মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ব্যাংক সুদে ভারমুক্তি

বেসরকারি বিনিয়োগে যুগান্তকারী পদক্ষেপ

হাসান সোহেল | প্রকাশের সময় : ২১ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

ব্যাংকের ঋণের চক্রবৃদ্ধি সুদের ভারে দেশের শিল্প কারাখানার চিরে চ্যাপ্টা অবস্থা। শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা, ব্যবসায় বিনিয়োগ, নতুন ব্যবসা শুরু, কৃষিঋণ, এসএমই ঋণসহ ব্যাংক ঋণ নিলেই শুরু হয়ে যায় সুদের খড়গ। ঋণের সুদ প্রতিমাসে বাড়তেই থাকে চক্রাকারে। এমনিতেই পৃথিবীর যে কেনো দেশের চেয়ে বাংলাদেশে ব্যাংক ঋণে সুদের হার বেশি; কোটি টাকা ঋণ নিলেই বছর ঘুরতেই সুদ দিতে হয় কয়েক লাখ টাকা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা ব্যবস্থা মন্দা হলেও সর্বনাশ। শিল্পমালিক ও ব্যবসায়ীকে পথে বসতে হয়। অথচ ব্যাংকের সুদের খাতায় চক্রবৃদ্ধি হাড়ে বাড়তেই থাকে। সেই চক্রবৃদ্ধি সুদের লাগাম টেনে ধরার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ব্যাংক ঋণে চক্রবৃদ্ধি সুদের লাগাম টেনে ধরতে আসন্ন ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ঋণের সুদে বড় পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা করেছেন। নতুন অর্থবছর থেকে ব্যাংক ঋণে আর চক্রবৃদ্ধি সুদ হার থাকবে না। নতুন অর্থবছর থেকে সব ধরনের ঋণের সুদ হিসাব তিন মাস ভিত্তিতে নয়; হিসাব হবে বছরভিত্তিক। অর্থমন্ত্রীর এই উদ্যোগে ব্যবসায়ীরা দারুণ খুশি। তাদের মতে, এতে দেশে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়বে।
জানতে চাইলে বিজিএমইএ’র সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এটা হবে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। দীর্ঘদিন পর একটি ভালো উদ্যোগ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ঋণের বাজারে প্রতিযোগিতা থাকলে এ বৈষম্য হতো না। এত ব্যাংক থাকার পরও যেহেতু প্রতিযোগিতা গড়ে ওঠেনি সে জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকেই এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা করে দেয়া উচিত।
বাংলাদেশের মত বিশে^র কোন দেশে ঋণের সুদের হার নিয়ে বিতর্ক নেই। চক্রবৃদ্ধি সুদের জালে আটকে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আসছে। নিজের সকল পুঁজি খাটিয়ে ব্যবসা প্রসারে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে সর্বশান্ত হয়েছেন-এমন অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে।
ব্যাংক ঋণের অন্যতম ব্যবহারকারী উদ্যোক্তারা দীর্ঘদিন ধরেই চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ আরোপের পদ্ধতি বাতিল করে সরল হারে সুদ আরোপ পদ্ধতি চালু করার দাবি করে আসছিলেন। কিন্তু বিষয়টিতে ছিলো না কারো নজর। তবে আশার কথা, আসন্ন ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ঋণের সুদ হিসাবে বড় পরিবর্তন আসছে। চক্রবৃদ্ধি সুদ হার থাকছে না। নতুন অর্থবছর থেকে সরল সুদ হিসাব করা হবে। তাই সামনে সব ধরনের ঋণের সুদ হিসাব তিন মাস ভিত্তিতে নয়; হিসাব হবে বছরভিত্তিক। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গত সোমবার রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক, বিশেষায়িত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা পরিষদের সাথে মতবিনিময় শেষে বলেছেন, আগামীতে ব্যাংকি খাতে কোনো চক্রবৃদ্ধি সুদ থাকবে না। সব কিছু সরল সুদে হিসাব করা হবে। চক্রবৃদ্ধি সুদের কারণে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের সহাযোগিতা করা হবে। তাদেরকে আবার ব্যবসার সুযোগ দেয়া হবে। অর্থমন্ত্রীর যুগান্তকারী এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশের ব্যবসায়ীসহ সকল মানুষ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, অর্থমন্ত্রী দীর্ঘদিন পর ব্যবসায়ীদের জন্য ভালো একটি উদ্যোগ নিলেন। আমি সরল সুদের বিষয়টি প্রথম শুনলাম। এ সিদ্ধান্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যকে প্রসারিত করতে সহায়তা করবে বলে উল্লেখ করেন। তবে অর্থমন্ত্রীর এ সিদ্ধান্তে ব্যাংকগুলো কিছুুটা নাখোশ হয়েছে, কারণ আগামী বছর থেকে তাদের চক্রবৃদ্ধি হারে যে লাভ হতো তা কমে আসবে।
দেশের তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সিদ্ধান্তকে যুগান্তকারী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পর একটি ভালো উদ্যোগ। আমি অর্থমন্ত্রীর এ চিন্তাকে স্বাগত জানাই। সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়লে ব্যাংককে টাকা দেয় না। এটা ইচ্ছা করে নয়; তবে যারা ইচ্ছা করে টাকা দেয় না তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং যারা সময়মতো ব্যাংককে টাকা দেয় তাদেরকে প্রনোদনা দেওয়ার কথা বলেন তিনি। একই সঙ্গে ঋণ দেওয়ার সময় যাচাই-বাছাই করে কর্মকর্তাদের ঋণ দেওয়ার আহবান জানান বিজিএমইএ’র সভাপতি।
ব্যবসা সহজ করার স্বার্থে অর্থমন্ত্রীর এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুছ ছালাম আজাদ। তিনি ইককিলাবকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আহবানে সুদের হার ৯/৬ সিদ্ধান্ত আমরা যথাসময়ে বাস্তবায়ন করেছি। এ সিদ্ধান্ত ব্যাংকে খুব একটা প্রভাব ফেলেনি। একইভাবে আসন্ন অর্থবছর থেকে সরল সুদ হিসাব বাস্তবায়নেও প্রভাব পড়বে না বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। একই সঙ্গে ঋণে সরল হারে সুদ দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সূত্র মতে, আসন্ন বাজেটে ঋণের সুদ হিসাবে পরিবর্তনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের নির্দেশে সংশ্লিষ্টরা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। ঋণের ওপর সুদ আরোপ পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনতে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কমিটি সুদ আরোপের দেশি-বিদেশি পদ্ধতি পর্যালোচনা করে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করবে। এর ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করছে, সব ধরনের ঋণের সুদ হিসাব ছয় মাস ভিত্তিতে হওয়া যুক্তিযুক্ত। তিন মাস ভিত্তিতে নয়। একই সঙ্গে ঋণের বিপরীতে চক্রবৃদ্ধি হারে (সুদের ওপর সুদ আরোপ) সুদ আরোপ পদ্ধতি বাদ দিয়ে সরল হারে (সুদের ওপর সুদ আরোপ নয়) সুদ আরোপের পদ্ধতি চালু করা যেতে পারে। এতে সরকারের লক্ষ্য অনুযায়ী ঋণের সুদের হার কিছুটা হলেও কমবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তৈরি প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এদিকে ব্যাংক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ঋণের সুদ বছর ভিত্তিতেই হিসাব করার নিয়ম। গ্রাহকদের সঙ্গে এভাবেই কথা হয়। কিন্ত বাস্তবে সেটি মানা হয় না। কেননা, যে কোনো সুদের হার নির্ধারিত হয় বছরভিত্তিক সময়কাল ধরে। সেখানে এর আগে কোনো হিসাব বের করা হলে ঋণগ্রহীতারা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। নানা রকম ফাঁকফোকর ও সরল সুদের পরিবর্তে চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ আরোপের ফাঁদ পাতা হয়। বাস্তবে হচ্ছেও তাই। তারা মনে করেন, বিলম্বে হলেও বাংলাদেশ ব্যাংককে এ বিষয়ে শক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে।
ব্যাংক ঋণের অন্যতম ব্যবহারকারী উদ্যোক্তারা দীর্ঘদিন ধরেই চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ আরোপের পদ্ধতি বাতিল করে সরল হারে সুদ আরোপ পদ্ধতি চালু করার দাবি করে আসছেন।
বাংলাদেশ রফতানিকারক সমিতির সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেন, নতুন পদ্ধতি চালু হলে ঋণের সুদহার কমবে। এতে কমে যাবে ঋণের খরচ, কমবে ব্যবসা খরচও। ফলে পণ্যের দাম কমবে, এতে ভোক্তারা লাভবান হবেন। রফতানির ক্ষেত্রে সক্ষমতা বাড়বে। মূল্যস্ফীতির ওপর বাড়তি চাপ কমবে। সার্বিকভাবে অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ঋণের সুদ বছর ভিত্তিতেই হিসাব করার নিয়ম। গ্রাহকদের সঙ্গে এভাবেই কথা হয়। কিন্ত প্রায়োগিক ক্ষেত্রে তা একেক ব্যাংক একেক ভাবে করে। যে কারণে বিভ্রান্তি দেখা দেয়। ঋণের বাজারে প্রতিযোগিতা থাকলে এ বৈষম্য হতো না। এত ব্যাংক থাকার পরও যেহেতু প্রতিযোগিতা গড়ে ওঠেনি সে জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকেই এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা করে দেয়া উচিত।
জানা গেছে, বর্তমানে বাণিজ্যিকগুলো ঋণের সুদ হিসাব করে তিন মাস পরপর। এই সুদ পরিশোধ করা না হলে মূল ঋণের সঙ্গে যোগ করে। এতে মূল ঋণের পরিমাণ বেড়ে যায়। পরবর্তী সময়ে এর ওপর আবার সুদ আরোপ করে। এ প্রক্রিয়ায় ঋণের সুদহার এক থেকে দেড় শতাংশ বেড়ে যায়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক চাচ্ছে-তিন মাস পরপর সুদ আরোপ না করে ছয় মাস পরপর ঋণের সুদ হিসাব করার প্রক্রিয়া চালু করতে। অর্থাৎ ছয় মাস পরপর ঋণের সুদ হিসাব করে এটি গ্রাহকের কাছ থেকে আদায় করতে। তবে এই সুদ কখনোই মূল ঋণের সঙ্গে যোগ করার ক্ষেত্রে সায় নেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের।
ঋণের সুদ হিসাবের ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি চালু করতে গেলে কোনো সমস্যা হবে কিনা, বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশগুলোতে ব্যাংক ঋণের সুদ কীভাবে হিসাব করা হয় সে বিষয়ে খোঁজ নেয়া হচ্ছে। এ লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের মহাব্যবস্থাপক একেএম আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে একই বিভাগের বিভিন্ন কর্মকর্তারা রয়েছেন। কমিটি ঋণের সুদ হিসাবের ব্যাপারে একটি গ্রহণযোগ্য পথ খুঁজে বের করার জন্য কাজ করবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণের সুদের হার কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এর জন্য বহুমুখী পথ রয়েছে। সব কটি পথই কেন্দ্রীয় ব্যাংক পর্যালোচনা করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, আমানতের ওপর আরোপিত সুদের মতো করে ঋণের ওপর আরোপিত সুদের হিসাব করার বিষয়টি ভাবতে হবে।
বর্তমানে ব্যাংকগুলো আমানতের ওপর ছয় মাস পরপর সুদ আরোপ করে। কিন্ত ঋণের ওপর করে তিন মাস পরপর। এ কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আমানতের মতো ঋণের ওপরও ছয় মাস পরপর সুদ আরোপের পদ্ধতি চালু করতে চায়।
কমিটির একজন সদস্য বলেন, ঋণের সুদ হিসাবের ক্ষেত্রে নানা ধরনের শুভংকরের ফাঁকির বিষয় খতিয়ে দেখার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সেগুলো শনাক্ত করে কার্যকর উদ্যোগ নিলে সুদের হার দেড় থেকে আড়াই শতাংশ কমানো সম্ভব হবে।
এ ছাড়াও ওই কমিটিকে ঋণের ওপর আরোপিত চক্রবৃদ্ধি সুদ ত্রৈমাসিকের পরিবর্তে ছয় মাস পরপর হিসাব করার ক্ষেত্রে কোনো আইনগত বাধা আছে কিনা, তাও পরীক্ষা করে দেখার জন্য গভর্নর ফজলে কবির পরার্মর্শ দিয়েছেন। একই সঙ্গে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে কী ধরনের চক্রবৃদ্ধি বা সরল সুদহার ব্যবহৃত হচ্ছে, তাও পরীক্ষা করে দেখার জন্য বলা হয়েছে। এর বাইরেও ওই কমিটি ঋণের বিভিন্ন বিষয় সহজ ও দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটের উপযোগী করতে প্রয়োজনীয় সুপারিশ করবে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নাম প্রকাশে একটি সূত্র জানিয়েছে, আসন্ন অর্থবছর থেকে সরল সুদ বাস্তবায়নের অর্থমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে একমাত্র বাধা ব্যাংকগুলো। ব্যাংকগুলো চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ আরোপের পক্ষে। কারণ এতে তাদের লাভ বেশি।
আর তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণের ওপর সরল হারে সুদ আরোপের পক্ষে অবস্থান নিলেও ব্যাংকগুলো চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ আরোপের পক্ষে। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তাদের মধ্যে পরিদর্শনের সময় বিতর্ক দেখা দেয়। এ ধরনের ঘটনা ধরা পড়লে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গ্রাহকের কাছ থেকে আদায় করা বাড়তি সুদ ফেরত দেয়ার নির্দেশ দিয়েই নিজেদের দায়িত্ব শেষ করে। এর বেশি কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় না। ফলে ব্যাংকাররাও গ্রাহকদের কাছ থেকে বাড়তি সুদ আদায় থেকে বিরত থাকে না।
অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. জায়েদ বখত বলেন, সুদ আদায় পদ্ধতিতে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকলে ব্যাংকগুলো সেটা মেনে চলবে। নীতিমালা না থাকায় বিভিন্ন ব্যাংক ভিন্ন ভিন্ন হিসাব পদ্ধতি ব্যবহার করে সুদ আদায় করে। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ ক্ষেত্রে নীতিমালা করার যে উদ্যোগ নিয়েছে সেটি খুবই ভালো। এর ফলে এ খাতে একটি দিকনির্দেশনা আসবে।
নতুন পদ্ধতি চালু হলে ঋণের খরচ কমার সঙ্গে সঙ্গে পণ্যের উৎপাদন ব্যয় কমবে। ফলে দাম কমবে পণ্যের, যার ফলে লাভবান হবেন ভোক্তারাও। এতে মূল্যস্ফীতির ওপর বাড়তি চাপ কমবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের উল্লেখিত পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে সার্বিকভাবে দেশের অর্থনীতির ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।#

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (29)
Babul ২১ মার্চ, ২০১৯, ১২:৫৯ এএম says : 0
Good Innitiative or Thinking for Our Country...Thanks our Finance Minister A H M Mostafa Kamal.
Total Reply(0)
ইমরান ২১ মার্চ, ২০১৯, ২:৩০ এএম says : 0
প্রাথমিকভাবে চক্রবৃদ্ধি সুদের বিষয়টি কার্যকর হলে সাধারণ মানুষ যারা ঋণ নেয় তারা উপকৃত হবেন। চক্রবৃদ্ধি সুদের জাতাকলে তাদের পিষ্ট হতে হবে না। ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক উদ্যোগ নিতে তারা আগ্রহী হয়ে উঠবেন।
Total Reply(0)
মেহেদী হাসান ২১ মার্চ, ২০১৯, ২:৩০ এএম says : 0
তবে মুসলমানদের জন্য ইসলামভিত্তিক অর্থনীতি ও ব্যাংকিং ব্যবস্থাই উত্তম।
Total Reply(0)
তরিকুল ইসলাম ২১ মার্চ, ২০১৯, ২:৩১ এএম says : 0
মহান আল্লাহ সুদকে হারাম এবং ব্যবসাকে হালাল করেছেন। মুসলমান বিশ্বের অনেক দেশেই সুদের কারবার রয়েছে। আমাদের দেশেও ব্যাংকিং খাতসহ ব্যক্তি পর্যায়ে সুদের বিনিময়ে আর্থিক লেনদেন হয়ে থাকে। সুদের মাধ্যমে ঋণ দিয়ে সরকারি ব্যাংকসহ বেসরকারি অনেক ব্যাংক তাদের আর্থিক খরচসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চালায়। ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে সুদের এ প্রক্রিয়া কাম্য নয়।
Total Reply(0)
কামরুজ্জামান ২১ মার্চ, ২০১৯, ২:৩২ এএম says : 0
নতুন পদ্ধতি চালু হলে ঋণের সুদহার কমবে। এতে কমে যাবে ঋণের খরচ, কমবে ব্যবসা খরচও। ফলে পণ্যের দাম কমবে, এতে ভোক্তারা লাভবান হবেন। রফতানির ক্ষেত্রে সক্ষমতা বাড়বে।
Total Reply(0)
সফিক আহমেদ ২১ মার্চ, ২০১৯, ২:৩৫ এএম says : 0
অর্থমন্ত্রীর এসব ইতিবাচক উদ্যোগ কার্যকর হলে ব্যাংকিং খাতসহ অর্থনীতির বিভিন্ন খাত গতি লাভ করবে।
Total Reply(0)
নাসির ২১ মার্চ, ২০১৯, ২:৩৭ এএম says : 0
এমন একজন যোগ্য ব্যক্তিকে অর্থমন্ত্রী করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি
Total Reply(0)
খাইরুল ইসলাম ২১ মার্চ, ২০১৯, ২:৪০ এএম says : 0
উদ্যোক্তারা দীর্ঘদিন ধরেই চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ আরোপের পদ্ধতি বাতিল করে সরল হারে সুদ আরোপ পদ্ধতি চালু করার দাবি করে আসছেন। এবার তা পুরণ হচ্ছে
Total Reply(0)
Sanjit Das ২১ মার্চ, ২০১৯, ৯:৩৯ এএম says : 0
খুব ভালো কাজ তাড়াতাড়ি করা হোক চক্রবৃদ্ধি করতে করতে আমাদের নিজেদের চক্রবৃদ্ধি হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার ক্ষুদ্র শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে বাঁচান
Total Reply(0)
Prince Khan ২১ মার্চ, ২০১৯, ৯:৪০ এএম says : 0
ভালো প্রস্তাব, তবে বেসরকারি ব্যাংক যেনো পালন করে,বেসরকারি ব্যাংক প্রধানমন্ত্রীর কথা বরখেলাপ করে ৯% এর জায়গায় ১৪% নিচ্ছে।
Total Reply(0)
Arun Tanchangya ২১ মার্চ, ২০১৯, ৯:৪০ এএম says : 0
কথা আর কাজে যেন এক হয়।দেশের ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে পরিচালিত এনজিও গুলোর প্রতি একটু কড়া নজর দিবেন।তাদের যে সুদের হার চক্র বৃদ্ধি হারে ৫০০০টাকা বছরে ১০০০০ টাকা বৃদ্ধি পায়।এই ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে দেশে কখনও দারিদ্র বিমোচন হবে না।বরং জনগণ আরো দরিদ্র থেকে দরিদ্র হয়ে যাচ্ছে।
Total Reply(0)
Nazim Uddin ২১ মার্চ, ২০১৯, ৯:৪০ এএম says : 0
মাননীয় অর্থ মন্ত্রী ২০১০ সালে Standard Chartered Bank এ একটা ক্রেডিট কার্ড করেছি। ব্যবহার না করেও এখনো টাকা শোধ হয়নি! কত percent interest আর কি পরিমাণ টাকা এই ব্যাংক নিয়েছে তা আমার হিসেবের বাইরে! দয়া করে বিষয়টি একটু দেখবেন কি?
Total Reply(0)
AK Azad ২১ মার্চ, ২০১৯, ৯:৪১ এএম says : 0
সাবাস মাননীয় মন্ত্রী,যারা হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে খেলাপির সিমালংগন করে বহাল তবিয়তে আছেন, তাদের জন্য খুশির খবর হলেও আসল টাকার কি করবেন?যদি তাদেরকে দায় মুক্তি দেয়া যায় তবে দেশটা অনেক দুর এগুবে এতে কোন সন্দেহ নাই।
Total Reply(0)
Hedayet Ullah ২১ মার্চ, ২০১৯, ৯:৪১ এএম says : 0
সুদভিত্তিক অর্থনীতি চাই না। ইসলামী অর্থ ব্যবস্থা চাই।
Total Reply(0)
নাযমুল আরেফিন ২১ মার্চ, ২০১৯, ৯:৪১ এএম says : 0
দারুণ উদ্দেশ্য কিন্তু তা কি সাধারন মানুষ পাবে??? মনে তো হয় না।
Total Reply(0)
Uday Roy ২১ মার্চ, ২০১৯, ৯:৪১ এএম says : 0
Very good sir,
Total Reply(0)
Ahsan Habib ২১ মার্চ, ২০১৯, ৯:৪২ এএম says : 0
valo uddog...we support it...
Total Reply(0)
Jakarul Islam ২১ মার্চ, ২০১৯, ৯:৪২ এএম says : 0
এনজিও গুলোর লাগাম টানা উচিত। ১৪% সুদে ব্যবসা করা যায় না। এটা খুব বেশি।। কর্মীদের জন্য এনজিও গুলো অভিশাপ।। এনজিও কর্মীরা অমানবিক জীবনযাপন করে।
Total Reply(0)
Mustafiz Rahman ২১ মার্চ, ২০১৯, ৯:৪২ এএম says : 0
এইসব সুদ/কিস্তির জন্ত্রণায় জীবন ম্রিতপ্রায়,এইসব সমাধান আমাদের মারা যাওয়ার আগে হবে নাকি পরে ?
Total Reply(0)
Khondoker Saiful Haque ২১ মার্চ, ২০১৯, ৯:৪২ এএম says : 0
তারাতাড়ি করেন।ক্ষদ্র শিল্পের জন্য লোন সহজ করে প্রতিষ্ঠান গুলো বাচান।অনেক বেকার বেরে যাছে। মোবাইল এ খোজ খবর নিন।সাহায্য করুন।
Total Reply(0)
Mehedi Hassan Khan Babla ২১ মার্চ, ২০১৯, ৯:৪৩ এএম says : 0
সকল ব্যাংকের বড় ঋনখেলাপীর তালিকা করে তাদের সচল করার উদ্যোগ গ্রহন করা হোক অথবা আইনত ব্যবস্থা নেয়া হোক। তাদের কুকৃত্তির কারনে ছোট উদ্যোক্তারা যেন হোচট না খায় সেদিকে নজর দেয়া হোক। সকল ঋনের সুদের হার ৯% কার্যকর করে ব্যাংকগুলোর লভ্যাংশ বৃদ্ধির অশুভ প্রতিযোগিতা বন্ধ করা হোক।
Total Reply(0)
Shahadat Hossain ২১ মার্চ, ২০১৯, ৯:৪৩ এএম says : 0
Very good mannio Ortho montirika to be sir bastobaion korben
Total Reply(0)
Nil Akash ২১ মার্চ, ২০১৯, ৯:৪৩ এএম says : 0
পাটীগণিতের সুদকষা এবং শতকরা অংকের নতুন কোন সূত্র আবিষ্কারের চেষ্টা চলছে, মানুষ কে সর্বশ্রান্ত করার জন্য,
Total Reply(0)
Nazmul Rephat ২১ মার্চ, ২০১৯, ৯:৪৪ এএম says : 0
Right thinking
Total Reply(0)
Md Mosarraf Hossain ২১ মার্চ, ২০১৯, ৯:৪৪ এএম says : 0
সুদ সহজ হোক আর বক্র দুই ই হারাম
Total Reply(0)
Md Shamim Al Mamun ২১ মার্চ, ২০১৯, ৯:৪৪ এএম says : 0
বাস্তাবায়ন হবে কি?
Total Reply(0)
Swadip Chakma ২১ মার্চ, ২০১৯, ৯:৪৪ এএম says : 0
খুব ভালো উদ্যাগ গ্রহন করায় মাননীয় মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি
Total Reply(0)
Md Rifat Rahman ২১ মার্চ, ২০১৯, ৯:৪৫ এএম says : 0
Good decision
Total Reply(0)
Md. Monir ২১ মার্চ, ২০১৯, ১০:০২ এএম says : 0
মুসলমানের দেশে সুদমুক্ত ব্যাংকিং ব্যবস্হা চালু করা হোক।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন