শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (স.)

আগুনে পোড়া ধ্বংস্ত‚পের মধ্যে জ্বলজ্বল করছে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

চকবাজার চুড়িহাট্টার ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে জান, মালসহ ইট-পাথরের বিল্ডিং পুড়ে কঙ্কাল হয়ে গেলেও অক্ষত রায়েছে পবিত্র কালিমা ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ (স.)। গতকাল শুক্রবার ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পুরো এলাকাটি যেন এক মৃত্যুপুরীর আকার ধারণ করেছে। আগুনে পুড়ে যাওয়ার চিহ্ন বহন করছে এলাকার দালানকোটাসহ দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। মালামালসহ সব জিনিসপত্রই পুড়ে ছাই। আগুনে পোড়া ধ্বংসস্ত‚পের মধ্যে শুধু জ্বলজ্বল করছে ওয়াহিদ ম্যানশনের নীচতলায় রাজমনি হোটেলের প্রবেশদ্বারে সাঁটানো পবিত্র কালিমা ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ (স.)। পুরান ঢাকার চকবাজারের ভয়াবহ আগুন কেড়ে নিয়েছে বহু কিছু। আগুনে অঙ্গার হয়েছে ৬৭ প্রাণ। এই আগুনে পুড়ে ছারখার চকবাজারে চুড়িহাট্টার একাধিক ভবন। ওয়াহেদ ম্যানশনের আশপাশের ভবনগুলোও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চুড়িহাট্টা মোড়ের বাঁ দিককার রাজমনি হোটেলটিও পুড়ে গেছে। পুড়ে গেছে দোকানের আসবাব থেকে শুরু করে সাটারও। সামনের সাইনবোর্ডটাও অবশিষ্ট নেই। ভবন প্রচন্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিছু অংশ পড়েও গেছে।
তবে হোটেলে প্রবেশদ্বারে সাদা টাইলস খোদাই করে লেখা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (স.)’ অংশটুকু পুড়েনি। অবিকল অবস্থায় আছে। আরবি ও বাংলা ভাষায় লেখা মুসলমানদের পবিত্র কালিমায়ে তাইয়্যেবা অক্ষত দেখে অনেকেই অবাক হচ্ছেন। এটি অনেকের দৃষ্টিগোচরও হচ্ছে। অনেক ধর্মানুরাগীর মধ্যে এটি কৌতূহল সৃষ্টি করছে। জটলা পাকিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে অনেকে রাজমনি হোটেলের প্রবেশদ্বারে লেখা কালিমা দেখছেন। আর প্রশ্ন করছেন- সবই পুড়ল, কিন্তু কালিমা অক্ষত-এটি কীভাবে সম্ভব।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, গত বুধবারের আগুনে রাজমনি হোটেলের সামনের সাটার পুড়ে গেছে। দোকানের হাঁড়ি-পাতিলসহ আসবাব পুড়ে গেছে। কালি ও কেমিক্যালের ধোঁয়ার চিহ্ন লেগে আছে হোটেলের সাদা দেয়ালে। হোটেলের কর্মচারীরা বেঁচে আছেন কিনা কেউ বলতে পারছেন না।
উলেখ্য, রাজধানীর চকবাজার এলাকার নন্দকুমার দত্ত সড়কের চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পেছনের একটি ভবনে গত বুধবার রাতে আগুন লাগে। এ ঘটনায় অন্তত ৬৭ জন নিহত হন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (18)
Mahmood H Ove ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪২ এএম says : 0
পবিত্র কাবা কয়েকবার পুড়েছে চকবাজারের মসজিদ ঠিকঠাক আছে, ভালো তো। যতসব ধর্মীয় জ্ঞানহীন আবেগী...
Total Reply(0)
Md Abu Saleh Sarker ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৩ এএম says : 0
আল্লাহুআকবার
Total Reply(0)
Rafiq Sikder ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৩ এএম says : 0
আমিন
Total Reply(0)
Shabi Ibne Aref ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৪ এএম says : 0
অগ্নিকাণ্ড থেকে অক্ষত থাকা কুরআন অথবা মাসজিদের ছবি দেখিয়ে ইসলামের সত্যতা প্রমাণের প্রচেষ্টা চালানো উচিত নয়। এই পদ্ধতিতে ইসলামের উপকারের পাশাপাশি অপকারও হয়। পূর্বে বহু আগুনের ঘটনা ঘটেছে এবং সেগুলোতে অন্যান্য বস্তুর পাশাপাশি কুরআন পুড়েছে। তেমনি বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে মাসজিদ ধ্বংস হয়েছে। আপনি যখন ইসলামের সত্যতা প্রমাণে কুরআন বা মাসজিদ অক্ষত থাকার কোন ছবি সামনে আনবেন, ঠিক তখন আরেকজন আগুনে পোড়া কুরআনের বা ধ্বংসপ্রাপ্ত মাসজিদের ছবি সামনে নিয়ে আসতে পারেন। তখন কি ইসলাম চ্যালেঞ্জে পড়ে যাবে? মোটেই না। ইসলাম নিজেই একটি উজ্জ্বল বাতিঘর; একে অন্য আলোর মাধ্যমে আলোকিত করতে হয় না। আমরা মাতব্বরি দেখাতে গিয়ে নিজেরাই খাদে পড়ি। ইন্দোনেশিয়ার ভয়াবহ সুনামিতে আচেহ প্রদেশে একটি মসজিদ ধ্বংসযজ্ঞের মাঝেও টিকে যায়। এটা নিয়ে আমরা আলোচনায় মেতে উঠি, অথচ এই সুনামিতেই অন্যান্য স্থানের অনেক মাসজিদ-যে ধ্বংস হয়েছে সেটার কথা বেমালুম ভুলে যাই। তবে, এটা ঠিক যে, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে এবং অগ্নিকাণ্ডে কুরআন এবং মাসজিদ অক্ষত থাকার বহু বিস্ময়কর ঘটনা দেখা যায়। এগুলো মুমিনদের ঈমানকে বৃদ্ধি করে। তবে, এগুলো দেখিয়ে বেড়ানোর বিষয় নয়। বিশেষত, নাস্তিক এবং ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা এসব কারণে ইসলামকে নিয়ে ট্রল করার সুযোগ পায়। - Al Mujahid Arman
Total Reply(2)
Rashidul Hasan Shovon ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৫ এএম says : 4
আপনার কথা গুলা ঠিক. তবে একটা ব্যাপার কি যে বিশ্বাস করে সে ছোট্ট একটা নমুনা দেখেই বিশ্বাস করে আর যার বিশ্বাস করার বা বোঝার ইচ্ছা বা ক্ষমতা কোনোটাই নেই সে অনেক বড় নমুনা দেখেও বিশ্বাস করে না.
Habib Rahman ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১০:৪৪ এএম says : 4
This is miracle of Allah SWT like When was the firaun's dead body found, whereas the Quran said everything about firaun 1400 years back? and still his dead body kept in Egypt to learn all over the world peoples.
Sayem Khandaker ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৫ এএম says : 0
এইসব নিউজ দিয়ে ইসলাম নিয়ে সমালোচনার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হয়।আল্লাহ কোথাও বলেনি যে আগুন লাগলে কোরআন শরীফ পুড়বে না,ভুমিকম্পে মসজিদ ভাংবেনা।ফালতু নিউজ করে ইসলাম কে ছোট না করার অনুরোধ রইল
Total Reply(0)
Rakib Shuvo ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৫ এএম says : 0
বোমা হামলায় সিরিয়া, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের মসজিদ রক্ষা না হলেও চকবাজারে বাঁশের কেল্লার দোয়ায় রক্ষা পেয়েছে। রক্তের দাগ এখনও শুকায় নাই ,সব জায়গায় ধর্ম চালায়েন না ,
Total Reply(0)
Kawsar Imran ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৬ এএম says : 0
এগুলা নিছক কাকতালিও ব্যপার । ইসালামে এসবের স্থান নেই । এসব প্রচার করে ইসলামকে অবৈজ্ঞানিক চিত্রায়িত করবেন না ।
Total Reply(0)
Mehedi Chowdhury ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৬ এএম says : 0
মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা ঢাকতেই সুকৌশলে পত্রিকার মাধ্যে ধর্মেকল টানানো হচ্ছে। মানুষে ধর্মীয় আবেগ নিয়ে তামাশা বন্ধ করুন।
Total Reply(0)
Jamil Hossain ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৬ এএম says : 0
এটা আল্লাহর লীলাখেলা। আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করেন। আর তিনি সবচেয়ে উত্তম কাজ করে থাকেন। তার হেকমত বুঝার যোগ্যতা মানুষের নাই।
Total Reply(0)
Al Imran ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৭ এএম says : 0
আল্লাহ তুমি মহান,, এতোদিন শুধু শুনেই গেছি যে তোমার জিনিস তুমিই রক্ষাকরো এখন তো মিডিয়ার মাধ্যমে দেখারও শোভাগ্য হলো,,, মাফ করে দিও আল্লাহ,,, আমাদের উপরও রহম করো,, তুমিই আমাদের তথা মুসলমানদের শেষ ভরশা,,, আমিন
Total Reply(0)
Mohammad Salim Uddin ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৭ এএম says : 0
এটাই ইসলামের মুজেজা যে ইসলামকে কুরআন কে মহান আল্লাহই হেফাজত করেন করবেন সবসময়ই। যেমন আবরাহার হস্তি বাহিনী থেকে কাবা শরীফকে ছোট আবাবিল পাখি দিয়ে রক্ষা করেছিলেন,,,,,,,,,,,,,,, নুহ আঃ এর সময় মহা প্লাবনে আল্লাহ তায়লা তার ঘর কাবা শরিফকে উঠাই নিয়েছিলেন পরে আবার স্থাপন করলেন,,,,, ইন্দোনেশিয়ায় সুনামির সময় পুরা জনপদ ধ্বংস হয়েগিয়েছিল একমাত্র ওই এলাকার মসজিদ ছাড়া,,,, তুরস্কে সেই নৌবিহারে কুরআনকে অবমাননা করতে গিয়ে যে নাস্তিকরা সাগরে তলিয়ে গিয়েছিল তাও সবার জানা আছে নিশ্চয়ই,,,,,,, নিঃসন্দেহে এ গুলি মহান আল্লাহ কতৃক তার দ্বীনকে হেফাজতের নমুনা।
Total Reply(0)
S.r. Sagor ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৮ এএম says : 0
আল্লাহ তার নিদর্শন গুলা রেখে গেছে এর থেকে মানব জাতিকে শিক্ষা নেওয়ার জন্য তিনি চাইলে সবকিছু কর‍তে পারেন তিনি মহান তিনি রহিম রহমান ❤
Total Reply(0)
Shahadat Ullah Kayser ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৮ এএম says : 0
আর কুরআন ও হাসিদ পুড়ে গেলে ইসলাম মিথ্যা হয়ে যেতো?! কেউ যদি দেখায় কুরআন পুড়ে গেছে তাহলে কী আমার ইমান নষ্ট হয়ে যাবে? মনে রাখুন আল্লাহর প্রিয় সৃষ্টি মানুষ আগুন যদি মানুষকে রেহাই দিতো,,,
Total Reply(0)
মাওলানা মুহাম্মদ সাইফুজ্জামান ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৮ এএম says : 0
জীবন্ত কোরআন / কোরান হাফেজ, মাদ্রাসার হুজুর, নিস্পাপ শিশু অক্ষত থাকলে ভালো হইতো, কিন্তু কেমিকেল এর গুদাম ও অক্ষত আছে
Total Reply(0)
Al Jurain ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৯ এএম says : 0
দেশের কিছু নাস্তিক এর কারনে আজ আমাদের দেশে এত গজব পরতেছে এসব নাস্তিককে দেখানোর জন্য আল্লাহ তার লিলা দেখাচ্ছে এই পোস্ট দেখার পর আমিন বলার জায়গায় উল্টা কথা বলে আল্লাহ হেদায়াত দান করুক এদের
Total Reply(0)
মুস্তাফিজুর রহমান ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৯ এএম says : 0
জ্বী অবশ্যই আল্লাহ পাক মহান এবং মহা পরাক্রমশালী, তিনি এসবের মাধ্যমে সমগ্র মানবজাতি কে এটাই বোঝাচ্ছিলেন যে তোমরা ভেঙে পড়ো না ভরসা রাখো ‌আমি আল্লাহর উপর ।
Total Reply(0)
Wahiduz Zaman ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৯ এএম says : 0
এইরকম ঘটনা অনেক হয়ে থাকে এই জন্য যে আললাপাক যে একজন আছে এটাই জানান দেওয়ার জন্য । কোরআনে অনেক জায়গায় বলা আছে নিশ্চয়ই এইসব ঘটনা বিবেকবান মানুষের জন্য নিদর্শন ।
Total Reply(0)
মুহাঃ আসাদুল্লাহ আল গালীব ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১১:৪৮ এএম says : 0
যাদের অন্তরে ও চোখের উপর আল্লাহ তায়ালা মোহর মেরে দিয়েছেন তারা কখনো সত্যকে চেয়ে দেখে না এবং অনুধাবন করে না। সুস্পষ্ট ভাবে সত্য প্রমাণিত হলেও তারা ঘুরিয়ে পেচিয়ে অস্বীকার করে। মুলত তারা কোনো ক্রমেই মহা সত্যের দিকে ফিরে আসবে না।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন