শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

অগ্নিদুর্ঘটনা এড়াতে জাতীয় কমিশনের প্রস্তাব ড. কামালের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

 বহুতল ভবনে নির্মাণে বিদ্যমান আইনের কোনো ঘাটতি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে জাতীয় কমিশন গঠনের প্রস্তাব করেছেন ড. কামাল হোসেন। গতকাল বনানীতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ক্ষতিগ্রস্থ এফ আর টাওয়ার পরির্দশন শেষে সাংবাদিকদের এই কথা বলেন।

তিনি বলেন, আইনের ঘাটতি আছে কিনা সেটা দেখার জন্য একটা জাতীয় কমিশন গঠন করা উচিত। যেহেতু এতোগুলো বহুতলা বিল্ডিং হচ্ছে এবং সমানে হয়ে যাচ্ছে। আপনি দেখেন এতো বিল্ডিং হচ্ছে, প্রতিদিন বিল্ডিং নির্মাণ হচ্ছে। এগুলো আইন মেনে হচ্ছে কিনা তা দেখতে হবে।
ড. কামাল হোসেন বলেন, এতো বড় একটা ভয়াবহ ঘটনার পরে এটা আমাদের জন্য একটা ওয়ানিং হলো। চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো যে, দেখো- এখানে এসব ব্যবস্থা না করা হয়, নকশা ঠিক মতো যদি না করা হয়, বিল্ডিং নির্মানের সময়ে সব কিছু ঠিকমতো না করা হয়, বিশেষ করে এরকম দুর্ঘটনার সময়ে বাহির হওয়ার পথ যেটাকে ফায়ার স্কেপ বলে- সবদেশের এটা থাকে, এটা ছিলো কিনা।
তিনি বলেন, আমার দেশের আইনেও দুর্ঘটনা হলে বাহির হওয়ার পথ থাকার বিধান রয়েছে। আমাদের দেখতে হবে যে আইনে যেসব আছে, তা পালন করা হচ্ছে কিনা। না হলে আমাদের বলতে হবে- এসব পালন করতে হবে, আইনানুগ যেটা কর্তব্য সেটা করতে হবে। আইন পালন না করলে যেসব কার্যকর ব্যবস্থা রয়েছে সেগুলো নিতে হবে। এরকম দুর্ঘটনা প্রতিরোধে রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে এসব মনিটরিং করা, এভাবে প্রাণহানিতে রাষ্ট্র কী তার দায় এড়াতে পারে কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীকে সমন্বয় করে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। আমরা তদন্ত কমিটিতে বসেছি। আমরা আজকে স্বচক্ষে দেখতে এসেছি। আমাদের দেখতে হবে রাষ্ট্র তার দায়িত্ব পালন করছে কিনা, যারা নকশা অনুমোদন করেছে তারা তাদের দায়িত্ব পালন করেছে কিনা- এসব প্রশ্ন গভীরে গিয়ে দেখবো। আপনাদের কোনো তথ্য থাকলে তা এই তদন্ত কমিটিকে দেবেন। গণমাধ্যমের সহযোগিতা আমাদের প্রয়োজন।
ড. কামাল হোসেন বলেন, একটা জাতীয় তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। যেন তেনোভাবে তদন্ত করলে চলবে না। যে ক্রটির জন্য এই আগুনটা লাগলো, এতো দ্রæত আগুনটা ছড়িয়ে গেলো। মানুষ বাঁচার জন্য পথ ছিলো না। বিভিন্ন দেশের আইনের আছে, দুর্ঘটনা হলে মানুষ বাঁচার জন্য কিভাবে বাহির হতে পারে। সব দেশে এই ফায়ার স্কেপ আছে। যে ঘটনা ঘটে গেলো -এটা তো কোনোভাবে হওয়ার কথা না যদি বাহির হওয়ার পথ থাকে। যেভাবে ১০/১২ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে বাঁচার কথা নয়। বিল্ডিং করার সময় এসব নিয়ম মেনে চলার কথা। বিল্ডিং কোড মানা হয়েছে কিনা। এসব প্রশ্ন আজকে এসে গেছে। আইনজীবীরা ক্ষতিগ্রস্থদের আইনি সহায়তা দেবেন বলে জানান ড. কামাল হোসেন। তিনি পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন।
এ সময়ে তার সাথে ছিলেন গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির খান, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পথিক, য্বু গণফোরামের সভাপতি কাজী হাবিব, মিডিয়া সমন্বয়ক লতিফুল বারী হামিম প্রমুখ।

 

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন