শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

কিশোরের সঙ্গে প্রেম, ৩৫ বছরের নারীর বিয়ের দাবি

তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

পঞ্চগড়ে এক কিশোরকে ফাঁসানোর জন্য বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে এক নারী। শনিবার দুপুরে পঞ্চগড় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ওই কিশোরের বাবা জয়নুল ইসলাম এই অভিযোগ করেন। ১৭ বছরের কিশোর মো. বাবুকে বিয়ের দাবিতে ৩৫ বছরের ওই নারী তিন দিন ধরে তার বাড়িতেই অবস্থান করছে। ঘটনাটি সালিশের নামে স্থানীয় তিন ইইপি সদস্য মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। ঘটনার পর থেকে বাবু পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

তবে এ ঘটনায় কিশোর বাবুর আত্মীয়স্বজনসহ পরিবারের লোকজন অস্বস্তিতে পড়েছেন। পাশাপাশি অজানা আতঙ্কের মধ্যে পুলিশের সহযোগিতা চেয়েও পাওয়া যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, সদর উপজেলার অমরখানা ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান নুরু।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, পঞ্চগড় সদর উপজেলার কামাত কাজলদীঘি ইউনিয়নের ফুলপাড়া গ্রামের জয়নুল ইসলামের ছেলে মো. বাবু পাশের সদর ইউনিয়নের ডুডুমারী গ্রামে জমি চুক্তিতে নিয়ে উন্নত জাতের টমেটো আবাদ করে। এই সুযোগে ওই গ্রামের ফজিরত আলীর মেয়ে রেহেনা বেগম (৩৫) বাবুর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। গত ১৬ ফেব্রæয়ারি বিকালে জমিতে কাজ করা শ্রমিকদের টাকা দেওয়ার সময় অজ্ঞাত কয়েক জন যুবককে দিয়ে রেহেনা বাবুকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। এ সময় বাবুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তাকে বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে স্থানীয়ভাবে শালিশের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসা করা হয়। বৈঠকে রেহেনা বেগমকে ৫০ হাজার টাকা প্রদানের শর্তে বিষয়টি আপোষ নিস্পত্তি করা হয়। কিন্তু বৈঠক শেষে রেহেনা বেগমকে কোন টাকা না দিয়ে তিন ইউপি সদস্য সমুদয় টাকা ভাগ বাটোয়ারা করে নেন। তাদের পরামর্শে অতিরিক্ত সুবিধা লাভের আশায় পর দিন আবারও রেহেনা বেগমকে ওই কিশোরের বাড়িতে পাঠানো হয়।

অমরখানা ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান নুরু বলেন, সদর ইউপির তিনজন সদস্যের সহযোগিতায় বিষয়টি মিমাংসা করা হয়। কিন্তু ওই নারীকে
কোন টাকা না দিয়ে ওই তিন ইউপি সদস্য ৫০ হাজার টাকা ভাগ করে নেন। অতিরিক্ত টাকার আশায় বর্তমানে মেয়েটি ছেলের বাড়ির বাইরে অবস্থান করছে। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানোর পরও পুলিশের পক্ষ থেকে কোন সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। এসব বিষয়ে আইনের আশ্রয় না পেলে অসহায় মানুষগুলো কোথায় যাবে।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন