ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হাটগোপালপুর এলাকায় আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাত ৯ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় হটিগোপালপুর বাজারের ৭টি দোকান ও ৯টি বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। অগ্নিসংযোগ করা হয় আনোয়ার হোসেন নামে এক আওয়ামীলীগ কর্মীর বাড়িতে। দমকল বাহিনী খবর পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ওই এলাকার বর্তমান চেয়ারম্যান নিজামুল গনি লিটু ও সাবেক চেয়ারম্যান বিকাশ বিশ্বাসের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনার জের ধরে শনিবার রাতে হাটগোপালপুর বাজারে নজরুল, মনিরুল, মিল্টন ডাক্তার, ইউসুফ, খায়রুল, ফারুক ও বাদশার দোকানে এবং থানা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক তোতা মিয়া, জেলা পরিষদের কাউন্সিলর ইমাজুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, কামাল, শমসের ও সাদ্দাম হোসেনের বাড়ি ব্যাপক ভাংচুর করে প্রতিপক্ষ বিকাশ বিশ্বাসের লোকজন। এতে নগদ টাকা, সোনার গহনা ও আসবাবপত্রসহ প্রায় ৫০ লাখ টাকার সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে চেয়ারম্যান নিজামুল গনি লিটু অভিযোগ করেন। তিনি বলেন আনোয়ারের বাড়িতে ভাংচুরের পর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। লুট করা হয় ৬টি গরু। সাবেক চেয়ারম্যান বিকাশ বিশ্বাস অভিযোগ করেন বিরোধ মীমাংসার প্রস্তাব দিয়ে লিটু গ্রুপের লোকজন তার সমর্থবদের উপর হামলা চালায়। এতে হাটগোপালপুরের মিন্টুকে ভেলা মেরে আহত করা হয়। তিনি অভিযোগ করেন রোববার ভোরের দিকে ছয়াল গ্রামে তার সমর্থকদের ৫০ জনের বাড়ি ভাংচুর করে লিটুর সমর্থকরা। তারা বিকাশ বিশ্বাসের রাইচ মিলে হামলা চালিয়ে নৌকা ভাংচুর করা হয়। তবে লিটু চেয়ারম্যান এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিকাশ বিশ্বাসের কোন লোকজনের বাড়ি ভাংচুর করা হয়নি। বরং তার লোকজনের অপকর্ম আড়াল করতে মিথ্যাচার করা হচ্ছে।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান খান জানান, লিটু ও বিকাশ বিশ্বাস ভাংচুর লুটপাটের যে অভিযোগ করেছে তা সঠিক নয়। শনিবার রাতে তারা দুই পক্ষ মুখোমুখি হয়েছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন