সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন সোহেলকে গণ পিটুনির আড়ালে খুনের ঘটনায় আরও চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজনকে তার ছেলেসহ গ্রেফতার করা হয়। তবে মামলার এজাহারে তাদের কারো নাম নেই। ঘটনায় তারা জড়িত ছিলেন এটা নিশ্চিত হয়েই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। রোববার রাতে নগরীর পাহাড়তলী বাজার থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন, রমজান আলী কিরণ (৩০), মো. ইকবাল (২১), মো.লালন (৫০) এবং তার ছেলে শাকিল খান শামীম (১৯)।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারি কমিশনার (ডবলমুরিং জোন) আশিকুর রহমান বলেন, এদের চারজনের হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছি। তাদের হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। বিকেল তাদের আদালতে হাজির করা হবে। সোহেল হত্যা মামলায় পুলিশ এ পর্যন্ত ওসমান খানসহ মোট ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে।
গত ৭ জানুয়ারি সকালে নগরীর ডবলমুরিং থানার পাহাড়তলী বাজারে গণ পিটুনিতে মহিউদ্দিন সোহেলের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর পুলিশ ও বাজারের ব্যবসায়ীরা জানায়, চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে ব্যবসায়ী ও জনতা মিলে মহিউদ্দিন সোহেলকে গণপিটুনি দেওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে। তবে পরদিন তার পরিবারের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মহিউদ্দিন সোহেল কোনো ছিঁচকে চাঁদাবাজ কিংবা সন্ত্রাসী ছিলেন না। তাকে পরিকল্পিতভাবে কাউন্সিলর সাবের সওদাগর ও ওসমান খানের লোকজন হত্যা করেছে।
হত্যাকাণ্ডের পর ৮ জানুয়ারি রাতে মহিউদ্দিন সোহেলের ছোট ভাই শাকিরুল ইসলাম শিশির বাদী হয়ে নগরীর ডবলমুরিং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সিটি করপোরেশনের সরাইপাড়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও পাহাড়তলী বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির আহ্বায়ক সাবের আহমদ সওদাগর ও সদস্য ওসমান খানসহ ২৭ জনকে আসামি করা হয়। এছাড়া আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
মহিউদ্দিন সোহেল চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন