নওগাঁয় অবলুপ্তপ্রায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহি ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতা নওগাঁ’র মানুষকে আবারো কিছুক্ষনের জন্য সেই ঐতিহ্যে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। এই ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতা উপভোগ করতে হাজারো মানুষের উৎসব মুখর উপস্থিতি শহরের এ টিম মাঠ হয়ে উঠেছিল জনাকীর্ন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা প্রশাসন দিনব্যাপী কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ১৭ মার্চ রোববার বেলা সাড়ে ৩টা থেকে এ টিম মাঠে এই ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। মোট ৪টি গ্রুপে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ক গ্রুপ প্রাথমিক পর্যায়ে প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। খ গ্রুপ মাধ্যমিক পর্যায়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। গ গ্রুপে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী এবং ঘ গ্রুপ ছিল উন্মুক্ত। দুপুরের পর থেকে নানা রঙের, নানা আকারের, নানা ধরনের ঘুড়ি হাতে প্রতিযোগিরা মাঠে আসতে থাকে। আসতে থাকেন উৎসুক দর্শকরা। বিকেল সাড়ে ৩টার মধ্যে নওগাঁ’র এ টিম মাঠ জনাকীর্ন হয়ে উঠে। কানাই কানাই ভরে উঠে মাঠ। এ ছাড়াও মাঠের চারপাশের বাড়িঘরের ছাদ, ব্যালকনি, কার্নিশগুলোতে ছিল মহিলাদের উপচে পড়া ভীড়। বিকেল ৪টা থেকে শুরু হয় ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতা। একসাথে লাল, সাদা, সবুজ, নীল বিভিন্ন রঙের ঘুড়ি এটিম মাঠের আকাশে যখন উড়ছিল তখন এক অভ’তপুর্ব সৌন্দর্যের দৃশ্যাবলী উপস্থিত দর্শকদের বিমোহিত করে। কোন ঘুড়িতে জাতীয় পতাকা আবার কোন কোন ঘুড়িতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি আঁকানো ছিল। প্রতিযোগিরা এসব ঘুড়ি নিজেরা যেমন তৈরী করেছেন, তেমনই কোন কোন প্রতিযোগি চট্টগ্রাম, কক্সবাজার থেকেও নিয়ে এসেছেন ঘুড়ি। হুবহু চিল এবং ঈগল পাখির আকৃতির কয়েকটি ঘুড়ি ছিল বেশ আকর্ষনীয়। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুর রহমান। এ সময় পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসেন পিপিএম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। পরে বিজয়ী ও বিজিতদের মধ্যে পুরস্কার বিতরন করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন