বগুড়ার সান্তাহারের বাজারে উঠতে শুরু করেছে আগাম জাতের জনপ্রিয় ফল তরমুজ। সাধারনত গ্রীস্মকালে হাট-বাজারে পাওয়া যেত। বর্তমান ডিজিটাল প্রযুক্তির আবিস্কারে দেশে সবকিছুর বদলের সাথে অনেক ফসলের সময়ও বদলেছে। এই ফল চাষ লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা এখন আগাম এর চাষ করা শুরু করেছে। ফলে শীতকাল শেষ না হতেই বাজারে উঠতে শুরু করেছে প্রিয় ফল তরমুজ। ফলটি শুধু শীতলকারক, তৃষ্ণা নিবারক ও প্রশান্তি দায়কই নয় চিকিৎসকরা জানায়, তরমুজে বিদ্যমান উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এতে টিউমারের বৃদ্ধি হ্রাস করে, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় এবং হৃদযন্ত্রের শক্তি ও কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। হার্ট এ্যাটাক ও ষ্ট্রোক প্রতিহত করে। তরমুজে দেহের বিদ্যমান পটাশিয়াম ফ্লুরিড ও মিনারেলের ভারসাম্য ঠিক রাখে, মাংসপেশীর অতিরিক্ত সংকোচন দূর করে। সারাদেহে স্নায়ু উদ্দীপনা প্রেরণ করে। শুধু তাই নয়, এটি মস্তিস্ক ফুসফুস যকৃৎ কিডনি ও পাকস্থলীকে শক্তিশালী করে, পেপটিক আলসার সৃষ্টিতে বাধা দেয় এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে থাকে। গ্রীষ্মকালিন সময়ে নব বয়সের মানুষের কাছে এটি প্রিয় ফল। বর্তমান সান্তাহারের হাটে-বাজারে আগাম জাতের বাংলালিংক এবং কালো তরমুজ ব্যাপক আমদানি হলেও দাম বেশি। প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দরে। যা সাধারন খেটে খাওয়া মানুষদের কিনে খাওয়া প্রায় নাগালের বাহিরে।
তরমুজ ক্রেতা সি এন জি চালক মিঠু জানান, সাড়াদিনে কাজ করে যে উপার্জন হয় তা দিয়ে সংসারের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা ছেলে মেয়েদের লেখা পড়ার খরচের পর পরিবারের জন্য তরমুজ কেনার ইচ্ছা থাকলেও দাম বেশি হওয়ায় আমার পক্ষে কেনা কঠিন, তার পরও বাজারে নতুন ফল দেখে সবার কিনতে ইচ্ছে হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন