বাগেরহাটের শরণখোলার বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে নির্মানাধীন পানি উন্নয় বোর্ডের (পাউবো) ৩৫/১ পোল্ডারের উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্প (সিইআইপ) আওতাধীন বগী এলাকার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বিস্তির্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। শনি ও রবিবার দিনে ও রাতে পুর্ণিমার প্রভাবে বলেশ্বর নদীর জোয়ারের তোড়ে প্রায় ১০০ মিটার বাঁধ সম্পূর্ণ বিলিন হয়েছে। সাউথখালী ইউনিয়নের বগী গ্রামের নদী সংলগ্ন এলাকায় পানি প্রবেশ করে বেশ কিছু ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। এতে, চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারন মানুষ।
রবিবার দুপুরে সরেজমিনে ভাঙ্গন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পুরানো বেরিবাঁধ ভেঙ্গে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে ওই এলাকার গ্রামগুলো পানিতে সয়লাব হয়ে গেছে। বসতঘরে পানি ঢুকে যাওয়ায় মানুষ স্বাভাবিক কাজকর্ম ও রান্নাবান্না করতে পারছেনা। গবাদি পশু নিয়েও তারা পড়েছেন বিপাকে। বেশ কিছু পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।
দুর্ভোগের শিকার বগী গ্রামের বাসিন্দা শায়সের আলী (৬২), রুস্তম আলী (৬৮), জলিল হাওলাদার (৬৪) ও সুফিয়া বেগমসহ অন্যান্যরা জানান, হঠাৎ শুক্রবার রাত ১২টার দিকে তারা ঘরের মধ্যে পানি দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। গবাদি পশুগুলো আশপাশের উচু জায়গায় নিয়ে রেখেছেন। চুলা জ্বালাতে না পারায় তাদের রান্নাবান্না বন্ধ রয়েছে।
সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন ও বগী ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রিয়াদুল পঞ্চায়েত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গত তিন বছর ধরে বেরিবাঁধের কাজ হলেও অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ও ভাঙ্গন প্রবন এলাকা বগী ও সাউথখালীতে বেড়িবাঁধের কাজ না করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চায়নার ‘সিএইচডাব্লিউই’ কম গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কাজ করছে। ফলে, এ এলাকার হাজার হাজার মানুষ ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করছে। তারা বাঁধ নির্মানের আগে এখানে নদী শাসন ব্যবস্থা না করা হলে বাঁধের ভবিষ্যৎ ঝুঁকিতে থাকবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিইআইপি প্রকল্পের (খুলনা) নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম বলেন, দু’সপ্তাহের মধ্যে মধ্যে ওই এলাকায় নতুন বাঁধ নির্মান কাজ শুরু হবে। নতুন করে জমি অধিগ্রহনের কাজ চলছে।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাস বলেন, ভাঙনের বিষয়টি নির্মানকারী প্রতিষ্ঠানকে অবহিত করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন