বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ধর্ম দর্শন

ইসলামে বিশ্ব বাণিজ্যউন্নয়নের বিশেষ কৌশল

মুহাম্মদ মনজুর হোসেন খান | প্রকাশের সময় : ২৮ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

একুশ শতকের সমস্যাসংকুল বিশ্বায়নে বাণিজ্যনীতি একটি অতিগুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। বাণিজ্যনির্ভর অর্থ ব্যবস্থায় প্রত্যেকটি দেশই আমদানি রপ্তানি নির্ভর। এ কারণে প্রতিটি রাষ্ট্রই নিজ নিজ স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বাণিজ্যনীতি প্রণয়ন করতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রে অন্য রাষ্ট্রের স্বার্থক্ষুন্নের কারণ ঘটাতে পারে। এ লক্ষ্যে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা আন্তর্জাতিক পরিসরে বিভিন্ন দেশের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে সুসম্পর্ক স্থাপন ও বাণিজ্যের সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের প্রয়াস অব্যাহত রেখেছে। বক্ষ্যমান প্রবন্ধে বিশ্ব বাণিজ্যসংস্থার চুক্তির আলোক অনুন্নত দেশের সুযোগ সুবিধা এবং ইসলামি আইনের সাথে তার সামঞ্জস্য বিধানের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এতে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মূলনীতির সাথে ইসলামি আইনের দৃষ্টিকোণের তুলনামূলক ও বিশ্লেষণধর্মী পর্যালোচনা করা হয়েছে। প্রবন্ধ থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে, ইসলামী আইনের মূলনীতি ও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার অঙ্গীকার বা চুক্তি সমূহের মধ্যে বৈপরীত্য নেই, বরং ইসলামী আইনকে সামনে রেখে উক্ত পুনর্গঠিত হলে অধিক ফলপ্রসূ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
বর্তমান বিশ্বে অধিকাংশ রাষ্ট্রই বিভিন্ন শক্তিশালী বাণিজ্যিক সংস্থার পৃষ্ঠপোষকতায় থেকে তাদের অর্থনীতি বিকশিত করতে ও অর্থনৈতিক নীতিমালা (Condified) একীভূতকরণে আগ্রহী। এ চাহিদার আলোকেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন, উত্তর আমেরিকার মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (নাফটা) আসিয়ান ইত্যাদি আত্মপ্রকাশ করেছে। এসব সংস্থা প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্যর মধ্যে একটি অভিন্ন বাজার প্রতিষ্টা ,শুল্কএবং আমদানি রপ্তানির উপর পরিমাণমত বিধিনিষেধের বিলুপ্তি বহিঃশুল্ক ও মাসুলে অভিন্ন হার চালু, তৃতীয় পক্ষের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা, বিনিয়োগ, পণ্য ও পুঁজির বিনামূল্যে পরিবহন সংক্রান্ত প্রতিবন্ধকতা অপসারণ ইত্যাদি অন্যতম।
বিশ্ব বাণিজ্যসংস্থা (World Trade organization-WTO) মূলত ১৯৪৭ সারে বিশ্বের বিভিন্ন দেশর ব্যবসা বাণিজ্যের অভিন্ন নীতিমালার তৈরির উদ্দেশ্যে প্রণীত শুল্ক ও বাণিজ্য বিষয়ক সাধারণ অঙ্গীকার (General Agreement on Tarfffs and Trade-GATT)) এর প্রতিস্থাপিত একটি সংস্থা। জেনেভা ভিত্তিক এ সংস্থাটি ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি বহুপাক্ষিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণকারী হিসেবে কাজ করে, যার বর্তমান সদস্য সংখ্যা ১৬৪ টি। বাংলাদেশ সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য রাষ্ট্র হিসাবে ভূমিকা রেখে আসছে। এই সংস্থার অধীনে সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে আলোচনা পর্যালোচনার ভিত্তিতে বিশ্ব বাণিজ্যিক নীতিমালার নির্ধারণ করা হয়। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পরিচালনা ও লেনদেনে বহু পাক্ষিক বা দ্বিপাক্ষিক কোন বিরোধ সৃষ্টি হলে তার মীমাংসা ও নিষ্পত্তিও এ সংস্থার অন্যতম উদ্দেশ্য।
WTO ১৯৯৪ সালে এপ্রিল মাসে মরক্কোর রাজধানী বাণিজ্যিক শহর মারাকেশে অনুষ্ঠিত উরুগুয়ে রাউন্ডে অফিসিয়াল সর্বশেষ সিদ্ধান্তে সংস্থার উদ্দেশ্যাবলি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়। এর মূল উদ্দেশ্য অবাধ বাণিজ্য প্রবাহ অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে সমর্থন দেয়া অর্থাৎ বাণিজ্য স্বাধীনতায় দৃশ্যমান সব প্রতিবন্ধকতায় অপসারণ। ব্যক্তি, কোম্পানি ও সরকার পর্যায়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্যিক নিয়মনীতির ব্যাপারে সচেনতা সৃষ্টি এবং তাদেরকে এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করা যে, নীতিমালায় কোনো আকস্মিক পরিবর্তন আনা হবে না। অন্যভাবে বলা যায়, এ সংস্থার উদ্দেশ্য হলো, একটি স্বচ্ছ, সুনির্দিষ্ট ও স্থিতিশীল নীতিমালা উপহার দেয়া। WTO এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা হলো, বাণিজ্যিক নীতিমালা বিষয়ক আলোচনার জন্য একটি ফোরামের আয়োজন করা।
WTO প্রতিষ্ঠার গুরুত্বপূর্ণ একটি উদ্দেশ্য ব্যবসায়িক বিরোধ নিষ্পত্তি করা। সংস্থা কর্তৃক সম্পাদিত বিভিন্ন সহায়ক চুক্তি ও নীতিমালার প্রায়ই ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয়। এ ব্যাখ্যা সাপেক্ষ নীতিমালা বাস্তব প্রয়োগের ক্ষেত্রে সৃষ্ট সমস্যা ও বিরোধ নিষ্পত্তিতে নিরপেক্ষ ও আইনগত স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান হিসেবে WTO ভূমিকা রাখে।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা WTO ও ভূতপূর্ব GATT বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন চুক্তি সম্পাদন করেছে। সিদ্ধান্তবলি সহ এর সংখ্যা প্রায় ৬০টি। নিম্নে চুক্তির ধরণ ভিত্তিতে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি চুক্তি তুলে ধরা হলো: ব্যবসা ও শুল্প সংশ্লিষ্ট চুক্তি, নিরাপত্তা ভিত্তিক চুক্তি, কৃষি ভিত্তিক চুক্তি, পয়ঃনিষ্কাসন সংক্রান্ত চুক্তি, পোশাক শিল্প ভিত্তিক চুক্তি, ব্যবসায় বাণিজ্যে কারিগরী প্রতিবন্ধকতা বিষয়ক চুক্তি, ব্যবসায়িক বিনিয়োগ পরিমাপ সংক্রান্ত চুক্তি,
ধারা-৬ (বাজার মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে পণ্য বিক্রয় প্রতিরোধ) এর প্রয়োগিক চুক্তি, (শুল্ক হার নির্ধারণ) এর প্রয়োগিক চুক্তি, জাহাজীকরণ পূর্ব পরিদর্শন বিষয়ক চুক্তি, মৌল বিধির উপর চুক্তি, আমদানীর লাইসেন্স প্রক্রিয়ুার উপর চুক্তি, সমকারী ও ভর্তুকি ভিত্তিক চুক্তি, পরিসেবামূলক ব্যবসা সংশ্লিষ্ট চুক্তি, বুদ্ধিভিত্তিক সম্পত্তির স্বত্ব সংক্রান্ত ব্যবসা বিষয়ক চুক্তি, বিরোধ নিষ্পত্তির প্রশাসনিক বিধি প্রক্রিয়া বিষয়কি সমঝোতা চুক্তি, বিশ্ব অর্থনীতির কর্মকৌশল প্রণয়ন বিষয়ক বৃহত্তর সম্মেলনের সিদ্ধান্তবলী, ব্যবসায়িক বিধি পর্যালোচনার প্রক্রিয়া, বহুপাক্ষিক ব্যবসা চুক্তি, সিভিল এয়ারক্রাফট বিষয়ক বাণিজ্যিক চুক্তি, সরকারী আয় সংক্রান্ত বাণিজ্যিক চুক্তি, আন্তর্জাতিক দুগ্ধ চুক্তি, গবাদি পশুর মাংস চুক্তি।
বিশ্বের অধিকাংশ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের সাথে আলোচনার মাধ্যমে স্বাক্ষরিত হওয়া এসব চুক্তি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মূলনীতি হিসেবে বিবেচিত। এর ভিত্তিতে সদস্য রাষ্ট্রসমূহ তাদের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আইনে মূলনীতি ও মূলনীতির প্রতিফলন ঘটাতে বাধ্য থাকে।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় সরকারের প্রতিনিধিত্ব থাকলেও এর মূললক্ষ্য উদ্দেশ্য পণ্য ও সেবার উৎপাদক, আমদানি পর্যালোচনার পর বিশ্বের অধিকাংশ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্বাক্ষরিত হয়।
WTO এর চুক্তির কর্ম পরিসর ব্যাপকভিত্তিক যেমন, কৃষি, বস্ত্র ও পোশাক ব্যাংকিং টেলিযোগাযোগ, রাষ্ট্রীয় ক্রয় বিক্রয়, শিল্প মান, খাদ্য স্যানিটেশন প্রবিধান, মেধা সম্পত্তি ইত্যাদি। এসব বাণিজ্যে বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় কিছু মূলনীতি রয়েছে।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বিভিন্ন চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে গৃহিত মূলনীতি ও এর মৌলিক উদ্দেশ্যসমূহ পর্যালোচনা করলে ৭টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়। যেগুলো ইসলামী আইনের দৃষ্টিতে পর্যালোচনার দাবি রাখে।
বাণিজ্যে উৎসাহিত করার অন্যতম মাধ্যম বাণিজ্যের প্রতিবন্ধকতা সমূহ হ্রাস করা শুল্ক বা মাসুল, আমদানি রপ্তানি নিষিদ্ধ বা সীমিতকরণ বাণিজ্যিক প্রতিবন্ধকতার অন্যতম। ১৯৪৭ সালে গ্যাট সৃষ্টির পর থেকে আটবার বাণিজ্যিক পরিসর বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বহুপাক্ষিক চুক্তির ((Multilateral Trade Negotiation-MTN) প্রথম আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় আমদানিকৃত পণ্যের ওপর শুল্ক (কাস্টমস) কমিয়ে আনার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা নিষেধ করা বিষয়ে, যার ফলস্বরূপ ১৯৮০ সালের পরবর্তী সময়ে শিল্প পণ্যের ওপর শুল্কের হার প্রায় ৬.৩ এ নেমে এসেছিল।
অর্থনীতিতে বহুপাক্ষিক চুক্তির ভিত্তিতে মুক্ত বাণিজ্য যথেষ্ট সহজতর, প্রয়োজন শুধু বাণিজ্যিক অভিজ্ঞতা ও সচেতনতা। পৃথিবীর সব দেশেরই কিছু না কিছু রাষ্ট্রীয় সম্পদ (যেমন, জনশক্তি, বনজ সম্পদ, খনিজ সম্পদ, শিল্প ও প্রাকৃতিক সম্পদ ইত্যাদি) যার ভিত্তিতে উক্ত রাষ্ট্র দেশীয়, এমনকি আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য ও সেবা উৎপাদনের মাধ্যমে প্রতিদ্বন্ধিতার যোগ্যতা রাখে। মুক্ত বাণিজ্যিনীতি পণ্য ও সেবার অবাধ বাণিজ্যের অনুমোদন করে, যাতে স্বল্প মূল্যে সর্বোৎকৃষ্ট পণ্য উৎপাদনের হার বৃদ্ধি পায়। WTO সদস্য দেশগুলোতে বাণিজ্যিক পরিবর্তনের ধারণা দেয় এবং উন্নয়শীল দেশগুলোতে প্রতিশ্রুত কর্তব্য পালনে যৌক্তিক সময়সীমা বেঁধে দেয়।
এই মূলনীতিটি মূলত (Most- Favoured Nation- MFN)) অধিকতর অগ্রাধিকার প্রাপ্ত দেশ এর প্রবিধান। যা কালোবাজারীর উদ্দেশ্যে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কমে পণ্য বিক্রি করা বা Dumping নীতিকে নিরুৎসাহিতকারী এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বৈষম্যমূলক আচরণ পরিহার করে নিঃশর্ত ও অবাধ বাণিজ্যের জন্য প্রণীত একটি বিধান। আইনী জটিলতা ও বিভিন্ন প্রতিকূলতা সত্তে¡ ও এ বিধানের লক্ষ্য রাষ্ট্রের অতিরিক্ত আমদানি শুল্ক ও অন্যায্য বাণিজ্য দ্বারা সৃষ্টি ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার ক্ষতিপূরণ নিশ্চত করা। WTO এর অধিকাংশ চুক্তিরই উদ্দেশ্য ব্যবসা বাণিজ্যে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতায় সমর্থন দান। এই মূলনীতির নির্দেশনা মতে, সদস্য দেশের ব্যবসায়িক অংশদারদের মধ্যে বৈষম্য করা যাবে না, সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা সমবণ্টন আবশ্যক। এমনকি দেশী ও বিদেশী পণ্য বা সেবার মধ্যেও বৈষম্য পরিহার করে উভয়ের মধ্যে সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা দেওয়া উচিত।
Dumping এবং Subsidization সংক্রান্ত্র ১৯৪৭ সালের GATT এর বিধানকে WTO আরও সম্প্রসারিত করেছে। তবে এ সংস্থা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে শুল্ক, মাশুল তুলে দেওয়ার পরামর্শ প্রদান করলেও ক্ষেত্রবিশেষে স্ববিরোধী রূপ ধারণ করে। কেননা এ পরিসরে পরিস্থিতির আলোকে ও সীমিত আকারে কখনো কখনো শুল্ক ও মাশুল গ্রহনের অনুমোদনও দিয়ে থাকে। এতদসত্তে¡ ও এটি অবাধ ও নিরপেক্ষ প্রতিযোগিতার একটি বিস্তৃত প্লাটফর্ম হিসেবে বিবেচিত হয়। এ ছাড়াও এটি মেধাস্বত্ব, পরিসেবা কৃষি বাণিজ্য ইত্যাদির প্রতিযোগিতাপূর্ণ অবাধ ও নিরপেক্ষ বাজারজাতের লক্ষ্যে বিভিন্ন চুক্তি সম্পাদন করেছে।
ব্যবসা বাণিজ্যে একপক্ষীয় বিশাল ক্ষাত থেকে পরিক্রাণের লক্ষ্যে অন্যের সাথে চুক্তিভুক্ত হওয়া বা অঙ্গীকার করার প্রয়োজনীয়তা দেখা যায়, যাতে লেনদেনরত বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় রক্ষণাবেক্ষণের বাধ্যবাধকতা জন্মে। বাণিজ্যিক অঙ্গীকার মূলত ব্যবসায়িক প্রতিবন্ধকতা কমিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অঙ্গীকারের ভিত্তিতে পূর্বানুমান অর্থাৎ অঙ্গীকরকে কেন্দ্র করেই ব্যবসায়ীরা ভবিষ্যত পরিকল্পনা বা সুযোগ সুবিধার পরিষ্কার ধারণা পেয়ে থাকে। স্থিতিশীলতা ও পূর্বানুমান বিবেচনায় এনে বিনিয়োগে উৎসাহ ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। বহুপাক্ষিক ব্যবসায়িক ব্যবস্থাপনায় রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো, ব্যবসায়িক পরিবেশের স্থিতিশীলতা বজায় রেখে ভবিষ্যত ব্যবসা সম্পর্কে ধারণা গ্রহণ করা। কেননা পূর্বানুমান নির্ভর দেশের বাণিজ্য নীতি যথা সম্ভব স্বচ্ছ ও সুষ্পষ্ট হওয়া বাঞ্ছনীয়।
WTO এর ব্যবস্থাপনায় কোন দেশ পণ্য বা সেবার জন্য নিজেদের বাজার উন্মক্ত করতে সম্মত হলে তারা বাধ্যগত প্রতিশ্রুতি দিযে থাকে। পণ্য সম্পর্কিত এই বাধ্যগত প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে শুল্কের হার নির্ধারিত হয়ে থাকে। তবে কোন দেশ তাদের বাণিজ্যিক ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য শুধামাত্র আপস মীমাংসার মাধ্যমে বাধ্যগত অঙ্গীকারটি আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তন করতে পারবে। উরুগুয়ে রাউন্ডে বহুপাক্ষিক বাণিজ্যিক আলোচনার অন্যতম দিক ছিল বাধ্যগত অঙ্গীকারের অধীনে বাণিজ্যিক বাজার সংখ্যা বৃদ্ধি এবং ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তার নিশ্চয়তা প্রদান।
চলবে

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন