বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

অপঘাতে মৃত্যু বেড়েছে

তিন মাসে কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাতে ৫০ জনের মৃত্যু। সড়কে নিহত প্রায় ১২০০, চলতি বছরের তিন মাসে রাজধানীসহ সারাদেশে অগ্নিকান্ডে নিহত ২০০, আহত ৫০০

সাখাওয়াত হোসেন | প্রকাশের সময় : ২ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে অপঘাতে মৃত্যুর ঘটনা। নানা চেষ্টা ও তৎপরতার পরও এসব দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর মিছিল থামানো যাচ্ছে না। সড়ক দুর্ঘটনা, অগ্নিকান্ড, কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাতে প্রাণহানি যেন মহামারী আকার ধারণ করেছে। একটি দুর্ঘটনার রেশ না কাটতেই চেপে বসে আরেকটি ভয়াবহ দুর্ঘটনা। এসব দুর্ঘটনা প্রতিরোধে দীর্ঘমেয়াদি কোনো উদ্যোগ নেই। তদারকি কর্মকর্তাদের গাফিলতি ও দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে রাস্তায় যেমন লক্কড়-ঝক্কর যানবাহন চলছে, তেমনি নগরীতে গড়ে উঠছে অনুমোদনহীন বহুতল ভবন। হঠাৎ বড় ধরনের অগ্নিকান্ড কিংবা সড়ক দুর্ঘটনার পর প্রশাসন তোড়জোড় শুরু করলেও কয়েক দিনের মধ্যেই তা চাপা পড়ে। আর এর দায় নিয়ে বেঁচে থাকতে হয় নিহতদের পরিবারের সদস্য ও আহত বা পঙ্গুদের।
গত ফেব্রুয়ারিতে রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে নির্মমভাবে প্রাণ হারান ৭২ জন। এ শোক কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই গত ২৮ মার্চ ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ঢাকার অভিজাত বনানীর এফ আর টাওয়ারে নিহত হয় ২৬ জন। এ দু’টি বড় দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে অন্তত দুই শতাধিক। চুড়িহাট্টা ও বনানীর মতো দু’টি ভয়াবহ দুর্ঘটনার রেশ না কাটতেই গত শনিবার ভোরে রাজধানীর গুলশানের ডিএনসিসি মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে হতাহতের ঘটনা না থাকলেও সর্বস্ব হাড়িয়ে পথে বসেছে অনেক মানুষ।
সড়ক দুর্ঘটনা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মতে, প্রতি বছর ১২ হাজারেরও বেশি মানুষ সড়কে প্রাণ হারায়। এর বাইরে অগ্নিকান্ড ও কালবৈশাখীর মতো অপঘাতে প্রতি বছর লাখ লাখ পরিবার নিঃস্ব হচ্ছে। এই নীরব হত্যাকান্ডের জন্য কাউকে খুব একটা কৈফিয়তও দিতে হয় না। নিতে হয় না দায়দায়িত্ব। সড়ক দুর্ঘটনা ও অগ্নিকান্ডের প্রভাব শুধু ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর ওপরই নয়, এর প্রভাব পড়ছে সমাজ জীবনেও। প্রতি বছর বিপুলসংখ্যক মানুষের এই অপ্রত্যাশিত প্রাণহানি ও পঙ্গুত্ববরণের প্রভাবের বাইরে থাকছে না জাতীয় অর্থনীতিও।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) তথ্য মতে, গত ১০ বছরে সারাদেশে ১৬ হাজার অগ্নিকান্ডে ১ হাজার ৫৯০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। চুড়িহাট্টায় অগ্নিকান্ডে ৭২ জন নিহত হওয়ার এক সপ্তাহের ব্যবধানে মিরপুর ১৪ নম্বরের ভাসানটেক বস্তিতে আগুনে ১৫০ ঘর ভস্মীভূত হয়। এতে অসহায় অনেক পরিবার সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসেছে।
সম্প্রতি রাজধানীসহ সারাদেশে যে হারে অগ্নিকান্ড ও সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে, তাতে সবার মনে একটিই প্রশ্ন- জীবিকার প্রয়োজনে কিংবা কাজে বাসা থেকে বের হয়ে আবার নিরাপদে ফিরতে পারব তো? এই আতঙ্কের যথাযথ কারণও রয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনার মতোই অগ্নিদুর্ঘটনা এখন ভয়াল মূর্তি ধারণ করেছে। ঢাকায় হরহামেশাই ঘটছে অগ্নিকান্ডের ঘটনা। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও আগুন লাগছে। কোনোটির ব্যাপকতা ছোট, আবার কোনোটির ব্যাপকতা বড়। তবে সবখানেই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে চলেছে।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে সড়ক দুর্ঘটনার বিভিন্ন কারণের মধ্যে রয়েছে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, বিপজ্জনক ওভারটেকিং, রাস্তাঘাটের নির্মাণ ত্রæটি, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা, চালকের অদক্ষতা, চলন্ত অবস্থায় মোবাইল বা হেডফোন ব্যবহার, মাদক সেবন করে গাড়ি চালনা, রেলক্রসিং ও মহাসড়কে ফিডার রোড থেকে যানবাহন উঠে আসা, রাস্তায় ফুটপাথ না থাকা বা বেদখলে থাকা।
অন্য দিকে অগ্নিকান্ডের মৃত্যুর কারণ হচ্ছে নিয়ম অনুযায়ী ভবন নির্মাণ না করা এবং ভবনে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকা। ফলে ছোটখাটো স্পার্ক বা সিগারেটের ধোঁয়া কিংবা বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট যে কারণেই শুরু হোক না কেন, পরর্বতী সময়ে তা বড় আকার ধারণ করে। অতীত উদাহরণও তাই বলছে। ১০ বছর যেসব অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে, তার বেশির ভাগই ছোট কারণে শুরু হলেও পরর্বতীকালে বড় আকার ধারণ করে। ভবনের নির্মাণ ত্রæটিসহ পর্যাপ্ত প্রাথমিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায়, আবার ঢাকার রাস্তায় জ্যামের কারণেও যথাসময় ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারে না। এত মৃত্যু হলেও নিরাপদ সড়ক যেমন নিশ্চিত হয়নি, তেমনি চকবাজার আর বনানীর এফ আর টাওয়ারের ঘটনার পরও ভবনের নিরাপত্তার বিষয়ে প্রশাসনের তৎপরতাও তেমন পাওয়া যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের তিন মাসে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় দুই শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে পাঁচ শতাধিক। এর মধ্যে চকবাজারের চুড়িহাট্টায় অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৭১ জন ও বনানীর এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ২৬ জনসহ শতাধিক মানুষ মারা গেছে। পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টার অগ্নিকান্ডের পর রাজধানীর অভিজাত এলাকা বনানী, ধানমন্ডি ও গুলশানের অগ্নিকান্ডের ঘটনা ছাড়াও সারাদেশে আগুনে পুড়েছে ২৪টি বস্তি।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা কামরুল হাসান দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে বজ্রপাত ও কালবৈশাখীতে সারাদেশে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গত রোববার রাতে কালবৈশাখী ঝড়ে সারাদেশে মারা যায় ১১ জন। এর মধ্যে রাজধানীতে মারা যায় ৪ জন।
সড়ক সংশ্লিষ্ট সংস্থার একজন কর্মকর্তা জানান, চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত সারাদেশে প্রায় ১ হাজার ২০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে ২ হাজারের অধিক।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে দ্রুত নগরায়ন হওয়ার ফলে প্রতিটি শহরে সু-উচ্চ বহুতল ভবন নির্মিত হওয়া অব্যাহত আছে। কিন্তু এসব ভবনের বেশির ভাগই যথাযথ নকশা অনুযায়ী নির্মাণ, ফায়ার এক্সিট এবং প্রয়োজনীয় পানি ও অগ্নিনিরোধের ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হয়নি। ঝুঁঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে অনেক ভবনই চিহ্নিত। সু-উচ্চ ভবনগুলোর অগ্নিনির্বাপণের জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যেমন থাকবে, তেমনি মানুষের প্রাণ বাঁচাতে অগ্নিকান্ডের সময় একটা সেফ এক্সিট রুট লাগবে, আগুন লাগলে মানুষ যাতে নেমে আসতে পারে। ফায়ার লিফট থাকতে হবে, আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের লোক যেন সেই লিফটটি আগুন নেভানোর কাজে ব্যবহার করতে পারে। সব ভবনের জন্য এ দু’টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা যেকোনো ভবনের ক্ষেত্রে নতুন করে মোডিফাই করা সম্ভব বলে বিশেষজ্ঞদের দাবি।
রাজধানীর মালিবাগের বাসিন্দা সোহরা আক্তার গতকাল দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, পরপর কয়েকটি অগ্নিকান্ড আর সড়ক দুর্ঘটনায় সব সময় আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হচ্ছে। ঘরে-বাইরে সর্বত্রই আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তিনি বলেন, আমাদের প্রশাসনের অনিয়ম আর দুর্নীতির কারণে আমরা বারবার এ ধরনের দুর্ঘটনার মুখোমুখি হচ্ছি। আর হৃদয়বিদারক কিছু দুর্ভাগা মানুষের গল্প শুনে দীর্ঘশ্বাস নিচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, দেশে উন্নয়ন হচ্ছে। লাভ কী, যদি জীবনেরই নিরাপত্তা না থাকে। যে জীবন পুড়ে যাওয়ার, গাড়িচাপা পড়ার, উন্নয়নের ফল ভোগ করার আগেই অপঘাতে ফুরিয়ে যায়; সে জীবনের মূল্য কোথায়? ভবনে গিয়ে যদি পুড়ে মরতে হয়, মহাসড়কে গিয়ে যদি দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়; তবে এই উন্নয়নের মূল্য কোথায় রইল?
সমাজতত্ত্ববিদ ড. মিযানুর রহমান শেলী বলেন, নাগরিকের নিরাপত্তার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। দায়িত্বশীলদের দায়িত্বহীনতায় যদি সড়ক আর ভবনে সাধারণ নাগরিকরা নিরাপদ বোধ না করেন, অস্বস্তিতে থাকেন অদূর ভবিষ্যতে সমাজ বিনির্মাণে এর প্রভাব পড়বে।
মিরপুর শেওড়া পাড়ার বাসিন্দা শামসুন্নাহার লাভলী বলেন, দেশের বাসাবাড়ি, সু-উচ্চ ভবন, রাজপথ, সড়ক, মহাসড়ক, সেতু- সব যেন সাক্ষাৎ মৃত্যুফাঁদ। লাশের গন্ধে চারদিক ভারী হয়ে উঠছে। মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘতর হচ্ছে।
রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে গত ১৯ মার্চ বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরীকে বাসচাপা দিয়ে হত্যা করে সুপ্রভাত পরিবহনের চালক। এ ঘটনার আগে শাহজাদপুরের বাঁশতলা এলাকায় বাসটি সিনথিয়া সুলতানা মুক্তাকে (২০) ধাক্কা দিয়ে দ্রুতগতিতে পালানোর সময় আবরার আহমেদ চৌধুরীকে চাপা দেয়। বাসটি চালাচ্ছিল হেলপার। এ ঘটনার পর শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে সুপ্রভাত স্পেশাল পরিবহনের প্রায় ৩০০ বাস বন্ধ হয়ে গেছে। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার রেশ না কাটতেই ২৪ মার্চ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) শিক্ষার্থী ওয়াসিম আফনানকে বাসচাপা দিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
আবহাওয়াবিদ ও তড়িৎ বিজ্ঞানীতের মতে, গত কয়েক বছর ধরে দেশে বজ্রপাতের সংখ্যা বেড়েছে এবং হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে। এর প্রধান কারণ দেশের অবহাওয়ায় কালো মেঘ বৃদ্ধির পাশাপাশি কালবৈশাখী ঝড়ের সংখ্যা বেড়েছে। এ কারণেই প্রতিনিয়ত প্রচুর বজ্রপাত হচ্ছে। আর এই বজ্র মাটিতে চলে আসায় মানুষ, পশু ও বৃক্ষ আক্রান্ত হচ্ছে।
এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ ও বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের একজন কর্মকর্তা বলেন, এ বছরের আবহাওয়ায় কালবৈশাখীর সংখ্যা বেড়েছে এবং বজ্রপাতের সংখ্যাও সেই অনুপাতে বেড়েছে। গত এপ্রিল মাসে কালবৈশাখীতে ১৪ জন মারা গেছে। এখন বজ্রপাতের ঘটনা ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।
এ বিষয়ে বুয়েটের ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: আবদুল মতিন বলেন, আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে বর্তমানে বজ্রপাতের সংখ্যা বেড়ে গেছে। ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০ মাইল ওপরে মেঘের ওপরে বিদ্যুৎ সৃষ্টি হয়। কাল মেঘ থেকে বিদ্যুৎ ও বজ্রপাতের সৃষ্টি হয়। বর্তমানে এই কালো মেঘ বেশি হচ্ছে বলে বজ্রপাতের সংখ্যা বেড়ে গেছে। আর গ্রামে উচ্চ ভবন কম এবং বৈদ্যুতিক তার কম থাকায় বজ্রপাতে ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। আর বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে কালো মেঘ দেখে ঘরের বাইরে না যাওয়া, গ্রামের বাড়ি ও জমির পাশে উঁচু পাশ দিয়ে বৈদ্যুতিক তার স্থাপন করতে হবে। এতে বিদ্যুৎ তারের মধ্যে চলে যাবে এবং ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস পাবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (7)
মো. সালমান হোসাঈন ২ এপ্রিল, ২০১৯, ২:২৭ এএম says : 0
হে আল্লাহ আপনি আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন,,আমিন
Total Reply(0)
Manzoorur Rahim ২ এপ্রিল, ২০১৯, ২:২৮ এএম says : 0
So sad news. May Allah - the Almighty bless us all with the strength to overcome all these types of horrible situations. Ameen.
Total Reply(0)
হরিপদ হরি ২ এপ্রিল, ২০১৯, ২:২৯ এএম says : 0
বিধাতা রক্ষা করুন।
Total Reply(0)
মুহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ২ এপ্রিল, ২০১৯, ২:৫৫ এএম says : 0
এগুলোর বেশিরভাগই আমাদের কর্মফল
Total Reply(0)
সাব্বির ২ এপ্রিল, ২০১৯, ২:৫৮ এএম says : 0
আমরা যদি সবাই সবার জায়গা থেকে নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করি তাহলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশেই কমে আসবে বলে আমি মনে করি।
Total Reply(0)
নাফিজ খান রেজা ২ এপ্রিল, ২০১৯, ২:৫৯ এএম says : 0
আমাদের প্রশাসনের অনিয়ম আর দুর্নীতির কারণে আমরা বারবার এ ধরনের দুর্ঘটনার মুখোমুখি হচ্ছি। আর হৃদয়বিদারক কিছু দুর্ভাগা মানুষের গল্প শুনে দীর্ঘশ্বাস নিচ্ছি।
Total Reply(0)
Habib Ahsan ২ এপ্রিল, ২০১৯, ৯:৫৫ এএম says : 0
আমাদের দেশে দুর্ঘটনা ঘটার পর জানা যায় চালকের লাইসেন্স ছিলনা, ভবনের নকশা ঠিক ছিলো না ইত্যাদি ইত্যাদি।জাতীর কাছে প্রশ্ন দুর্ঘটনা ঘটার আগে ঐ সংস্থা গুলো কি করে?
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন