এক টুকরো জমি আছে, কিন্তু বসবাসের মত ঘর নির্মানের সুযোগ না থাকায় এতদিন নিরন্তর কষ্টে মানবেতর বসাবাসে বাধ্য ছিল- আশাশুনির এমন ২০০ পরিবারকে ঘর করে দিয়ে বসবাসের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে পরিবারগুলোর মুখে একরাশ হাসি ও প্রশান্তি ঘুরপাক খেতে দেখা যাচ্ছে।
আশাশুনি উপজেলায় বহু পরিবার রয়েছে যাদের এক টুকরো জমি নাই। যাদেরকে সরকার খাস জমি বন্দোবস্ত দিয়ে ঠিকানা করে দিচ্ছে। কিন্তু যাদের এক টুকরো জমি থাকলেও ঘর নির্মান করে ঝড়-বৃষ্টি-বাদল কিংবা রৌদ্র-শীতের ক্লান্তিতে কষ্টকর পরিস্থিতি দুশ্চিন্তামুক্ত করতে উপযোগি ঘর নির্মাণ করার সক্ষমতা নেই। দিন আনা দিন খাওয়া, না আনলে উপোষ করাই যাদের নিত্য নৈমত্তিক ঘটনা। দৈনন্দিন চাহিদা পুরনে প্রানান্তকর প্রচেষ্টার মাঝে বাচ্চা-কাচ্চাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন। তাদেরকে অন্তত মাঠা গোজার নিশ্চিন্ত একটা ঠাঁই খুজে দিতে প্রধানমন্ত্রীর সুদূর প্রসারী চিন্তার ফসল “যার জমি আছে ঘর নাই, তার নিজ জমিতে গৃহ নির্মান” প্রকল্পের আওতায় আশাশুনিতে ২০০ ঘর নির্মানের উদ্যোগ। “আশ্রায়নের অধিকার, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার” শ্লোগান সামনে রেখে উপজেলার ১১ ইউনিয়নে ২০০ পরিবারকে বাসস্থান নির্মানের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এজন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় দু’কোটি টাকা। নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার পর নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা ও নবাগত প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহাগ খান আশাশুনি যোগাদান করে ২০০ পরিবারের ঘর নির্মান কাজে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহন করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন