শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

রাসায়নিক কারখানার জমি বরাদ্দে ডিসিকে নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

আগামী তিন মাসের মধ্যে রাসায়নিক কারখানার জমি বন্দোবস্তের জন্য ঢাকা জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। চকবাজারের অগ্নি দুর্ঘটনার পর গতকাল রোববার সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা থেকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভা শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, জরুরিভিত্তিতে আবাসিক এলাকা থেকে রাসায়নিক কারখানা বা রাসায়নিক গুদামগুলো সরিয়ে নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। কতদিনের মধ্যে সরানো হবে জানতে চাইলে একই মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শাহ কামাল বলেন, আজকে থেকে সরানোর কাজ শুরু হচ্ছে। তিনি বলেন, আবাসিক এলাকায় যাদের লাইসেন্স আছে তাদের সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে, তাদের লাইসেন্সের আর কার্যকারিতা থাকবে না।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, অগ্নিকান্ডের পর ছয়টি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিগুলোর কাজ সমন্বয়ের জন্য আমরা বসেছিলাম। ২০১০ সালের নিমতলীর ঘটনার পর যে সুপারিশগুলো এসেছিল তার সঙ্গে আজকের সুপারিশগুলোর মিল খুঁজে পেয়েছি। আমরা জোর দিয়েছি সুপারিশগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করে ভবিষ্যতে চকবাজার বা পুরান ঢাকাতেই নয়, সারা বাংলাদেশে যাতে এ রকমের ভয়াবহ দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য আমরা সবাই সমন্বিতভাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে, জরুরিভিত্তিতে আবাসিক এলাকা থেকে রাসায়নিক কারখানা বা রাসায়নিক গুদামগুলো সরিয়ে নেওয়া। ঢাকার বাইরে সরকারি কোন জায়গায় প্লাট বরাদ্দ দিয়ে পলি­ তৈরি করা। ঢাকা জেলা প্রশাসক ৫২ একরের জমির কথা বলেছেন, সেটা তিনি ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবনার পরিপ্রেক্ষিতে বরাদ্দ দেওয়ার জন্য কাজ করবেন। এটা কেরানীগঞ্জে হতে পারে। তিন মাসের মধ্যে জায়গার বন্দোবন্তের ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, সিটি করপোরেশন থেকে সুপারিশ এসেছে অনুমোদনহীন কারখানাগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া। অগ্নিপ্রতিরোধ ও নির্বাপণ আইন, ২০০৩ ও ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অনুযায়ী ভবন তৈরি করার জোর দেওয়া হয়েছে। রাসায়নিক দ্রব্যের মজুদ, বাজারজাতকরণ এবং বিক্রির জন্য লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে তদারকি জোরদার করতে বলা হয়েছে। আবাসিক এলাকায় রাসায়নিক বা বিস্ফোরক দ্রব্যের মজুদ বা বিপণনের বিরুদ্ধে জনমত গঠন করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দ্রুত অগ্নি নির্বাপণের জন্য স্থানীয়ভাবে পানির লাইনসহ হাইড্রেন্ট পয়েন্ট স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
সচিব জানান, এ পর্যন্ত ৬৭টি মৃতুদেহের মধ্যে ৪৮টি হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি ১৯টি ডিএনএ নমুনা নেওয়া হয়েছে। সেগুলোর এক সপ্তাহের মধ্যেপ্রতিবেদন পাওয়া যাবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, রেড ক্রিসেন্ট, অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন