বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

রাজনীতিকীকরণের জন্য সমালোচনায় মোদি

কাশ্মীর সীমান্তে গোলাগুলিতে নিহত ৭ : ভারতে পাল্টে যাচ্ছে মিগ ২১ অভিনন্দন নাম রাখার হিড়িক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

পাকিস্তানের সাথে ভারতের চলমান সঙ্কটকে গুরুত্বের সাথে না দেখে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহারের জন্য দেশের অভ্যন্তরেই কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাকিস্তানের সাথে কোন শান্তি আলোচনায় না বসার দৃঢ় সংকল্পের মধ্যেও আগামী ১৪ মাচ কারতারপুর করিডোর মডালিটি বিষয়ক পূর্বনির্ধারিত আলোচনায় ভারত যোগ দেবে বলে সূত্র জানিয়েছে। কাশ্মীর নিয়ে আলোচনার জন্য চীন ভারত ও পাকিস্তানে শিগগিরই দূত পাঠাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। ভারতীয় পাইলট অভিনন্দনকে ফেরৎ দেবার পরও দু’দেশের মধ্যে সীমান্ত যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে। গোলাগুলিতে পাকিস্তানের দু’জন সেনা সদস্য ও দু’জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। অপরদিকে অধিকৃত কাশ্মীরের দুই সন্তানসহ এক মা নিহত হয়েছেন। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, কাশ্মীরের নাগরিকদের জীবন নির্ভর করছে ভারতীয় সেনা সদস্যদের মর্জির ওপর। ভারতের সামরিক বিমান গুলি করে ভূপাতিত করতে পাকিস্তান চীনের তৈরি জেএফ-১৭ জঙ্গিবিমান ব্যবহারে করেছে বলে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর একজন সাবেক কর্মকর্তা যে দাবি করেছেন তার সত্যতা নিশ্চিত করতে অস্বীকার করেছে বেইজিং।
পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে বিধ্বস্ত হওয়ার পর এখন যুদ্ধ পরিকল্পনা থেকে বাদ পড়তে যাচ্ছে মিগ ২১। সেক্ষেত্রে নিজেদের তৈরি হাল্কা তেজস ব্যবহার করা হতে পারে বলে জানা গেছে। এদিকে ব্যাপক আলোচনার প্রেক্ষিতে ভারতে শিশুদের নাম অভিনন্দন রাখার হিড়িক পড়ে গেছে। সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন, ডন, এনডিটিভি, পার্স টুডে, এএফপি ও বিবিসি। অভিনন্দন বর্তমানকে ফেরৎ আনায় ভারতের মিডিয়া একতরফাভাবে নরেন্দ্র মোদি বন্দনায় ব্যস্ত থাকলেও দেশের সাধারণ মানুষের মাঝে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। প্রতিবেশী দেশের সাথে যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব উপেক্ষা করে নির্বাচনী প্রচার ও দৈনন্দিন কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকায় তার বিরুদ্ধে অন্দরমহলে চলছে ব্যাপক সমালোচনা। বিশেষ করে প্রতিপক্ষের শান্তির আহ্বানের বিপরীতে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে প্রতিশোধের হুমকি এমনকি দেশের মানুষকে উত্তেজিত করে তোলার মধ্যে চলতি বছরের নির্বাচনকে উপলক্ষ্য করে রাজনীতি হিসেবেই দেখা হচ্ছে। নির্বাচনে লাভবান হবার জন্য পরিণতির কথা বিবেচনা না করে যুদ্ধের দামামায় হাওয়া দিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি, তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ তার দলের নেতাকর্মীরা। পরমাণু শক্তিধর দেশ দু’টির চূড়ান্ত অস্ত্র ব্যবহারের ফলে শুধুমাত্র দেশদু’টিই যে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, বরং বিশ্বজুড়ে বিপর্যয় দেখা দেবে তা রাজনীতির খেলায় বুঁদ হয়ে থাকা ভারতের ক্ষমতাসীনদের বিবেচনাতেই নেই বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
বিরোধী দলগুলো এক যুক্ত বিবৃতিতে সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বলেছে যে, প্রধানমন্ত্রী ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা পাকিস্তানের সাথে চলমান সঙ্কটকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে। ২১ দলীয় গ্রুপের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে সর্বদলীয় বৈঠক না করে সরকার এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত একটি রীতি লঙ্ঘন করেছে। এতে বলা হয়েছে, “জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে অবশ্যই সঙ্কীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থের উর্ধ্বে উঠতে হবে”।
১৪ মার্চের নির্ধারিত বৈঠকে যোগ দিতে প্রস্তুত ভারত
এদিকে কারতারপুর করিডোরের মডালিটি চূড়ান্ত করতে পাকিস্তানের সঙ্গে ১৪ মার্চের নির্ধারিত বৈঠকে যোগ দিতে ভারত প্রস্তুত। দুই প্রতিবেশী দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ভারতীয় সূত্রগুলো এ কথা জানায়। সূত্র জানায়, ভারত কারতারপুর ইস্যুতে এখনো আলোচনা করতে প্রস্তুত কারণ এর সঙ্গে বিপুল সংখ্যক ভারতীয়ের আবেগ জড়িত। তারা বলেন, পাকিস্তানের দেয়া আলোচনার প্রস্তাব ভারত গ্রহণ করেছে।
কাশ্মীর সীমান্তে ফের গোলাগুলি, দুই পাক সেনাসহ নিহত ৪
পাকিস্তানে আটক ভারতীয় উইং কমান্ডার অভিনন্দনকে ফেরত প্রদানের কিছুক্ষণ পরই ভারতীয় বাহিনীর গুলিতে ২ পাকিস্তানি সৈন্য নিহত হওয়ার দাবি করেছে পাকিস্তান। সীমান্তের লাইন অব কন্ট্রোলে ভারতীয় সেনাদের চালানো গুলিতে সেনা সদস্যের পাশাপাশি দু’জন বেসামরিক নাগরিকও নিহত হয়েছে।
পাকিস্তান আইএসপিআর গতকাল এক বিবৃতিতে জানায়, ভারতীয় বাহিনী কোনো কারণ ছাড়াই লাইন অব কন্ট্রোলে বেসামরিক নাগরিকদের ঘরবাড়ি লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এতে দু’জন সেনা সদস্য ও দু’জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। এ ছাড়াও অনেকে আহত হয়েছে। আহতদের কোটলি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নিহত দুই সেনার নাম হাবিলদার আবদুর রব ও খুররম বলে আইএসপিআরের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
ভারতীয় বাহিনীর হামলায় পর পাকিস্তানও পাল্টা গুলিবর্ষণ করেছে এবং সীমান্তে পাক বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে।
এদিকে ভারত দাবি করছে জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলার নিয়ন্ত্রণরেখায় শুক্রবার রাতভর গোলাগুলিতে রুবানা কসার (২৪) নামে এক মা এবং তার দুই শিশুসন্তান নিহত হয়েছে।
গত আট দিন ধরে কাশ্মীরের পুঞ্চ এবং রাজৌরি জেলার নিয়ন্ত্রণরেখায় প্রতিবেশী দুই দেশের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি চলছে।
ভারতীয় জঙ্গি বিমান ঘায়েল জেএফ-১৭ থান্ডারে
ভারতের সামরিক বিমান গুলি করে ভূপাতিত করতে পাকিস্তান চীনের তৈরি জেএফ-১৭ জঙ্গিবিমান ব্যবহারে করেছে বলে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর একজন সাবেক কর্মকর্তা যে দাবি করেছেন তার সত্যতা নিশ্চিত করতে অস্বীকার করেছে বেইজিং। বুধবার সকালে এই দাবি ওঠার দুই ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে চীনের শেনেঝেন শেয়ারবাজারে এই বিমান তৈরির রাষ্ট্রায়ত্ব কোম্পানির একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়ে যায়।
বৃহস্পতিবার চীনা কর্তৃপক্ষকে প্রশ্ন করা হয় যে, পাক-ভারত সঙ্ঘাতে চীনের তৈরি জেএফ-১৭ জঙ্গীবিমান ব্যবহার করা হয়েছে কিনা। কিন্তু চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় এর কোন জবাব দেয়নি।
তবে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতের সঙ্গে সঙ্ঘাতে আমেরিকার তৈরি এফ-১৬ জঙ্গিবিমান ব্যবহারের কথা অস্বীকার করে। ফলে দেশটির জেএফ-১৭ জেট ব্যবহার নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। আর সাবেক এক পিএএফ অফিসারের টুইট এই সম্ভাবনাকে আরো জোরালো করে। অবসরপ্রাপ্ত এয়ার মার্শাল শাহিদ লতিফ বুধবার সকালে তার টুইটে লিখেন, গর্বের সঙ্গে বলছি যে, আমি জেনারেল পারভেজ মোশাররফের আমলে (২০০১-২০০৮ সাল) পাকিস্তান ও চীনের যৌথ উদ্যোগ জেএফ-১৭ থান্ডার কর্মসূচির প্রকল্প পরিচালক ছিলাম। সেই বিমানই পাকিস্তানের আকাশসীমা লঙ্ঘনকারী ভারতীয় জঙ্গিবিমানগুলোকে গুলি করে ভূপাতিত করেছে। এই টুইটের দুই ঘন্টা পর মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যে চীনের শেনঝেনে তালিকাভুক্ত জেএফ-১৭ থান্ডারের নির্মাতা চেংদু এয়ারক্রাফট কর্পোরেশন (সিএসি)’র অঙ্গ প্রতিষ্ঠান শিয়ান চেংফেই ইন্টিগ্রেশন টেকনলজি (এসসিআইটি)’র শেয়ারের দাম ১০% বেড়ে যায়। এই দাম চীনের শেয়ারবাজারে একদিনে অনুমোদিত সর্বোচ্চ পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছে। বৃহস্পতিবার আরো ১০% বৃদ্ধি পায় এসসিআইটির শেয়ারের দাম। পিএএফের কাছে ১১০টির মতো জেএফ-১৭ রয়েছে।
পাকিস্তানের এক আঘাতেই বাতিল হচ্ছে ভারতের মিগ ২১
যে মিগ নিয়ে কদিন আগেই গর্বের সুর শোনা গিয়েছিল ভারতের পক্ষ থেকে, পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে তার দুটি বিধ্বস্ত হওয়ার পরই এখন শোনা যাচ্ছে অন্য কথা। যুদ্ধ পরিকল্পনা থেকে বাদ পড়ছে মিগ ২১। কাশ্মিরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলার জেরে পাকিস্তানে গিয়ে হামলা চালাতে গিয়েছিল মিগ ২১। এই বিমানটি নিয়ে ভারতের অনেক গর্ব ছিল। কিন্তু পাকিস্তানের হামলায় দুটি মিগ ২১ বিধ্বস্ত হয়। গ্রেফতার হয় একজন পাইলট।
কিছুটা আগের আমলের নকশায় নির্মিত হলেও মিগ ২১ ছিল হামলার ক্ষেত্রে খুবই উপযোগী। টার্গেটে হামলা চালিয়ে ধরা না পড়ে ফিরে আসার মতো গতি ও যোগ্যতা রয়েছে এ বিমানটির। ফলে ভারতের কাছে খুবই প্রিয় ছিল এ মিগ ২১। ফলে যে কোনো যুদ্ধ পরিকল্পনায় অন্যান্য মডেলের পাশাপাশি থাকত মিগ ২১-ও। কিন্তু এখন হিসেব পাল্টাতে বাধ্য হচ্ছে ভারত।
শোনা যাচ্ছে, মিগ ২১ সরে গিয়ে এসব হামলায় জায়গা করে নিচ্ছে তেজস বিমান। লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফট তেজস ভারতে তৈরি চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান। হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (হ্যাল) এটি তৈরি করেছে। ভারতের দাবি, শব্দের থেকে দ্রুতগামী এবং নিজস্ব মানের যুদ্ধবিমানগুলোর মধ্যে পৃথিবীর সব থেকে হালকা যুদ্ধবিমান তেজস। এটি ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে বানানো দ্বিতীয় যুদ্ধবিমান। এটি মাল্টি-রোল, সুপারসনিক এক-ইঞ্জিন বিশিষ্ট ফাইটার জেট।
সেনাবাহিনীর মেজাজ মর্জির ওপর কাশ্মীরের জীবন
মোহাম্মদ রিয়াজ খান। কাশ্মীরি কৃষক। শুক্রবার সকালে বাঙ্কারের ভেতর থেকে গুলি লাগার ভয়ে অনেকটা হামাগুড়ি দিয়ে বেরিয়ে আসেন। উদ্দেশ্য মাঠের ভেড়াগুলো সব ঠিকঠাক আছে কি না, তা দেখা। বের হয়ে কিছু দূর গেছেন। ঠিক তখনই একেবারে তার পায়ের কাছে এসে পড়ল একটা তাজা মর্টার। হকচকিয়ে উঠে কিছু বুঝে ওঠার আগেই আচমকা বিস্ফোরণ। স্পিন্টারের একটি টুকরোয় এফোড়-ওফোড় হয়ে যায় তার পা। আঘাতে বের হয়ে যায় একটি হাড়ও। তীব্র যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে থাকেন। দৌড়ে আসে তার পরিবার। কাঁধে করে নিয়ে পাহাড়ি পথ বেয়ে দৌড়াতে থাকে নিকটস্থ হাসপাতালের দিকে। ততক্ষণে রক্তে ভিজে গেছে পুরো শরীর। গভীর দুঃখ আর চোখের কোণে পানি নিয়ে রিয়াজের চাচাতো ভাই মনির আহমেদ বলতে থাকেন, ‘এখানে সেনাদের মেজাজ-মর্জির ওপর নির্ভর করছে আমাদের জীবন। ভয় আর শঙ্কার মাঝেই আমাদের বেঁচে থাকা।’
নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে কাশ্মীরের এই করুণ চিত্র উঠে এসেছে। পাকিস্তান আর ভারতের মধ্যে কয়েক দশকের শত্রুতায় যে জায়গাটিকে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহায় সেটা হচ্ছে কাশ্মীর। ১৯৪৭ সালের পর থেকে যার পুরোটাই দাবি করে আসছে দুই পক্ষই। অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পৃথিবীর ভূস্বর্গ হিসেবে খ্যাত হলেও হিমালয়ের পাদদেশের ভূখন্ডটি আজ যেন এক অভিশপ্ত উপত্যকায় পরিণত হয়েছে।
কাশ্মীর সঙ্কট নিয়ে ভারত-পাকিস্তানে বিশেষ দূত পাঠাবে চীন
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরাইশি বলেন, উত্তেজনা প্রশমনে ভারত ও পাকিস্তানে একজন বিশেষ দূত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিবেশী চীন। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামায় এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় ভারতীয় একটি আধাসামরিক বাহিনীর ৪৪ জওয়ান নিহত হওয়ার পর দুই দেশের উত্তেজনার মধ্যে চীন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি বেসরকারি টেলিভিশনে কথা বলার সময় শাহ মেহমুদ কুরাইশি এমন তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, চলমান আঞ্চলিক উত্তেজনা কমিয়ে আনতে চীনা দূত দুই দেশের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এছাড়া জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুয়েতেরেসকেও মধ্যস্থতার ভূমিকা রাখতে পাকিস্তান আহ্বান জানিয়েছে বলে কুরাইশি বলেন।
অভিনন্দনের নামে নাম রাখার হিড়িক
পাকিস্তানের কারাগারে ৬০ ঘণ্টা বন্দি থাকার পর ভারতে ফিরেছেন দেশটির বিমানবাহিনীর পাইলট অভিনন্দন বর্তমান। দেশে ফেরার পর থেকে প্রশংসায় ভাসছেন অভিনন্দন। অভিনন্দনকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন অনেকেই। অভিনন্দনের নামে সদ্যোজাত শিশুদের নাম রাখার হিড়িক পড়ে গেছে ভারতে।
স¤প্রতি দৌসার নিহালপুরের ২৬ বছর বয়সী বিমলেস বেন্দারা কয়েক দিন ধরেই টেলিভিশনে ভারত পাকিস্তানের খবর দেখছেন। সেখান থেকেই তিনি জানতে পারেন যে, পাকিস্তানে আটক হয়েছেন ভারতের বিমানবাহিনীর পাইলট অভিনন্দন বর্তমান।
বৃহস্পতিবার প্রসববেদনা ওঠায় বিমলেসের পরিবার তাকে জয়পুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করে। শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে একটি সুস্থ ছেলেসন্তানের জন্ম দেন বিমলেস। এরপরেই তিনি এবং তার পরিবার সিদ্ধান্ত নেন যে, তারা তাদের সন্তানের নাম রাখবেন অভিনন্দন।
শুধু বিমলেসের পরিবারই নয় বরং তাদের মতো ভারতের আরও অনেক পরিবারই নিজেদের সদ্যোজাত সন্তানের নাম অভিনন্দন রাখা শুরু করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ কাশ্মীর পুলওয়ামায় জইশ-ই মোহম্মদের হামলায় ৪০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হন। ভূস্বর্গে রক্তাক্ত চিত্র তীব্র প্রভাব ফেলে ভারতীয়দের মানসপটে। পাকিস্তানবিরোধী প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠেন তারা। দেশে বিরাজ করে শোকের আবহ। পুলওয়ামা হামলার ১২ দিন পর নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাকিস্তানে হামলা করে ভারত। সেখানে ৩০০ পাক জঙ্গি নিহতের দাবি করে নয়াদিল্লি। বুধবার সকালে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানে হামলা করতে গেলে যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করে পাক সেনাবাহিনী। এর মধ্যে একটির ধ্বংসাবশেষ পড়ে পাকিস্তানে এবং অন্যটি ভারতে। ভেঙে পড়া বিমান থেকে প্যারাশুটে করে নেমে আসেন অভিনন্দন। সেটি ভূপাতিত হওয়ার সময় প্যারাসুটে করে পাকিস্তানের মাটিতে অবতরণ করেন অভিনন্দন। গত বৃহস্পতিবার শান্তিবার্তা দিয়ে পাকিস্তান সংসদে দাঁড়িয়ে অভিনন্দনকে ভারতের হাতে তুলে দেয়ার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এর প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার ওয়াগা সীমান্ত দিয়ে তাকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (13)
Monir Hossain ৩ মার্চ, ২০১৯, ১:০০ এএম says : 0
ঘুঘু ফাদে পড়েছে।
Total Reply(0)
চৌধুরী সাহেব ৩ মার্চ, ২০১৯, ১:০০ এএম says : 0
It is quite similar to bangladeshi election. The media is working for tge government.
Total Reply(0)
Nath Ranzith ৩ মার্চ, ২০১৯, ১:০১ এএম says : 1
মুদির চেয়ে যে ইমরান অনেক চাপে আছে, সেটা এডিটর বেমালুম চেপে যাচ্ছেন।কিন্তু বাস্তবতা অল্প কয়দিনেই স্পষ্ট হবে।
Total Reply(0)
Jack Noresh ৩ মার্চ, ২০১৯, ১:০১ এএম says : 0
৭১ এ ভারত নিজেদের স্বার্থেই আমাদের সাহায্য করেছে, এখন যদি তারা কাশ্মীরিদের স্বাধীনতা দিয়ে দেয় তাহলে বুঝা যাবে তারা স্বধীনচেতা মানুষের পক্ষে, ,,,,
Total Reply(0)
আন্দালিব ৩ মার্চ, ২০১৯, ১:০২ এএম says : 0
উপমহাদেশে কোন ক্ষমতাসীন দলই জনগণের মন ভরাতে পারে না। আজ যে রাহুল এত তেজস্বী কথা বলে মোদিকে পরাস্ত করছেন গতকাল সেই রাহুলের দল কংগ্রেসও মোদি ও তার দলের সাংসদদের তীব্র বানে বিদ্ধ হয়েছিলেন নানা নানা ইস্যুতে ।
Total Reply(0)
BM Nurealom Al Sadi ৩ মার্চ, ২০১৯, ১:০২ এএম says : 0
পাকিস্তানের উচিত ভাঙ্গা কোমর ও মেরুদণ্ড নিয়ে ভারতের পিছে না লেগে তাদের অর্থনীতি ও জঙ্গিনীতি ঠিক করা, নয়তো হাজার হাত পা ধরলেও কোন বিদেশি দলতো দুরে থাক দেশের যে কজন উচ্চশিক্ষিত উদার ও মুক্তমনা ব্যক্তিত্ব আছে তারাও দেশ ছেড়ে যাবে। ব্রিটিশদের কাছে একই সময় স্বাধীনতা পেয়েও আজ ভারত কোথায় চলে গেছে আর পাকিস্তানিরা তাদের অঙ্গচ্ছেদ রাষ্ট্র বাংলাদেশের অর্থনীতির সূচক ধরতে ক্যালকুলেটর নিয়ে বসে পড়েছে!!!
Total Reply(0)
Ariful islam ৩ মার্চ, ২০১৯, ১:০২ এএম says : 0
ভারত যুদ্ধ শুরু করলে ভারতেরই বেশি ক্ষতি হবে। ভারতে গৃহ যুদ্ধ শুরু হবে। পাকিস্তানী জঙ্গিরা বেশি লাভবান হবে। বাঙ্গালি জঙ্গিরাও আস্কারা পাবে। ফলে আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত্র হব। লাভবান হবে আমেরিকা, চীন আর রাশা। তাদের অস্ত্র বিক্রি করে মুনাফা হবে। সাহস কার কম বেশি যারা ইতিহাস জানে তারা অবগত।
Total Reply(0)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৩ মার্চ, ২০১৯, ১:০৩ এএম says : 0
নির্বাচনী টুইট ভালো আছিলো। পুলওয়ামায় মানুষ না মেরে গরুর উপর হামলা করলে পাকিস্তানের খবর আছিলো। কারণ ভারতে মানুষের চাইতে গরুর মূল্য বেশী।
Total Reply(0)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৩ মার্চ, ২০১৯, ১:০৪ এএম says : 0
যে মানবতা, ভালোবাসা,শান্তির গান তুমি গেলে,সবাই তোমাকে মনে রাখবে আমার মন বলে. ধন্যবাদ ইমরান.
Total Reply(0)
Nahid hasan ৩ মার্চ, ২০১৯, ১:০৪ এএম says : 0
ভারত সরকারের উচিৎ পাকিস্থান সরকারের কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা।
Total Reply(0)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৩ মার্চ, ২০১৯, ১:০৫ এএম says : 0
মাগার মোদী চাচা, অভিনন্দন ধরা খাইয়া আবার ছাড়া পাইয়া আপনার একটু ঝামেলা হইয়া গেল.
Total Reply(0)
Kader Ruhani ৩ মার্চ, ২০১৯, ১:০৫ এএম says : 0
আশাকরি মোদীর শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। ভারতীয় কারাগারে বন্দি সকল মুক্তিকামি কাশ্মীরিদের মুক্তি দিবে
Total Reply(0)
ash ৩ মার্চ, ২০১৯, ৭:৫৭ এএম says : 0
KASHMIR SHOULD BE A INDEPENDENT COUNTRY ! NOT WITH INDIA OR NOT WITH PAKISTAN, THAT WILL BRING PEACE !! OR BECAUSE OF KASHMIR TODAY OR TOMORROW IT WILL BE BIG WAR, WORLD WILL SUFFER !! WHY UN NOT ASKING FOR YES-NO VOTE???
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন