মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

রডের বদলে বাঁশ দেবেন না, বুয়েট গ্র্যাজুয়েটদের প্রেসিডেন্ট

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ মার্চ, ২০১৯, ৭:২৮ পিএম

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েট থেকে শিক্ষা সমাপনকারী গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ আহ্বান জানিয়েছেন, তারা যেন কর্মক্ষেত্রে গিয়ে কোনো দুর্নীতির আশ্রয় না নেন। সিমেন্টের বদলে বালি আর রডের বদলে বাঁশ যেন না দেন।

মঙ্গলবার বিকালে বুয়েটের ১১তম সমাবর্তনে বক্তব্য দিচ্ছিলেন রাষ্ট্রপতি। প্রকৌশলীদের উদ্দেশে প্রেসিডেন্ট আহ্বান জানান, তারা তাদের মেধাকে যেন দেশের কাজে লাগান। দেশে শিক্ষা গ্রহণ করে বিদেশে যেন চলে না যান। দেশের স্বার্থকে ব্যক্তিস্বার্থের ওপর প্রাধান্য দিতে বলেন প্রেসিডেন্ট ।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘তোমরা সব সময় বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখবে। তবে কখনও মিথ্যার সঙ্গে আপস করবে না। সিমেন্টের বদলে বালি আর রডের বদলে বাঁশ দিয়ে বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখবে না।’

প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘অন্যায় ও অসৎ পথের অর্জন ক্ষণস্থায়ী, এতে কোনো সম্মান নেই। আছে জীবনভর অনুশোচনা। সবকিছু করবে নিজের মেধা ও আন্তরিকতাকে কাজে লাগিয়ে।’

বুয়েট প্রকৌশলীদের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘তোমরা হবে তরুণ প্রজন্মের আদর্শ। সেই আদর্শে নবীনরা উজ্জীবিত হবে। তোমরা বড় হও, কর্মে আগামী দিনগুলো উজ্জ্বল হোক আমি সেই দোয়া করছি।’

আবদুল হামিদ বলেন, ‘ডেভেলপমেন্টের কথা বলা হলে এখানে ইঞ্জিনিয়ারদের বেশি প্রয়োজন। আজকাল রাস্তা করার পরই ভেঙে যাচ্ছে, ছাদ ধসে যাচ্ছে, এগুলো যাতে না হয় সেদিকে আপনাদের খেয়াল রাখতে হবে। আমরা যদি উন্নত বিশ্বে যেতে চাই, যা আমাদের স্বপ্ন, তাহলে সবার সৎ থাকতে হবে। পাশাপাশি সবার অ্যাকটিভও থাকতে হবে।’

প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি চাই বুয়েট শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা পৃথিবীতে যাতে অবস্থান নিতে পারে।’ নিজের ছাত্রজীবনের স্মৃতিচারণ করে প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি ভালো ছাত্র ছিলাম না। ইন্টারমিডিয়েটে লজিকে রেফার্ড পেয়েছিলাম। সেই রেফার্ড পরীক্ষাগুলো হতো ঢাকায়। ঢাকা কলেজে পরীক্ষা দেয়ার জন্য ঢাকায় আসি এবং কয়েক মাস থাকি।’

‘তখন থাকতাম ঢাকা কলেজের হলে, তবে হাসিনা হোটেলে গিয়ে খাইতাম। খেতে লাগত পাঁচ আনা ছয় আনা। আবার একটু দূরে গেলে চার আনা হলেই হতো।’

প্রেসিডেন্ট রসিকতা করে বলেন, ‘আমার স্ত্রীর ছোটভাই, কী বলা হয় এটা আমি বলতে চাই না। অনেকে আবার আহত হবে। সে বুয়েটে পড়ত। আমি আসতাম। মাস দেড়েক যাওয়ার পর অনেকে জেনে গেল আমি তার দুলাভাই। তাই সবাই পাইকারি হারে আমাকে দুলাভাই ডাকা শুরু করল।’
প্রেসিডেন্ট জানান, দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট না হলে তার বুয়েটের সমাবর্তনে আসা হতো না। গত ছয় বছর ধরে প্রেসিডেন্ট, একবারও আসা হয়নি। এ সময় তিনি বুয়েটের শিক্ষার মান ও এর মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন