বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

বিশ্বব্যাপী কমলেও কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ছে ভারত ও চীনে

তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি বৃদ্ধির প্রভাবেই শুরু হয়েছে নানান প্রাকৃতিক বিপর্যয়

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ৩০ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

গত কয়েক বছর ধরে পুরো বিশ্বে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনের সংখ্যা কমেছে। ২০১৫ সাল থেকে এই হ্রাসের পরিমাণ ৮৪ শতাংশ। শুধু ২০১৮ সালেই এমন বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে ৩৯ শতাংশ। ‘গ্লোবাল এনার্জি মনিটরের’ এক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান আরও জানিয়েছে, ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত নির্মাণ সমাপ্ত হওয়া কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের সংখ্যায় কমেছে প্রায় অর্ধেক। কিন্তু ব্যতিক্রম এশিয়া; বিশেষ করে ভারত ও চীন। সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র হ্রাস করা না গেলে কার্বন দূষণ ও বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হবে না। ২০১৫ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নেওয়া দেশগুলো বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরিমাণকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে এবং সম্ভব হলে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার বিষয়ে একমত হয়েছিল। সেই সময় থেকে এ পর্যন্ত লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ জোরদার করা তো দূরে থাক বরং পদক্ষেপগুলো নিয়ে রাজনৈতিক বিভেদ বেড়েছে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধির প্রভাবেই বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে নানান প্রাকৃতিক বিপর্যয়। একদিকে যেমন দেখা যাচ্ছে দাবানল, অন্যদিকে তেমন দেখা দিচ্ছে হ্যারিকেন। ‘গ্লোবাল এনার্জি মনিটরের’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ রেকর্ড সংখ্যায় হ্রাস পেয়েছে। এতে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স¤প্রতি প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে তিন চতুর্থাংশ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র এখন নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন ব্যবস্থার তুলনায় বেশি খরুচে। আর্থিক বিচারেই কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র পছন্দের তালিকা থেকে বাদ পড়ে যাচ্ছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের ব্যয় কমতে থাকার বিষয় ছাড়াও কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র হ্রাসের কারণ হিসেবে সামনে এসেছে বিশ্বজুড়ে শতাধিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কয়লা উৎপাদনকারীদের নিষিদ্ধ হওয়া এবং দূষণের লাগাম টেনে ধরতে নেওয়া রাজনৈতিক তৎপরতা। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত পরিবেশ বিষয়ক সংস্থা সিয়েরা ক্লাবের সদস্য নেহা ম্যাথিউ শাহ। তিনি ‘গ্লোবাল এনার্জি মনিটরের’ সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনটির গবেষকদের একজন। নেহার ভাষ্য, ‘বিশ্বজুড়ে কয়লার ব্যবহার বন্ধ হয়ে যাওয়াটা সময়ের ব্যাপার মাত্র।’ কিন্তু আশাবাদী হতে পারছেন না সংস্থাটির আরেক গবেষক ক্রিস্টিন শিয়েরার। তার ভাষ্য, ‘বর্তমানে চালু থাকা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো অভাবিত দ্রুততার সঙ্গে বন্ধ করতে হবে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরিমাণকে ২ ডিগ্রি সেলিয়াসে সীমিত রাখতে হলে।’ তার এ বক্তব্যের সমর্থন পাওয়া যায় ‘ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি’র প্রতিবেদনে। গার্ডিয়ান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
ash ৩০ মার্চ, ২০১৯, ৮:৪৫ এএম says : 0
KE BOLECHE WORLD E KOYLA R BIDDUTH KENDRO KOMCHE ?? AUSTRALIA TE 95% BIDDUTH KOYLA DIE WTHPONNO HOCHE, NOTUN ARO BANACHE TARA ! BANGLADESH E GAS- OIL E BIDDUTH KENDRO NA BANIE , BORO BORO CHOR GULOTE KOYLA BIDDUTH KENRO BANANO WCHITH, DHOA TA DURE THAKBE !! ASHOLE BANGLADESH E INLAND E KONO BIDDUTH KENDOR BANANO WCHITH NA ( LOK SHONKHA BESHI BOLE)
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন