শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

গণশুনানির উদ্দেশ্য সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো: ড. কামাল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৪:০৬ পিএম

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, এবার যে নির্বাচন হয়েছে, সেটা নিয়ে প্রার্থীদের অনেকে ট্রাইবুনালে মামলা আকারে ফাইল করেছে। কিন্তু জনগণ ক্ষমতার মালিক হিসেবে তাদেরও জানানো দরকার। আজকের গণশুনানির মূল উদ্দেশ্য সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো।
 
তিনি আজ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট বার মিলনায়তনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়ম বিষয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত গণশুনানি কর্মসূচির শুরুতে এ কথা বলেন। সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে এই গণশুনানি শুরু হয়েছে।
 
সকাল ১০টায় কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে গণশুনানি শুরু হয়। এরপর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ও আহতদের স্মরণে শোক প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।
 
সকাল দশটায় শুরু হয়ে বিকাল ৪টায় শেষ হওয়ার কথা থাকলেও চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডের কারণে সময় কমিয়ে আনা হতে পারে বলে জানান মির্জা ফখরুল।
 
এ সময় তিনি বলেন, গত ৩০ ডিসেম্বর দেশে তথাকথিত একটি প্রহসনের নির্বাচন করা হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ না থাকার কারণে দেশে যা ইচ্ছা তাই করছে সরকার। তাকে কোনো কিছুর জন্য জবাবদিহিতা করতে হয় না।
 
গণশুনানির শুরুতে ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা বিচারক না, কোনো বিচার করার ক্ষমতা আমাদের নাই, কর্তব্যও নাই। শুনানী হচ্ছে গণশুনানি, জনগণের উদ্দেশে এরা বক্তব্য রাখবেন। বিচার যেটা হচ্ছে সেটা ট্রাইব্যুনালে হবে। আর গণআদালত যেটা বলা হয় সেটার বিচার জনগণ করবে। আমরা এসেছি অনুষ্ঠানটা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা হোক, সেজন্য। যে বক্তব্যগুলো আসবে সেগুলো পরে প্রকাশ করা হবে। বই আকারেও প্রকাশ করা হবে। সবার বক্তব্য রেকর্ড করা হবে।
 
তিনি বলেন, এই গণশুনানির মূল উদ্দেশ্য সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো। সংবিধানে আছে এই দেশের জনগণ এই দেশের মালিক। ভোটাধিকার রক্ষা করার জন্য আমরা স্বাধীনতাযুদ্ধ করে জয়ী হয়েছিলাম। সংবিধানের ৭ম অনুচ্ছেদে লেখা আছে জনগণ ক্ষমতার মালিক। এবার যে নির্বাচন হয়েছে, সেটা নিয়ে প্রার্থীদের অনেকে ট্রাইবুনালে মামলা আকারে ফাইল করেছে। দলের নেতাদের ধারণা হলো নির্বাচনের পদ্ধতি কি ঘটেছে সেটা জনগণকে জানানো দরকার। জনগণ যারা ক্ষমতার মালিক হিসেবে ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে চেয়েছিলেন, তাদের জানানো উচিত। নির্বাচনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরা, কি ঘটেছিল। কোর্টে যেটা হবে, মামলা ফাইল করা হয়েছে, সেটা হবে। কিন্তু জনগণ ক্ষমতার মালিক হিসেবে তাদেরও জানানো দরকার।
 
গণশুনানিতে ৭ সদস্যের বিচারক প্যানেলের প্রধান ড. কামাল হোসেন। তার সাথে আছেন ঢাবির সাবেক ভিসি ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, ড. নুরুল আমিন বেপারী, ড. মহসিন রশীদ, ড. আনিসুর রহমান খান, প্রফেসর দিলারা চৌধুরী ও ড. আসিফ নজরুল।
 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
Mohammed Shah Alam Khan ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৯:০২ পিএম says : 0
ডঃ কামাল মিয়া সংবিধান রচনার কমিটির প্রধান ছিলেন যে জন্যে তাঁর একটা প্রভাব ছিল বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের উপর। আর তিনি ডঃ কামাল মিয়া হলেন আজকে যে গণশুনানির বিচারক প্যানেলের প্রধান। এখন প্রশ্ন তিনি সংবিধানের দোহাই দিয়ে এই গণশুনানির আয়োজন করেছেন এটা কতটা গ্রহণযোগ্য সেটা নিয়ে নিন্দুকেরা প্রশ্ন তুলেছে। নিন্দুকেরা বলছে ঘতক দালাল নির্মূল কমিটি বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম গণশুনানির আয়োজন করেছিল। তাঁরা বহু আগে থেকেই প্রচার কাজ চালিয়ে জনগণকে উদ্ভদ্ধ করে তারপর শুনানি করেছিল প্রকাশ্যে বিরাট সভার আয়োজন করে যেটাকে বলা যায় গণশুনানি। নিন্দুকেরা আরও বলছে, কামাল মিয়া যে শুনানির আয়োজন করেছেন সেটা নিয়ে তিনি ওদের মতকরে জনগণের কোন ইচ্ছার ধার না ধেরেই নিজেরাই দলীয় মতামতের উপর তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় গণশুনানির আয়োজন করেছে। তারপর নিন্দুকেরা আরও বলছে পাকিস্তানিদের চিহ্নিত দোসরেরা আজ গণশুনানির বিচারক। যেমন কামাল মিয়া নিজেই একজন পাকিস্তানের দালাল কারন তিনি সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধের কোন বিষয়ই আনেননি। কিভাবে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে তাঁর কোন কথাই ডঃ কামালের নিয়ন্ত্রনাধীন কমিটির দেয়া সংবিধানে নেই। নিন্দুকেরা বলে এটা কামাল মিয়াগং করেছে তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য পকিস্তানকে কলঙ্কিত না করার জন্যে। সেইদিক থেকে এই বিতর্কিত সংবিধান নিয়ে পাকিস্তানের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্যে কামাল মিয়ার দোসর আইনজীবী ডঃ আসিফ নজরুল বক্তব্যের আকারে বিভিন্ন পত্রিকায় বলেছেন মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কোন কিছু সংবিধানে নেই কাজেই তাদের দাবী মানতেই হবে এমটা নয়। ৩০ লক্ষ শীহদ (সরাসরি রণাঙ্গনে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সহ) যাদের জীবনের বিনিময়ে এবং মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সহযোগীদের পরিবারের ২ লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হয়েছিল সেই দেশে বসবাস করে আসিফ নজরুলের মত একজন অকৃতজ্ঞ লোক রয়েছে এই বিচারক প্যানেলে!!! আবার আরেক চিহ্নিত পাকিস্তানিদের দালাল ঢবির ভিসি ডঃ এমাজউদ্দীন আহমদও এখানে আছেন বাকী যারা আছেন তাঁরা দেশের ঢাকঢোল পেটানো তেমন কেহ নন তবে এনাদের সবার নাম শুনা যায় এবং দেখা যায় পাকিস্তানিদের পক্ষের শ্লোগান গাইবার সময়ে। সেজন্যেই নাকি নিন্দুকেরা বলছেন এই বিচারক প্যানেলের কোন মূল্যই নেই জনগণের কাছে। প্রকৃতই এটাই আমরা বিভিন্ন আলোচনায় দেখছি এই বিষয়টা নিয়ে কাওরো কোন মাথা ব্যাথা নেই। ফলে আমার মনে হয় এটা মানে এই প্রহসনের গণশুনানি পত্রিকার সংবাদের মধ্যেই সীমাবধ্য থাকবে। আল্লাহ্‌ আমাকে সহ সবাইকে দেশের ও দশের কল্যাণে রাজনৈতিক ভাবে সচেতন করে তুলুন। আমিন
Total Reply(0)
Mohammed Shah Alam Khan ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৯:২২ পিএম says : 0
আজকে এই গণশুনানির সংবাদ পড়ে আমার মনে পড়ছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীর এক ঘটনার উপর বিরোধী দলের মন্তব্য ‘‘কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সন্ত্রাসবাদী হামলায় ৪০ জন জওয়ানের যখন মৃত্যু ঘটছে, খবর পাওয়া সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী তখন তথ্যচিত্রের শুটিং করছিলেন। প্রধান বিরোধী দলের প্রশ্ন, এমন মানসিকতার দ্বিতীয় কোনো প্রধানমন্ত্রী কি পৃথিবীতে আছেন? কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সন্ত্রাসবাদী হামলায় ৪০ জন জওয়ানের যখন মৃত্যু ঘটছে, খবর পাওয়া সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী তখন তথ্যচিত্রের শুটিং করছিলেন। প্রধান বিরোধী দলের প্রশ্ন, এমন মানসিকতার দ্বিতীয় কোনো প্রধানমন্ত্রী কি পৃথিবীতে আছেন” আমি সেই মন্তব্যের সাথে মিলিয়ে ভারতের বিরোধী দলের মন্তব্যের উপর বলতে চাই পৃথিবীতে কোন প্রধানমন্ত্রী আছে কিনা জানিনা তবে বাংলাদেশে তথাকথিত বিরোধী দল রয়েছে যারা রাজধানী ঢাকা চকবাজারে অগ্নিকান্ডে প্রচুর হতাহত হবার পরও নিজেদের স্বার্থে এনার এনাদের প্রহসন মূলক গণশুনানি নিয়ে ব্যাস্ত রয়েছেন। আল্লাহ্‌ আমাকে সহ সবাইকে মানুষের প্রতারনা মূলক কর্মকাণ্ড জানার, বুঝার ও সেটাকে প্রত্যাখ্যান করার ক্ষমতা দান করুন। আমিন
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন