শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্যবসা বাণিজ্য

তামাকজনিত রোগে ব্যয় ৩০ হাজার কোটি টাকা

শক্তিশালী তামাক শুল্ক নীতি জরুরি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ মার্চ, ২০১৯, ৫:৫৩ পিএম

প্রচুর রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে তামাক কোম্পানিগুলো। কারণ তামাকের ওপর বর্তমান শুল্ক কাঠামো জটিল ও স্তরভিত্তিক। এই কাঠামো সহজ করে একটি শক্তিশালী তামাক শুল্ক নীতি প্রণয়ন অত্যন্ত জরুরি বলে মত দিয়েছেন আলোচকরা। তারা বলেন, আমরা জানি কোনো পণ্যের দাম বাড়লে তার চাহিদা কমে। তামাকের প্রকৃত মূল্য, কর বৃদ্ধি এবং জোগান কমানোর মাধ্যমে তামাক নিয়ন্ত্রণে সাফল্য পাওয়া সম্ভব।

সোমবার (১১ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত ‘তামাকের স্বাস্থ্য ক্ষতি রোধে তামাক করনীতি প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় আলোচকরা এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করে ‘ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট’ নামক একটি সংগঠন। বক্তারা বলেন, তামাক ব্যবহারকারী ৫০ ভাগ মানুষ তামাকজনিত রোগে ভুগে অকালে মৃত্যুবরণ করে। পাশাপাশি তামাকজনিত রোগের চিকিৎসার ব্যয় অনেক। এ ব্যয় মেটাতে অনেক পরিবারকে সর্বস্বান্ত হতে হয়। তাছাড়া তামাকের সামাজিক প্রভাবও অনেক। তাই যেভাবেই হোক তামাককে রুখতে হবে।

বক্তারা বলেন, তামাকের যে দৃশ্যমান কর অনেক কম। অনেক ক্ষেত্রেই তা সহজে বোঝা যাবে না। কারণ তামাকের শুল্ক কাঠামো অত্যন্ত জটিল। বিদ্যমান তামাকের কর ব্যবস্থাকে জনস্বাস্থ্য ও তামাক নিয়ন্ত্রণে কার্যরত সংগঠনগুলোর নুপারিশের আলোকে সংশোধন করা হলে, ২০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু কমিয়ে আনা সম্ভব। পাশাপাশি সরকার বছরে অনেক টাকা কর পাবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. রুমানা হক বলেন, তামাকজনিত রোগের পেছনে প্রতিবছর সরকারের চিকিৎসা সেবায় ব্যয় হয় প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। তিনি বলেন, দেশে ক্যান্সারের ভয়াল থাবার আক্রামণের শিকার হচ্ছেন দরিদ্ররা। অনেকেই তামাকজনিত রোগের চিকিৎসা করতে যেয়ে বাড়ি-ভিটা বিক্রি করে দেন। তাই এমনভাবে তামাকে কর বাড়াতে হবে, যেনো তা ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যায়। এটা করতে পারলে ভবিষৎ প্রজন্মকে একটি স্বাস্থ্যসম্মত জাতি হিসেবে গড়ে তোলা যাবে উল্লেখ করেন ড. রুমানা হক।

গাউস পিয়ারী বলেন, আজ তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার সব জায়গায় দেখা যায়। বিয়েবাড়িতে জর্দ্দাপান দিয়ে নান্তা করানো হয় অথচ এর ক্ষতির দিক কিন্তু আমরা বুঝি না। আমরা চাই আমাদের সন্তান ভালো থাক, স্বাস্থ্যবান হউক। এজন্য সব ধরনের তামাক পণ্যের ওপর উচ্চ হারে কর বসাতে হবে। যাতে প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০৪০ সালে তামাকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট তৌফিক মারুফ, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির প্রকল্প পরিচালক ডা. গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক, দ্য ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক সৈয়দ মাহবুবুল আলম, ভাইটাল স্ট্রাটেজিসের কান্ট্রি অ্যাডভাইজর শফিকুল ইসলাম, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের প্রোগ্রাম ম্যানেজার সৈয়দা অনন্যা রহমান, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার ডা. সৈয়দ মাহফুজুল হক প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন