মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

দলে বিদ্রোহের মুখে মে অনিশ্চয়তায় ব্রিটেন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

ব্রেক্সিট নিয়ে কঠিন সমস্যায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে। একদিকে বিরোধী দল। অন্যদিকে নিজের দলের ভিতর বিদ্রোহ। তিনি কোনোভাবেই সামনে এগুতে পারছেন না। একের পর এক বাধা আসছে তার সামনে। ব্রেক্সিট চুক্তিতে সমর্থনের বিনিময়ে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ের আগেই পদত্যাগ করার ঘোষণা দেয়া সত্তে¡ও পাস করাতে পারেননি ওই চুক্তি। এখন চতুর্থ ও চূড়ান্ত দফায় তিনি ওই চুক্তি পার্লামেন্টে তুলতে চাইছেন। এবার কি ঘটবে তা বলা মুশকিল। তবে তিনি যে পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছেন তার অর্থ হলো ব্রিটেন একটি আগাম নির্বাচনের দিকে ধাবিত হবে। ফলে তার কনজারভেটিভ পার্টির অনেক এমপি তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে যদি এমন কোনো পদক্ষেপ নেন, যার জন্য আগাম নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যায় ব্রিটেন, তাহলে তারা তার সেই উদ্যোগের বিরুদ্ধে ভোট দেবেন। এর ফলে কনজার্ভেটিভ দলের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি হতে পারে বলে সতর্কতা দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, এমন হলে ব্রেক্সিট নিয়ে সঙ্কট আরো ঘনীভূত হবে। তাই যদি হয়, অর্থাৎ সমর্থন আদায়ের বিনিময়ে টেরিজা মে যদি আগাম পদত্যাগ করেন, তাহলে ব্রিটেন আগাম নির্বাচনের দিকে যাবে। তিনি যেন তা করতে না পারেন সে জন্য তার বিরুদ্ধে এমপিদের অবস্থানের অর্থই হলো, তারা তার চূড়ান্ত দফা ব্রেক্সিট চুক্তির পক্ষে ভোট দেবেন না। তার নেতৃত্বাধীন সরকারের মধ্যে যে ধস দেখা দিয়েছে তা স্পষ্ট হয়েছে মন্ত্রীপরিষদে। কারণ, মন্ত্রীপরিষদের অনেকে সতর্কতা দিয়ে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মের নেতৃত্বে একটি নির্বাচনের যাওয়ার বিরুদ্ধে সিরিয়াস প্রচারণা চালাবেন কনজার্ভেটিভ দলের এমিপরা। ব্রেক্সিট চুক্তির বিনিময়ে পদত্যাগের ঘোষণা, অর্থাৎ আগাম নির্বাচনের ইঙ্গিত দেয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে ব্রেক্সিটপন্থি এবং ব্রেক্সিট বিরোধী উভয় শিবিরে। তিনি যে দিকেই যান না কেন, তাকে সে জন্য হাউস অব কমন্সে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হবে। কিন্তু তার নিজ কনজার্ভেটিভের এমপিরা বিদ্রোহ করবেন বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন। ফলে তাদের বিদ্রোহে তার এমন প্রচেষ্টা হাউস অব কমন্সে আটকে যাবে এটা স্পষ্ট। এ খবর দিয়েছে অনলাইন গার্ডিয়ান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যালান ডানকান বলেছেন, ব্রেক্সিট ইস্যুর সমাধান হওয়ার আগে যদি একটি সাধারণ নির্বাচন হয় তাহলে পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলবে। পালামেন্ট যে সিদ্ধান্তই নিক না কেন, তার ওপর আরেকটি গণভোট দাবি করছেন কনজার্ভেটিভ দলের এমপি অ্যান্টোনিটে স্যান্ডব্যাচ। তিনি বলেছেন, সাধারণ নির্বাচন আহŸান করা হলে তার বিরোধিতা করবেন তিনি। তার ভাষায়, সমস্যা সমাধানের উত্তর জাতীয় নির্বাচন নয়। আমি এ বিষয়ের বিরুদ্ধে ভোট দেবো। পার্লামেন্টে আমাদেরকে উপায় খুঁজে বের করতে হবে। তারপর তা নিশ্চিত করার জন্য জনগণের কাছে গণভোটে দিতে হবে। গার্ডিয়ান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন