHA CONTROL KORA WCHITH
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন