বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

খুমেককে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রম দ্রুত চালুর দাবি

প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

খুলনা ব্যুরো : খুলনা মেডিকেল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে এক হাজার বেডে উন্নীতকরণসহ প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ ও রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্তি এবং খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রম দ্রুত চালুর দাবিতে গতকাল সকাল ১০টায় বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধন কর্মসূচিতে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামানের সভাপতিত্বে মহাসচিব শেখ মোশাররফ হোসেনের পরিচালনায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার শত শত মানুষ অংশগ্রহণ করে।
মানববন্ধনে বক্তারা আগামী জাতীয় বাজেটে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ রেখে উপরোক্ত দাবি বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়নে আন্তরিক আর এ কারণে খুলনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা ও খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রম চালুর জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। এ সময়ে বক্তব্য রাখেন বিএমএ’র খুলনা জেলার সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মেহেদী নেওয়াজ, খুলনা মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অধ্যাপক আলমগীর হোসেন, উন্নয়ন কমিটির শাহীন জামাল পন, অ্যাডঃ শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজ, সিপিবি নেতা মিজানুর রহমান বাবু, মোঃ মনিরুজ্জামান রহিম, সৈয়দ এনামুল হাসান ডায়মন্ড, মাহবুবুর রহমান খোকন, ন্যাপ নেতা স. ম. হোসেন, শরিফুল ইসলাম সেলিম প্রমুখ।

সিসি টিভির আওতায় আসছে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার
চট্টগ্রাম ব্যুরো : সিসিটিভির আওতায় আসছে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার। ইতোমধ্যে কারা হাসপাতাল, ফাঁসির আসামিদের কনডেম সেল ও ৩২ সেলসহ বিভিন্ন স্থাপনায় সিসি টিভি বসানো হয়েছে। নিরাপত্তা এবং শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান কারা কর্মকর্তারা।
কারাগারের জেলার মোহাম্মদ মাহবুবুল ইসলাম জানান, চলতি মাসের মধ্যে বিভিন্ন ওয়ার্ডসহ পুরো কারাগার এবং আশেপাশের এলাকগুলোতে সিসি ক্যমেরা বসানোর কাজ শেষ হবে। অপরাধীরা অনেক সময় কারাগারের ভেতরে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করে। এসব বিশৃঙ্খলা বন্ধ করার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার জন্যই এসব ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। এর মাধ্যমে কয়েদি বা হাজতির পাশাপাশি কোনো কারারক্ষীও যদি কোনো ধরনের অপরাধ করলে তাও শনাক্ত করা যাবে।
কারাগারের ভেতরে পাঁচতলাবিশিষ্ট পদ্মা, মেঘনা, যমুন, কর্ণফুলী, সাঙ্গু, হালদা ভবন, দুইতলাবিশিষ্ট কিশোর ওয়ার্ড, মহিলা ওয়ার্ড, ভিআইপি ওয়ার্ড, হাসপাতাল ভবন রয়েছে। এছাড়া সীমানা প্রাচীরের ভেতরে রয়েছে জেল সুপার, জেলারের বাসভবন, ডেপুটি জেলারদের কোয়ার্টার, কারারক্ষী ব্যারাকসহ বেশ কিছু ভবন। জেলার মাহবুবুল ইসলাম জানান, কারাগারের প্রধান ফটক ও সাক্ষাৎ কক্ষে আগে থেকেই ক্যামেরা বসানো ছিল। এখন নতুন করে বিভিন্ন স্থানে ক্যমেরা বসানোর কাজ চলছে। ইতোমধ্যে আরপি গেইট (রাস্তার সাথে গেইট), ৩২ সেল, হাসপাতাল, রান্না ঘর, সূর্য সেন ভবন, জেল সুপার, জেলার, ডেপুটি জেলারের বাস ভবন, স্টাফ কোয়ার্টার ও কারারক্ষী ব্যারাকের সামনেসহ বিভিন্ন স্থানে ৩২টি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
কারাগার কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, দুই তলার ৩২ সেল ভবনের বিভিন্ন সেলে জেএমবি, হামজা বিগ্রেড, হিযবুত তাহরির, হরকাতুল জেহাদ ও জামায়াত-শিবির কর্মীদের রাখা হয়েছে। এছাড়া সাধারণ বন্দিরা অন্যান্য বিভিন্ন ওয়ার্ডে রয়েছে। নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় প্রথমে ৩২ সেল, কনডেম সেলের পাশাপাশি হাসপাতাল, রান্নাঘর, কয়েদিদের কাজের স্থান সূর্য সেন ভবনে এসব ক্যমেরা বসানো হয়েছে। বিভিন্ন ওয়ার্ডের পাশাপাশি অস্ত্রাগার, অফিস রুমেও সিসি ক্যমেরা বসানো হবে। এসব ক্যমেরা বসানোর ফলে কারারক্ষীরাও কোন ধরনের কোন অপরাধ করলে তাও শনাক্ত করার পাশাপাশি ফুটেজগুলো সংরক্ষণ করা যাবে বলে জানান জেলার।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন