শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

পীরগাছায় অন্ধকারে ৪৬টি পরিবার!

পীরগাছা (রংপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৫ মার্চ, ২০১৯, ১২:০০ পিএম

রংপুরের পীরগাছা উপজেলা সদরে ৪৬টি পরিবারের পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। দাবীকৃত টাকা না দেয়ায় ওই সংযোগগুলো বিচ্ছিন্ন করা হয় বলে ভূক্তভোগিরা অভিযোগ করেন। তারা বলেন, ৪দিন ধরে অন্ধকারে থাকায় তাদের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যহতসহ শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে।

রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর পীরগাছা জোনাল অফিস সংলগ্ন পূর্ব চন্ডিপুর গ্রামে গত ২৭ ডিসেম্বর পলী বিদ্যুৎ সংযোগের উদ্বোধন করা হয়। এসময় ওই এলাকার ৪৬ জন আবাসিক মিটার গ্রাহককে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ২৫ কেবি ক্ষমতার একটি ট্র্যান্সফর্মার স্থাপন করা হয়। পরবর্তিতে একই এলাকায় ব্যক্তিগত অর্থে ট্র্যান্সফর্মার স্থাপনের শর্তে বেলাল হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে সেচ পাম্প স্থাপনের জন্য অনুমোদন দেয় সংশিষ্ট বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। সে অনুযায়ী সেচ সংযোগ গ্রহীতা বেলাল হোসেন ৫ কেবি ক্ষমতার একটি ট্যান্সফর্মার ক্রয় করেন। কিন্তু বিদ্যুৎকর্মীরা ওই ট্যান্সফর্মারের মাধ্যমে সেচ সংযোগ না দিয়ে আবাসিক গ্রাহকদের জন্য স্থাপন করা ২৫ কেবি ট্র্যান্সফর্মারটির মাধ্যমে সেচ সংযোগটি চালু করতে যায়। এসময় আবাসিক গ্রাহকরা বাধা দিলে রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লাইনম্যান মমিন মিয়ার মাধ্যমে এক লক্ষ টাকা দাবী করেন। নিরুপায় হয়ে আবাসিক গ্রাহকরা ৫০ হাজার টাকা প্রদান করেন। পরবর্তিতে বাকী ৫০ হাজার টাকা না দেয়ায় মঙ্গলবার বিকেলে লাইনম্যান মমিন মিয়া ওই ৪৬ জন বিদ্যুৎ গ্রাহকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন এবং ট্র্যান্সফর্মারটি খুলে নিয়ে যেতে ধরলে গ্রাহকরা বাধা দেয়। বর্তমানে ওই গ্রাহকরা রাত জেগে ট্র্যান্সফর্মারটি পাহারা দিচ্ছেন। এব্যাপারে রংপুর পলী বিদুৎ সমিতি-১ এর পীরগাছা জোনাল অফিসের ডিজিএম(কম) মঞ্জুরুল ইসলাম উৎকোচ গ্রহণ ও দাবীর কথা অস্বীকার করে বলেন, ওই এলাকায় ২৫ কেবি ট্র্যান্সফর্মারের দরকার না হওয়ায় তা খুলে অন্যত্র স্থাপন করা হবে। অপরদিকে অন্য আর একটি ট্র্যান্সফর্মার সেখানে স্থাপন করা হবে। এলাকাবাসির বাঁধার কারণে সেটা সম্ভব হচ্ছে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন