বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

খালেদা জিয়ার মুক্তি চান সুপ্রিম কোর্ট বারের বিদায়ী সভাপতি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ এপ্রিল, ২০১৯, ৬:৪৮ পিএম

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি চান সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির বিদায়ী সভাপতি জয়নুল আবেদীন। তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়ার দিন দিন শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। বিদায় বেলায় গণতন্ত্র, আইন, বিচার ও জনগণের স্বাধীনতার স্বার্থে তার আশু মুক্তি কামনা করছি। তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়ার প্যারোলের মুক্তির বিষয় নিয়ে তিনি নিজে কিংবা তার পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ কোনো কথা বলেনি বা আবেদন করেনি। বুধবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে বিদায়ী কমিটির সভাপতি এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

লিখিত বক্তব্য পড়ে জয়নুল আবেদীন বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের নেত্রী, তিন বারের প্রধানমন্ত্রী, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় দীর্ঘদিন জেলখানায় বন্দি আছেন। দিন দিন শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিদায় বেলায় গণতন্ত্র, আইন, বিচার ও জনগণের স্বাধীনতার স্বার্থে তার আশু মুক্তি কামনা করছি।

তিনি বলেন, অসুস্থ খালেদা জিয়ার মুক্তিতে সরকারের সদিচ্ছা নেই। হাইকোর্ট জামিন দিলেও সরকারের পক্ষ থেকে বার বার জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হয়। একের পর এক মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়। এটাতো সরকারের সদিচ্ছার বহিঃপ্রকাশ না।কুমিল্লার একটি মামলায় খালেদা জিয়াকে হাইকোর্ট জামিন দিয়েছেন। এই মামলায় সবাই জামিনে আছেন। অথচ অ্যাটর্নি জেনারেল শুধুমাত্র খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত চেয়ে তড়িৎ আবেদন করেন। এ জন্য অবশ্য আমি বার বার বলি অ্যাটর্নি জেনারেল আপনি রাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল, আপনি সরকারের না- বলেন জয়নুল আবেদীন।

তিনি আরো বলেন, ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে এবং ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় ছিল ঐতিহাসিক। পরবর্তীতে ষোড়শ সংশোধনী রায়ের কারণে বিচার বিভাগের ওপর আরও কঠিন হামলা এসেছে। তখন প্রধান বিচারপতিকে জোর করে দেশের বাইরে পাঠানো এবং পদত্যাগ করানোর মাধ্যমে সেই সময়কার হামলা সবার মনে আছে। তবুও এত কিছুর মধ্যেও আইনজীবী সমিতির উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে এগিয়েছি।

ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে তিনি কিংবা তার পরিবার থেকে কোনো আবেদন করা হয়নি। এমনকি সরকারের পক্ষ থেকেও তার প্যারোলে মুক্তি বিষয়ে প্রস্তাব দেয়া হয়নি। তিনি বলেন, প্যারোলে মুক্তির বিষয়টি শুধু গণমাধ্যম থেকেই আমরা জেনেছি। খালেদা জিয়ার অসুস্থতা বিষয় থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে ফেরাতে এটা একটা কৌশল হতে পারে। এ সময় সরকারের দ্বারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করে খালেদা জিয়াকে কেরানীগঞ্জ কারাগারে নেয়ার ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এসময় সমিতির বিদায়ী কমিটির সহ-সভাপতি ড. মো. গোলাম রহমান ভূঁইয়া ও এম. গোলাম মোস্তফা, কোষাধ্যক্ষ নাসরিন আক্তার, সহ-সম্পাদক কাজী জয়নুল আবেদীন ও মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক, সদস্য মাহফুজ বিন ইউসুফ, সাইফুর আলম মাহমুদ, ব্যারিস্টার আশরাফুল হাদী, শাহানা পারভীন, শেখ মোহাম্মদ মাজু মিয়া, মো. আহসান উল্লাহ ও মোহাম্মদ মেহদী হাসান উপস্থিত ছিলেন।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন