টানা বৃষ্টিতে ডুবে গেছে খুলনার পথঘাট। চারদিকে পানি থইথই। বৃষ্টিতে নগরীর বিভিন্ন রাস্তায় হাঁটু পানি জমে গেছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টার পর থেকে শুরু হওয়া বজ্রসহ ঝড়-বৃষ্টি সারাদিন অব্যাহত ছিল। অনেক স্থানে শিলাবৃষ্টিও হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত খুলনায় ৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে খুলনা আবহাওয়া অফিস।
টানা বৃষ্টিপাতে নগরীর পথ-ঘাট নিমজ্জিত হওয়ায় চরম জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। সড়কে পথচারী ও যানবাহন চলাচল কমে গেছে। এক প্রকার ফাঁকা হয়ে পড়েছে শহর। সেই সঙ্গে বেড়েছে শীতের তীব্রতাও।
মঙ্গলবার ভোর থেকেই আকাশ মেঘলা ছিল। কিন্তু সকাল ৯টার দিকে হঠাৎ চারদিক অন্ধকার হয়ে শুরু হয় বজ্রসহ শিলাবৃষ্টি। বৃষ্টিতে মহানগরীর রাস্তায় হাঁটু পানি জমে গেছে। সড়কে যানবাহন চলাচলও থমকে গিয়ে ভোগান্তির মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। ব্যস্ততম রয়্যালের মোড়, শামসুর রহমান রোড, পিটিআই মোড়, শান্তিধামের মোড় পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে নগরবাসী।
নগরীর বাসিন্দা বোরহান বিশ্বাস বলেন, ‘সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি। নগরীর রাস্তা খোড়াখুড়িতে ছোট বড় গর্তে পানি জমে চলাফেরায় ভোগান্তি আরো বেড়েছে। মশার উৎপাতও বেড়েছে।
শিল্প এলাকার আমির হোসেনও বললেন, ‘পানিতে সয়লাব খুলনা শহরে এখন ওয়াসার খুড়ে রাখা গর্ত মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ পঙ্কজ কান্তি মজুমদার জানান, হালকা শিলাবৃষ্টিতে বোরো ধানের উপকার হবে। তবে, আমের মুকুলের সামান্য ক্ষতি হতে পারে।
খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ জানান, সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত খুলনায় ৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের গতিবেগ ছিলো ৫৬ কিলোমিটার। হালকা শিলাবৃষ্টিও হয়েছে। কালবৈশাখী ঝড় আসার প্রভাবে এ ধরনের আগাম বৃষ্টিপাত হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন