জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সুলতান মোঃ মনসুর ও মোকাব্বির খান শপথ গ্রহণ করলেও বিএনপি যাবে না বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্টের সিদ্ধান্ত হচ্ছে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা কেউ সংসদে যাবেন না। সুলতান মনসুর ও মোকাব্বিরের শপথ গ্রহণের যে সিদ্ধান্তটি নিয়েছেন সেটি তাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তার সাথে দল কিংবা জোটের কোন সম্পর্ক নেই। রোববার (৩ মার্চ) বেলা ১১টায় জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের নবগঠিত আহবায়ক কমিটির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু ও সদস্য সচিব হাসান জাফির তুহিনের নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষ তিনি এসব কথা বলেন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচন কোনো নির্বাচন হয় নাই। আমরা এই তথাকথিত ভোট ডাকাতির নির্বাচন প্রত্যাখান করেছি। এখন ঐক্যফ্রন্টের শরিক গণফোরামের দুইজন সংসদে শপথ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন- এটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমাদের জানা মতে গণফোরামসহ ঐক্যফ্রন্টের সিদ্ধান্ত কিন্তু সংসদে না যাওয়ার পক্ষে, বিএনপির সিদ্ধান্তও যে এই ভোট ডাকাতির সংসদে আমরা যাবো না। সুলতান মনসুর বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন সেক্ষেত্রে কোনো ব্যবস্থা গ্রহনের সুযোগ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেণ, যখন তারা সংসদে অংশগ্রহণ করবেন তথন আমাদের দলের যে বিধি বিধান আছে এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের যে সিদ্ধান্ত আছে সেই প্রেক্ষাপটে অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। ঐক্যফ্রন্টের দুইজন শপথ নিলে দল কিংবা জোটে কোন সমস্যা তৈরি হবে কিনা জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, গণফোরামের যদি কেউ সংসদে যায়ও তারপরও আমরা মনে করি ঐক্যফ্রন্টের একটা বৃহৎ একটা লক্ষ্য আছে সেজন্য ফ্রন্টের কোনো অসুবিধা হবে না আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রসঙ্গে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকার যেহেতু জনগণের সরকার নয়, জনগণের মতামতের প্রতি কোনো তোয়াক্কা না করে আজকে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করবার জন্য তারা পদক্ষেপ নিচ্ছেন। গ্যাসের দাম তারা কয়েকগুণ বৃদ্ধি করে আজকে যে অবস্থায় রেখেছে আবার যদি বৃদ্ধি করা হয় তাহলে এটা মরার উপরে খাঁড়ার ঘা হবে। আমরা এই পদক্ষেপের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করা যাবে না। কেননা গ্যাসের ওপর অনেক অর্থনৈতিক কর্মকা-।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেখে জনগন ভোটের প্রতি অনাস্থা এবং তাদের যে অবিশ্বাস তাতে জনগন আর ভোট দিতে আস্থা রাখে না। এইকথা ভেবে উপজেলা নির্বাচন বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। অতত্রব নৌকা প্রতীকে যারা মনোনয়ন পাবে তারাই নির্বাচিত। এখানে ভোটের প্রয়োজন হয় না। তাই এই নির্বাচনে ৯০০ কোটি টাকা খরচ করে নতুন প্রহসনের প্রয়োজন বাংলাদেশের নাই। সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে এই অর্থ অপচয় থেকে বিরত থাকার আহবান করব। যেহেতু এখানে প্রতিদ্বন্দ্বীপ্রার্থী নেই সেজন্য নৌকার প্রার্থীকে ঘোষণা করে দিলেই নির্বাচনের নাটক শেষ হয়ে যায়।
এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, তকদীর হোসেন মো. জসিম, তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার, নাজিমউদ্দিন, সৈয়দ মেহেদি আহমেদ রুমী, মাইনুল হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেইন, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন