শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

রফতানি উন্নয়ন তহবিল এখন ৩.৫ বিলিয়ন ডলার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ১ মার্চ, ২০১৯, ১২:১০ এএম

রফতানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) পরিমাণ আরও ৫০ কোটি ডলার বাড়িয়ে ৩৫০ কোটি (৩.৫ বিলিয়ন) ডলার করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এ তহবিল বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম। ‘রফতানি আয় বাড়াতেই ইডিএফের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে’ জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিবছরই আমাদের রফতানি বাড়ছে। গত অর্থবছরে বিভিন্ন পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ ৩৬.৬৭ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে। চলতি অর্থবছরের জানুয়ারি পর‌্যন্ত (সাত মাসে) ১৪ শতাংশের মতো প্রবৃদ্ধি হয়েছে। “রফতানি আয় বৃদ্ধির ইতিবাচক এই ধারার সঙ্গে তালমিলিয়ে তৈরী পোশাকসহ সব খাতের রফতানিকারকদের চাহিদার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এ তহবিলের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।
তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ এবং বস্ত্র শিল্প মালিকদের সংগঠন বিটিএমএ’র অনুরোধে তহবিলেল পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে বলে জানান বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম।
রফতানি খাতে সহায়তা দিতে ১৯৮৯ সালে মাত্র তিন কোটি ডলার দিয়ে ইডিএফের যাত্রা শুরু হয়। দফায় দফায় বাড়িয়ে এই তহবিলের পরিমাণ এখন ৩৫০ কোটি (তিন বিলিয়ন) ডলারে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে লাইবরের (লন্ডন ইন্টারব্যাংক অফার রেট) সঙ্গে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ যোগ করে ইডিএফের সুদের হার নির্ধারণ করা হচ্ছে।
ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ইডিএফ থেকে লাইবর+১ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে রফতানিকারকদের লাইবর+২.৫ শতাংশ সুদে ঋণ দিচ্ছে। রফতানি উন্নয়ন তহবিলের পরিমাণ বাড়ানোয় রফতানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক রফতানিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ সহ-সভাপতি ফারুক হাসান। তিনি বলেন, ইডিএফ ফান্ড থেকে ঋণ নিলে সুদের হার ব্যাংকের চেয়ে কম পড়ে। সে কারণে আমাদের অনেক রফতানিকারক এই ফান্ড থেকে ঋণ নিয়ে থাকেন। বিজিএমইএর সদস্যভ‚ক্ত পোশাক রফতানিকারকরা এই তহবিল থেকে সর্বোচ্চ আড়াই কোটি (২৫ মিলিয়ন) ডলার ঋণ নিতে পারেন। বস্ত্র শিল্প মালিকদের সংগঠন বিটিএমএর’র সদস্যরাও একই পরিমাণ ঋণ নিতে পারেন।
বিজিএমইএ, বিটিএমইএ সদস্যরা ছাড়াও চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, সিরামিক, ওষুধসহ বিভিন্ন খাতের রফতানিকারকরা এই তহবিল থেকে ঋণ সুবিধা পেয়ে থাকে। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) বিভিন্ন পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ দুই হাজার ৪১৮ কোটি (২৪.১৮ বিলিয়ন) লাখ ডলার আয় করেছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেশি। এই রফতানি আয়ের ৮৪ শতাংশের বেশি এসেছে তৈরি পোশাক থেকে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন