শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

জনগণের চোখে ধুলা দিতেই গণশুনানির নাটক

সাংবাদিকদের তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

বিএনপির গণশুনানিতে সবাই গণঘুমে ব্যস্ত ছিলেন বলে মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে দেখলাম, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিএনপির গণশুনানির সময় তারা সবাই ঘুমাচ্ছিলেন। গণশুনানির নামে এটি আসলে জনগণের চোখে ধুলা দেওয়ার জন্য একটি নাটক মঞ্চায়ন করা হয়েছে। এর কোনো আবেদন তারা জনগণের কাছে তৈরি করতে পারেন নি।
গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ রিপোর্টার্স ফোরামের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। মন্ত্রী বলেন, তাদের দলের একজন নেতা বলেছেন, গণশুনানির পাশাপাশি তাদের নেতাদের শুনানি করা প্রয়োজন, কার কি ভূমিকা ছিল সে বিষয়ে। আমিও মনে করি তাদের নেতাদের শুনানি করার প্রয়োজন, কার কি ভূমিকা ছিল এবং আছে। সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গতকাল ডঃ কামাল হোসেন, মির্জা ফখরুল ইসলামসহ তাদের একটি প্রতিনিধিদল ইউএস রাষ্ট্রদূতসহ কয়েকজন কূটনীতিকের সঙ্গে দেখা করেছেন। প্রকৃতপক্ষে দেশের জনগণই হচ্ছে ক্ষমতার মালিক। জনগণের বাইরে অন্য কেউ ক্ষমতার মালিক নয়। বিএনপি কিংবা ঐক্যফ্রন্ট ঘনঘন বিদেশিদের সঙ্গে দেখা করার মাধ্যমে তাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব প্রকাশ পায়।
বাংলাদেশ ক্লাইমেটচেঞ্জ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি কাউসার রহমানের সভাপতিত্বে ‘জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি মোকাবিলায় গণমাধ্যম’ শীর্ষক এ মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক প্রমুখ।
কমিউনিটি রেডিও চালুর পরিকল্পনা
এদিকে গতকাল বিকালে সংসদে বিরোধীদলের সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গাঁর এক তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, সরকারি ব্যবস্থাপনায় দেশে কমিউনিটি রেডিও চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালে কমিউনিটি রেডিও স্থাপন, সম্প্রচার ও পরিচালনা নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়। পরবর্তীতে নীতিমালাটি সংশোধন করে কমিউনিটি রেডিও স্থাপন, সম্প্রচার ও পরিচালনা নীতিমালা-২০১৭ প্রণয়ন করা হয়। কমিউনিটি রেডিও স্থাপন, সম্প্রচার ও পরিচালনার জন্য প্রথম পর্যায়ে ২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ১টি সরকারিসহ মোট ১৪টি এবং ২০১৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ১৮টিসহ সর্বমোট ৩২টি কমিউনিটি রেডিওকে পরীক্ষামূলক সম্প্রচারের জন্য লাইসেন্স প্রদান করা হয়। এরমধ্যে ৩১টি এনজিও ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এবং একটি সরকারি (কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ কৃষি তথ্য সার্ভিস পরিচালিত বরগুনার আমতলীতে অবস্থিত ‘কৃষি রেডিও’)।
তথ্যমন্ত্রী জানান, কমিউনিটি রেডিও’র মধ্যে ১৭টি কমিউনিটি রেডিও’র সম্প্রচার কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং ১৫টি কমিউনিটি রেডিও সম্প্রচারের অপেক্ষায় রয়েছে। অপেক্ষমান কমিউনিটি রেডিওগুলো সম্প্রচারে আসলে নতুন করে কমিউনিটি রেডিও চালু করার প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে।#

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন