মাঝে কিছুদিন বন্ধ থাকার পর বগুড়ার ধুনট উপজেলায় নদীতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব শুরু হয়েছে। ফলে এলাকার শতশত একর আবাদি জমি ও বসতবাড়ি হুমকির মুখে পড়েছে। তবে প্রশাসনের অভিযানে কোনোভাবেই থামছে না বালুখেকোদের এই তাণ্ডব।
জানা গেছে, ধুনট উপজেলার নিমগাছী ইউনিয়নের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে বাঙ্গালী নদী। নদীর তীরে মানুষের বসবাড়ী ও ফসলী জমি। এদিকে বাঙ্গালী নদীর বেড়েরবাড়ী এলাকায় গাবতলি উপজেলার রিপন নামের এক ব্যক্তি ও ধুনটের নিমগাছী গ্রামে সাবেক চেয়ারম্যান ও ধুনট উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজাউদ্দৌলা রিপন একাধিক ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। সেই বালু ট্রাকযোগে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। তারা প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা করে দিনরাত নদী থেকে মাটি ও বালু উত্তোলন করছে। এতে নদীতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে নদীর পাড় ও ফসলী জমিতে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
নিমগাছী গ্রামের জব্বার আলী ও আজিমত আলী জানান, নিমগাছী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজাউদ্দৌলা রিপন নদীতে ৪/৫টি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছে। এতে নদীর পাড় ভেঙ্গে গিয়ে ফসলী জমিও বিলীন হয়ে যাচ্ছে। অব্যাহত বালু উত্তোলনের কারনে শতশত একর আবাদি জমি ও বসতবাড়ি হুমকির মুখে পড়েছে।
তবে নিমগাছী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজাউদ্দৌলা রিপন বলেন, হয়তো কেউ আমার নাম ব্যবহার করে বালু উত্তোলন করছে। এবিষয়ে আমার কোন সম্পৃত্ততা নেই।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা বলেন, বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে। কেউ নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন