বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মামলা জট কমানো সরকারের চ্যালেঞ্জ: আইনমন্ত্রী

মুসলিম পারিবারিক আইন বাংলায় অনুবাদ হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৭:৫৯ পিএম

বর্তমান সরকার মামলা জট কমানোকে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। এ জন্য সরকার বিচারকের সংখ্যা বাড়ানোসহ বেশকিছু কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও জানান তিনি।

আজ সোমবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের অধিবেশনে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য সৈয়দ আবু হোসেনের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানান আইনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের উচ্চ আদালত ও অধস্তন আদালতে সর্বমোট বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩৫,৬৯,৭৫০টি। এর মধ্যে বিচারাধীন ফৌজদারি মামলার সংখ্যা ২০,৪৮,০৬৭টি। বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধন হয়েছে। বর্তমান সরকার মামলা জট কমানোকে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আইনমন্ত্রী বলেন, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ সারা দেশের ফৌজদারি মামলার দীর্ঘসূত্রিতা কমিয়ে বিচার কাজ ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে বিচারকের সংখ্যা বৃদ্ধি ও এজলাস সংকট নিরসনে বেশকিছু কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে। এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে। বিচার কাজে গতিশীলতা বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকারের বিশেষ উদ্যোগে বিভিন্ন পর্যায়ের বিচারকের সংখা বাড়ানো হাচ্ছে।
আনিসুল হক বলেন, জুটিশিয়াল সার্ভিস কমিশনকে গতিশীল করা হয়েছে যাতে শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগ দেওয়া যায়। ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত অধস্তন আদালতে মোট ৫৭১ জন সহকারী জজ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং ইতোমধ্যে সারাদেশে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদায়ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে ২২তম জুডিশিয়াল সার্ভিস নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে সহকারী জজ নিয়োগের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে মৌখিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এ বছরের শূন্য পদ বিবেচনায় বিজ্ঞাপনে উল্লেখিত সংখ্যার অতিরিক্ত ৫০ জনসহ মোট ১০০ জন প্রার্থীকে চুড়ন্ত ভাবে মনোনয়নপূর্বক সহকারী জজ পদে নিয়োগের সুপারিশ করার জন্য বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনকে ইতিমধ্যেই অনুরোধ করা হয়েছে। তাছাড়া আইন ও বিচার বিভাগ থেকে পরবর্তীতে আরো ১০০ জন সহকারী জজ নিয়োগের জন্য বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন চাহিদাপত্রও পাঠিয়েছে।

মুসলিম পারিবারিক আইন বাংলায় অনুবাদ হচ্ছে : হাজী মো. সেলিমের এক প্রশ্নের জবাবে আইন মন্ত্রী জানান, সকল নাগরিকদের বোঝার সুবিধার্থে ‘মুসলিম ফ্যামেলি ল’ অর্ডিন্যান্স, ১৯৮৫’ কে বাংলায় অনুবাদ করার কার্যক্রম গ্রহন করা হয়েছে। মুসলিম পারিবারিক আইন অধিকতর সংশোধনের কোন পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই। তিনি বলেন, মুসলিম পারিবারিক আইন একটি স্বয়ং সম্পূনৃ আইন। এটি ব্যক্তিগত আইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা। বিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেদ, ভরণপোষণ, পিতৃত্ব, উত্তারাধিকার ইত্যাদি বিষয়সমূহ এ আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। বিয়য়গুলোর সাথে ধর্মীয় অনুশাসনসহ সমাজিক অন্যান্য বিষয়াদি ওতপ্রোতভাবে জড়িত্। এই আইনের মাধ্যমে পারিবারিক এই বিষয়সমূহ যথাযথভাবে আদালত কর্তৃক নিস্পত্তি করা হচ্ছে। তবে ভবিষ্যতে উক্ত আইন সংশোধনের কোন প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হলে সংশ্লিষ্ট সুবিধাভোগী ও বিশেষজজ্ঞদের সাথে আলোচনাক্রমে ধর্মীয় বিধি বিধানের দিকে লক্ষ্য রেখে যাচাই-বাছাই করে বিদ্যমান আনি সংশোধনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Mohammed Shah Alam Khan ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৮:৩২ এএম says : 0
এখানে আইনমন্ত্রী ওনাদের বিবেচনার উপর বক্তব্য রেখে বলেছেন বিচারক বৃদ্ধি হচ্ছে কাজেই মামলার জট নিরশন হবে মানে মামলার জট কমে যাবে। কিন্তু এ বিষয়ের উপর আমি অনেকবার মন্তব্য করে আসছি যে, বিচারক ও আদালত বৃদ্ধি করে কোন লাভ হবে না যতক্ষন পর্যন্ত উকিলদেরকে সত্য কথা বলতে বাধ্য করা না হবে। এই উকিলরা তাদের মক্কেলদেরকে মিথ্যা শিখিয়ে মামলার জটিলতার সৃষ্টি করে এবং মামলাকে দীর্ঘায়িত করে এমনকি দু’পক্ষের উকিলেরা মক্কেলের অগচরে মামলাকে লম্বা করার উদ্দেশ্যে তারিখের পর তারিখ নিতেই থাকে। এভাবে মামলাকে বছরের পর বছর উকিলেরাই টেনে নেয় নিজের পকেট তাজা রাখার জন্যে। কাজেই যতক্ষন না এসব উকিলদেরকে নিয়ন্ত্রন করা না যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত মামলার জট কমানো কোনভাবেই সম্ভব নয় এটা মন্ত্রী বাহাদুর বুঝেও না বুঝার ভান করেন কারন তিনি নিজেও একজন উকিল। বছর কয়েক আগে এই মন্ত্রী বাহাদুর বলেছিলেন তিনি উকিলদেরকে নিয়ন্ত্রন করার জন্যে আইন প্রণয়ন করবেন। কিন্তু ঐ পর্যন্তই... কিসের আইন কিসের কি...... উকিল বাবুরা পুলিশের মত বলেন না যে তাঁরা আদালতের রাজা কিন্তু আসলে আদলতের রাজ হচ্ছেন উকিল বাবু সেখানে বিচারকরা হচ্ছেন উকিলদের...... কাজেই আমাদের অনুরোধ ছিল প্রধানমন্ত্রীর নিকট কিন্তু তিনিও পুলিশের মতই উকিলের ব্যাপারেও আমাদেরকে সাহয্য করতে নারাজ বলেই মনে হচ্ছে। তাই আমাদের আল্লাহ্‌ ছাড়া আর কোন গতী নেই। ইসলাম অনুযায়ী যেহেতু আমরা অসহায় কমজোর মানুষ তাই আমাদের এখন উকিলবাবুদেরকে ঘৃনা করে আল্লাহ্‌র কাছেই ফরিয়াদ করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। আমিন
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন