বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মোটরসাইকেলের লাইসেন্সে বাস চালাতো সেই চালক!

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ মার্চ, ২০১৯, ৪:৩১ পিএম

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরীকে সুপ্রভাত পরিবহনের যে বাসটি চাপা দিয়েছিল সেই বাসের চালকের লাইসেন্স ছিল না। তিনি মোটরসাইকেল চালানোর লাইসেন্স দিয়ে বাস চালাতেন। তাকে আটকের পর এই তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরী বাসচাপায় নিহত হন। এই ঘটনায় নিহতের বাবা অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আরিফ আহমেদ বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা করেছেন। ঘটনার পরপরই চালককে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে চালক সিরাজুলের বাস (ভারীযান) চালানোর লাইসেন্স ছিল না। মোটরসাইকেল চালানোর লাইসেন্স দিয়ে তিনি বাস চালাতেন। এই লাইসেন্সে কীভাবে তিনি কোম্পানি (সুপ্রভাত) থেকে বাস নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন সেটা তদন্ত করা হচ্ছে। কারণ মোটরসাইকেল চালানোর লাইসেন্স দিয়ে কেউ রাস্তায় বাস চালালে সেটা অপরাধ।
এদিকে আবরারের বাবার দায়ের করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, বাসচাপার এ ঘটনায় ঘাতক চালক ও হেলপার জড়িত থাকতে পারে।
বুধবার দুপুরে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, বাসচালকের যে ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল সেটা হালকা যান চালানোর লাইসেন্স। যা দিয়ে তিনি মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার, মাইক্রো, ছোট কাভার্ড ভ্যান চালাতে পারতেন। কিন্তু বাস চালানোর লাইসেন্স তার ছিল না।
রাজধানীতে চলছে ট্রাফিক সপ্তাহ। মঙ্গলবার এর মধ্যেই ভাটারার প্রগতি সরণি এলাকার যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে জেব্রা ক্রসিং দিয়ে পার হওয়ার সময় বাসচাপায় নিহত হন আবরার। ঘটনার পর বাস চালক ও হেলপার পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে চালককে ধরে ফেলে শিক্ষার্থীরা। জব্দ করা হয় বাসটি।
ঘটনার পর সুপ্রভাত পরিবহনের রুট পারমিট ও লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করে রাজধানীতে ওই বাসের চলাচল নিষিদ্ধ করার কথা জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Mohammed Shah Alam Khan ২১ মার্চ, ২০১৯, ৭:৩৩ এএম says : 0
এই সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে প্রথমেই সাজার ব্যাবস্থা করতে হবে আমাদের দেশের রাজা দাবীদার পুলিশদেরকে। তারপর সাজা দিতে হবে বাসের মালিকেদেরকে এরপর চালকদেরকে সাথে সাথে এদের সাথে গাটবাধা আইনজীবীদেরকে। আমি জানি, আমার কথা শুনে পাঠকরা হেসে দিবেন কারন হত্যা করছে চালক আর প্রথম আসামী করা হবে পুলিশকে এরপর মালিককে তারপর চালকে আবার আইনজীবীদের এটা কোন কথা তাই না?? দেখুন পুলিশ যদি তাঁর দায় দায়িত্ব মেনে চলে তাহলে আমার বিশ্বাস চালকের কোন ক্ষমতা নেই বেআইনি ভাবে রাস্তায় নামা এবং বেপরোয়া ভাব ধারন করা। আবার মালিক তাঁর বাস পরিচালনা করার জন্যে চালক ও শ্রমিকদের নিযুক্তি দিয়ে থাকেন তখন তিনি যদি দেশের আইনের উপর নির্ভর করে নিয়োগ দেন তাহলে ভ্রান্ত লোক চালকের আসনে বসতে পারেনা। আবার এসব চালদেরকে আইনের ফাঁক ফোকড় দিয়ে বেরকরে এনে চালকদেরকে অপরাধ করা উৎসাহ দিয়ে থাকে আইনজীবীরা। কাজেই আমি মনেকরি এই তিনি শ্রেনীর লোকদেরকে প্রথমেই নিয়ন্ত্রণে নিতে হবে এরপর চালকরা আপনা আপনি নিয়ন্ত্রণে এসে যাবে। এসব দিক বিবেচনা করেই আমি আমাদের প্রাণ প্রিয় পত্রিকা ইনকিলাব এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমানে সড়ক ও সেতু মন্ত্রীর দায়েত্বে থাকা শেখ হাসিনাকে বলতে চাই তিনি যেন এসব দুর্ঘটনার জন্যে চালক বা চালকদের নেতা বা চালকদের প্রতিষ্ঠানের উপর খড়গ হস্ত না হয়ে এদেরকে যারা নিয়ন্ত্রন করে বা করতে পারে সেসব পেশজীবিদের দিকে তাকান এবং তাদেরকে শায়েস্তা করেন দেখবেন চালকরা শায়েস্তা হয়ে যাবে। নয়ত যুগের পর যুগ পরিবহন শ্রমিকেরা যেভাবে দেশকে দখলে নিয়ে নিজেদের ইচ্ছা মাফিক কাজ করে সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে সেটা বন্ধ হয়ে যাবে। আল্লাহ্‌ আমাকে সহ সবায়কে প্রকৃত সমস্যা জানার, বুঝার এবং সেইভাবে গবেষণা করে সেই সমস্যার সমাধান করার ক্ষমতা প্রদান করুন। আমিন
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন