সিলেটের ওসমানীনগরে পূর্ব বিরোধের জের ধরে নিজ প্রাইভেট কার দিয়ে নিজেই গাড়িচাপা দিয়ে অধ্যক্ষ মাওলানা শায়খুল ইসলামকে হত্যারদায় স্বীকার করেছে একই মাদ্রাসার বাংলার প্রভাষক ঘাতক লুৎফুর রহমান ওরফে আজাদ। গত মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুলেখা দে’র আদালতে ফৌজদারি দণ্ড বিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে লুৎফুর।
আদালতের বরাত দিয়ে অধ্যক্ষ হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসমানীনগর থানার এসআই মুমিনুল ইসলাম পিপিএম(সেবা) বলেন, মাদ্রাসায় দায়িত্বপালন সহ বিভিন্ন অভিযোগের কারণে নিহত অধ্যক্ষ মাওলানা শায়খুল ইসলামের সাথে একই মাদ্রাসার অভিযুক্ত প্রভাষক লুৎফুর রহামরে পূর্ব বিরোধ চলে আসছিল। তারই জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে গাড়িচাপা দিয়ে হত্যার ছক আটে লুৎফুর। ঘটনার দির সকালে পূর্বে থেকে নিজ প্রাইভেটকার নিয়ে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে অবস্থান নেয় প্রভাষক লুৎফুর। গোয়ালাবাজার থেকে নিজ মোটরসাইকেল যোগে মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলে প্রাইভেটকার চালিয়ে পিছু নেই প্রভাষক লুৎফুর রহমান। মহাসড়কের বুরুঙ্গা সড়কের মুখে যাওয়া মাত্রই পেছন দিকে মোটরসাইকেল আরোহী অধ্যক্ষ সাইখুল ইসলামকে সজোরে ধাক্কা দেয় লুৎফুর রহমানে প্রাইভেটকার। ঘটনাস্থলেই মৃত্যুরকোলে ঢলে পরে মাওলানা শায়খুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মোটরসাইকেল যোগে বুরুঙ্গা শেখ ফজিলাতুন্নেছা ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ শায়খুল ইসলাম মাদ্রায় যাচ্ছিলেন। প্রাইভেট কার নিয়ে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা একই মাদ্রাসার বাংলার প্রভাষক লুৎফুর রহমান ওরফে আজাদ নিজ প্রাইভেট কার দিয়ে অধ্যক্ষ শায়খুল ইসলামকে চাপা দিলে ঘটনা স্থলেই শায়খুল ইসলাম নিহত হন। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে গত ১৮ ফেব্রুয়ারী নিহতরে স্ত্রী দিলবাহার তালুকদার লিপি (৩৭) বাদী হয়ে শেখ ফজিলাতুন্নেছা ফাজিল মাদ্রাসার বাংলা বিভাগের প্রভাষক ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের মৃত তাহির আলীর ছেলে লুৎফুর রহমান ওরফে আজাদ(৪৪) প্রধান আসামী ও অজ্ঞাতনাম আরো ৫/৬জনকে আসামী করে একটি হত্যা(মামলা নং-১৩) দায়ের করেন। হত্যা মামলার প্রেক্ষিতে গত ২৫ ফেব্রুয়ারী ভোরে অভিযুক্ত লুৎফুরকে সিলেট শহর থেকে ওসমানীনগর থানা পুলিশ গ্রেফতার করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন