বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

বিনোদন প্রতিদিন

সিনেমার দুরবস্থার জন্য তারকা শিল্পীরা অনেকাংশে দায়ী-গুলজার

বিনোদন রিপোর্ট: | প্রকাশের সময় : ৩০ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৯ এএম

চলচ্চিত্রের চলমান দুরাবস্থার জন্য তারকা শিল্পীরাও অনেকাংশে দায়ী। তাদের খামখেয়ালি আচরণের কারণে একটি সিনেমা সময়মতো শেষ করা যায় না। এতে সময় যেমন বেশি লাগে, তেমনি খরচও বৃদ্ধি পায়। সম্প্রতি কুরিয়ার নামে একটি সিনেমার মহরতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার এ কথা বলেন। তিনি বলেন, চলচ্চিত্রের আজ এই দুরবস্থার জন্য তারকাশিল্পীরা দায়ী। একটি সিনেমায় চুক্তির সময় তারা পুরো টাকা নিয়ে নেন। তারপর শুরু হয় শিডিউল নিয়ে তাদের তালবাহানা। শূটিংয়ের সময় ঠিক থাকে না। সকাল ৯টায় শূটিং টাইম থাকলে, অনেকেই সেটে আসেন ১২টায়। এতে নির্মাতা ঠিক মতো সিনেমার মেকিং নিয়ে ভাবতে পারেন না। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, একজন পরিচালক যদি চিন্তা করে রাখেন দিনে ৫০টি শট নেব। দেখা যায় শিল্পীর সময় মতো সেটে না আসায় ৫০ শটের জায়গায় ৩০টি শট নিতে হচ্ছে। নির্ধারিত ২০টি শটই ঐ তারকা শিল্পী নষ্ট করে ফেলছে। এতে পরিচালকের যেমন সিনেমা নির্মাণে মনোযোগ নষ্ট হয়, তেমনি খরচও বেড়ে যায়। গুলজার বলেন, তারকারা সহযোগিতা করলে সিনেমার নির্মাণ ব্যয় কমবে এবং সিনেমাটিও সঠিকভাবে শেষ হবে। অমি মনে করি, তারকা শিল্পীরা যদি আমাদের চলচ্চিত্র নির্মাণে সহযোগিতা করেন, মন দিয়ে শুটিং করেন, সময় মতো সেটে আসেন- তা হলে একটি সিনেমা থেকে অন্তত ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় কমে যাবে। একজন নির্মাতা যেভাবে গল্পটা বলার চিন্তা করেন, সেভাবে ক্যামেরায় ধারণ করতে পারবেন। গুলজার তার সিনেমা নির্মাণের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন, ১৯৯৭ সালে যখন সুখের ঘরে দুঃখের আগুন সিনেমাটি নির্মাণ করি তখন এতে নায়ক ছিরেন ইলিয়াস কাঞ্চন এবং তার বিপরীতে দুই নায়িকা, দিতি ও মৌসুমী। তারা সবাই তখন অনেক ব্যস্ত শিল্পী। ইলিয়াস কাঞ্চনের একচেটিয়া বাজার। সিনেমাটির শূটিং চলাকালে মৌসুমী প্রেগনেন্ট হন। আমি সিনেমার শূটিং বন্ধ রাখি। আবার যখন মৌসুমী সন্তান জন্ম দেয়, কাজ শুরু করেন, তখন আমি সবার কাছে শিডিউল চাইলাম। সবাই কী যে আন্তরিকতা নিয়ে আমরা কাজটি শেষ করে দেন! আমি সারাজীবন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। কেউ টাকা নিয়ে কোনো কথা বলেননি। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একটানা কাজ করেছেন কাঞ্চন ভাই, দিতি, মৌসুমীরা। আমি মনে করি, সবার এই ভালোবাসাই চলচ্চিত্রের সুদিন দিয়েছিল। এখন তারকা শিল্পীদের মধ্যে এ আন্তরিকতা দেখা যায় না। ফলে চলচ্চিত্রেরও সুদিন ফিরছে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন