শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

মুসলিম ভ্রাতৃত্ববোধের বিরুদ্ধে লড়াই করছে ভারত -তুরস্ক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৩:৩৯ পিএম

কাশ্মীর ইস্যুতে সীমান্ত উত্তেজনা বেড়েই চলেছে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে। এই উত্তেজনায় সরব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও। ভারত-পাকিস্তনের মধ্যকার এই উত্তেজনা নিয়ে এবার মতামত দিয়েছে মুসলিম প্রধান রাষ্ট্র তুরস্ক। দেশটি বলছে, মুসলিম ভ্রাতৃত্ববোধের বিরুদ্ধে লড়াই করার চেষ্টা করছে ভারত। বুধবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ কোরাইশীর সঙ্গে ফোনালাপে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার বিষয় নিয়ে কথা বলেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসওগ্লু। এসময় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ভারতের ওআইসি সম্মেলনে অংশগ্রহণের অধিকার নেই বলেও জানিয়েছেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভারত মুসলিম ভ্রাতৃত্ববোধের বিরুদ্ধে লড়াই করার চেষ্টা করছে। তাই সুষমা স্বরাজের ওআইসির বৈঠকে অংশগ্রহণের কোনো অধিকার নেই।
উল্লেখ্য, বুধবার সকালে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ কোরাইশী জানিয়েছিলেন, তুরস্ক দ্বিধাহীনভাবে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। এদিকে ভারত যদি ওআইসির বৈঠকে অংশগ্রহণ করে তবে বৈঠক প্রত্যাখ্যান করবে পাকিস্তান। টিভি চ্যানেল জি নিউজের ‘জিয়ো পাকিস্তান’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ কোরাইশী বলেন, ওআইসির আসন্ন বৈঠকে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে বক্তব্য দেয়ার সুযোগ দেয়া হলে আমরা তাতে অংশ নেবো না। এ বিষয়ে তুরস্কও আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছে। আজ তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসওগ্লুর সঙ্গে আমার টেলিফোনে কথা হয়েছে। তুরস্ক দ্বিধাহীনভাবে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে।’
এদিকে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা কাটিয়ে উঠতে তুরস্ক মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এই বিষয়ে তুরস্ক ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম টিআরটির খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তান-ভারতের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা কাটিয়ে উঠতে তুরস্ক মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে চায়।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসওগ্লু জানিয়েছেন, ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিরসনে আলোচনার কোনো বিকল্প নেই। দু’দেশের মধ্যে শান্তিপূর্ণ আলোচনার আয়োজন করতে তুরস্ক সবধরণের সহায়তা করবে।
তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উভয়দেশের মধ্যে যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তা আসলেই উদ্বেগজনক। উভয় দেশেকে আলোচনায় বসানোর জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
Soriatullah ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৮:৪১ পিএম says : 0
Alhamdulillah
Total Reply(0)
Safiqul islam ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৯:১৩ পিএম says : 0
A friend in need is a friend in deed
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন