শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্যবসা বাণিজ্য

প্রকল্পে জনবল পূরণের নামে সময়ক্ষেপণ ও অপচয় বন্ধ করতে হবে রাঙ্গাঁ

প্রকাশের সময় : ২০ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের গৃহীত প্রকল্পসমূহে শূন্যপদে জনবল পূরণের নামে যাতে সময়ক্ষেপণ ও অর্থ অপচয় না হয় তার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। রাজস্ব খাতের বিদ্যামান জনবল প্রেষণে নিয়োগ দিয়ে প্রকল্প কাজ চালাতে হবে। কেননা এতে করে সরকার কর্তৃক বেকারদের কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি ত্বরান্বিত হবে। গতকাল স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ ও এর আওতাধীন বিভিন্ন প্রকল্পের পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ এসব দিক-নির্দেশনা দেন। এ সময় বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. প্রশান্ত কুমার রায়সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন প্রকল্প ও সংস্থা হতে একই ব্যক্তি বিভিন্ন উপায়ে ঋণগ্রহণ ও উপকরণ পেয়ে থাকে। এতে করে দারিদ্র্য পীড়িত জনগোষ্ঠীর একটা অংশ উপকৃত হতে পারছেন না। এটা প্রতিরোধে একটি মাদার ডাটাবেজ করে সব প্রকল্পের লিংক-আপ থাকবে যাতে করে কেউ তথ্য গোপনের সুযোগ না পায়। তিনি মিল্ক ভিটার উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, আধুনিকায়ন ও সিসটেম লস কাজের মন্থরগতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করে তা দ্রæত ও স্বচ্ছতার সাথে সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেন। এ ব্যাপারে কোন প্রকার গাফিলতি ও শৈথিল্যতা বরদাশত করা হবে না।
২০২১ সালে কানাডার সঙ্গে বাণিজ্য ৪ বিলিয়ন ডলারের আশা ডিসিসিআই’র
অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ আগামী ২০২১ সালে বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৪ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে বলে আশা করছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি হোসেন খালেদ। গতকাল (বৃহস্পতিবার) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) অডিটোরিয়ামে ‘অ্যাচিভমেন্ট অব ২ বিলিয়ন ডলার ইন বাইলেটারাল ট্রেড বিটুইন বাংলাদেশ অ্যান্ড কানাডা ইন ২০১৫’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
হোসেন খালেদ বলেন, শুল্কমুক্ত সুবিধা অব্যাহত রাখায় গত দশকে কানাডার বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের রফতানি বেড়েছে। কানাডা থেকে শূন্য দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার পণ্য আমদানির বিপরীতে বাংলাদেশ ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন পণ্য রফতানি করে থাকে। যার মধ্যে তৈরী পোশাক, চামড়া, প্লাস্টিক, পাটজাত দ্রব্য, সফটওয়্যার, ওষুধ, জাহাজশিল্পসহ অপ্রচলিত পণ্যের রফতানি বাড়ছে। ফলে আগামী ২০২১ সালে দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দাঁড়াবে ৪ বিলিয়ন ডলারে।
ডিসিসিআই সভাপতি জানান, ২০০৫-০৬ অর্থবছরে কানাডায় রফতানির পরিমাণ ছিল ৪০৮ দশমিক ৭৫ মিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে, আমদানির পরিমাণ ছিল ১২৮ মিলিয়ন ডলার। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে রফতানির পরিমাণ দাঁড়ায় ১ হাজার ৪৭৯ দশমিক ৮২ মিলিয়ন ডলার। এছাড়া আমদানির পরিমাণ ৯০০ দশমিক ১২ মিলিয়ন ডলার। কানাডার হাইকমিশনার বেনিয়েত পিয়ারে লারামি বলেন, প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের সঙ্গে কানাডার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ২ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম একটি মাইলফলক। ২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে বাণিজ্য বেড়েছে ২৮ শতাংশ। দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে তৈরী পোশাক শিল্পের অবদান অন্যতম। কানাডার পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা বড় একটি অংশ সংগ্রহ করে বাংলাদেশ থেকে। আলোচনা অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কানাডা বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ক্যানচ্যাম) সভাপতি মাসুদ রহমান, ডিসিসিআই জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি হুমায়ুন রশিদ প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন