এমনিতেই ফেসবুক কর্তৃপক্ষ নানা রকম চাপে রয়েছে। তার ওপর ১৫ই মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ৫০ জন মুসলিমকে হত্যা ও সেই দৃশ্য সরাসরি ফেসবুকে সম্প্রচার করার কারণে সারাবিশ্বে সমালোচনার মুখোমুখি কর্তৃপক্ষ। এরই ভিত্তিতে তারা শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদের প্রশংসা, সমর্থন ও প্রতিনিধিত্ব করার সব রকম চেষ্টা নিষিদ্ধ করবে আগামী সপ্তাহ থেকে। খবর বিবিসি।
বিশ্বে বিপ্লব ঘটানো এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর সঙ্গে যখনই সম্পর্কিত কোনো ‘ম্যাটেরিয়াল’ তারা সনাক্ত করতে পারবে তখনই তা ব্লক করে দেয়া হবে। এ ছাড়া এমন ম্যাটেরিয়াল সনাক্তের সক্ষমতা বাড়ানোরও প্রত্যয় ঘোষণা করেছে তারা। ফেসবুকের ব্যবহারকারীরা যেসব বিষয়ে সার্স করবেন তা যদি আপত্তিকর হয় তাহলে তা সরাসরি একটি দাতব্য সংস্থাকে জানিয়ে দেয়া হবে। এই দাতব্য সংস্থা উগ্র ডানপন্থি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
১৫ই মার্চে সন্ত্রাসী ব্রেনটন টেরেন্টের হামলার দৃশ্য সরাসরি দেখানোর পর মারাত্মক সমালোচনার মুখে পড়ে ফেসবুক। এরপর ব্রেনটনের ভিডিও এবং তার কপি করা ভিডিও যারাই পোস্ট করেছেন তা ব্লক করে দিয়েছে ফেসবুক। এরপর আগে এই যোগাযোগ মাধ্যম কিছু শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদের ম্যাটেরিয়ালকে অনুমোদন করেছিল তারা, ফেসবুক বলছে, তাদের দৃষ্টিতে এসব ম্যাটেরিয়াল বর্ণবাদমূলক বলে মনে হয় নি তাদের। তবে বুধবার তারা এক ব্লগ পোস্টে বলেছে, এ বিষয় নিয়ে তিন মাস তারা নাগরিক সমাজ ও শিক্ষাবিদদের সঙ্গে পরামর্শ করেছে। তাতে দেখা গেছে শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদকে শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদ থেকে আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই। তারা ঘৃণামূলক ইস্যুতে সংগঠিত গ্রুপ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন