বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

মুসলমান হলেন নিউজিল্যান্ডের রাগবি খেলোয়াড় ওফা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ মার্চ, ২০১৯, ৩:৩৫ পিএম

গত ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে হামলায় অর্ধশত মুসল্লি নিহত হওয়ার ঘটনার পরের শুক্রবার মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন দেশটির তারকা রাগবি খোলোয়ার সনি বিল উইলিয়ামস। এবার ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন তার বন্ধু আরেক রাগবি খেলোয়ার ওফা তুঙ্গাফাসি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলে প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে জানা যায়, নিউজিল্যান্ডের সাউথ আইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে মসজিদে হামলায় আহতদের দেখতে গিয়েছিলেন ওফা। সেখানে গিয়ে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন তিনি। আর সে কারণেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। একই দিনে ইসলাম গ্রহণ করেন তার বন্ধু সনি বিল উইলিয়ামসের মা।
ধর্মান্তরিত হওয়ার অনুভূতি জানিয়ে ওফা বলেন, ‘মুসলিম ভাইদের হাসপাতালে দেখার অভিজ্ঞতা ছিল অন্যরকম। তাদের থেকে আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি। আর তাই আমি আল্লাহ্ ও মোহাম্মদ (সা.) কে বিশ্বাস করেছি।’
জিম্বাবুয়ের এক মসজিদের ইমাম সাজিদ মঙ্গলবার টুইট বার্তায় বলেন, ‘সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্র। আমাদের ভাই সনি বিল উইলিয়ামসের মা ও তার বন্ধু ইসলাম গ্রহণ করেছেন। দূরে থাকলেও আমি সত্যিই আমার ভাইয়ের জন্য সন্তুষ্ট। আল্লাহ্ তাকে সম্মানিত করেছেন।’
ব্রিটিশ জাজ কণ্ঠশিল্পী জন ফন্টেইন টুইটার বার্তায় লিখেন, ‘আল্লাহু আকবার। আজ ওফা তুঙ্গাফাসি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। আল্লাহ তাদের পক্ষে ইসলামকে সহজ করে দিন এবং তাদের জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন।’
ডেইলি মেইলের প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে মর্মান্তিক ও নৃশংস হামলার পর রাগবি খেলোয়াড় ওফা ইসলাম ধর্ম নিয়ে জানার চেষ্টা করে আসছিলেন। সেই সূত্রেই শান্তির এ ধর্ম গ্রহণ করলেন তিনি।
সনি বিল উইলিয়ামস শুধু মুসলিমই নন তিনি নিউজিল্যান্ড রাগবি ইউনিয়ন দলে খেলা প্রথম মুসলিম। নিউজিল্যান্ডের এই প্রখ্যাত রাগবি খেলোয়াড় দুই বার বিশ্বকাপও জয় করেন। ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকেই মুসলমানদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের ওপর শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদের অনুসারী ব্রেনটন ট্যরান্টের বন্দুক হামলা চালায়। যাতে নামাজরত অবস্থায় প্রাণ হারায় ৫০ মুসল্লি। আহত হয় আরও অনেকে। তাদের অনেকেই এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন