উত্তর : নজর লাগার বিষয়টি ইসলামে স্বীকৃত। হাদিস শরীফে আছে, মহানবী (সা.) বলেছেন, আল আইনু হাক্কুন। অর্থাৎ নজর লাগার বিষয়টি সত্য। এ জন্য নিজের দায়িত্ব হচ্ছে, ভালো কিছু দেখলে মনকে হিংসা-বিদ্বেষ বা শত্রæতামুক্ত মন নিয়ে দেখতে হয়। মাশাআল্লাহ বলতে হয়। আলহামদুলিল্লাহ বলতে হয়। খুশি প্রকাশ করে ইতিবাচক দোয়া ও মন্তব্য করতে হয়। বিরূপ মনোভাব বা মন্তব্য সুন্দর জিনিসটির ক্ষতি করে। মা-বাবার বিষয়টিও এর বাইরে নয়। তারা যখন সন্তানকে দেখে মুগ্ধ হন তখন তাদের উচিত আল্লাহর শোকর করা। মাশাআল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ বলা। এর কৃতিত্ব যে নিজেদের নয়, সর্বশক্তিমান আল্লাহর এ কথাটি মনে জাগরুক রেখে আল্লাহর প্রশংসা করা। তার প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া। সন্তানের সৌন্দর্য বা কৃতিত্ব নিজের মনের তৃপ্তি ও মুগ্ধতার দ্বারা বিনষ্ট ও বাধাগ্রস্ত হয়। এখানে অসৎ উদ্দেশ্য হিংসা শত্রæতা বা কুটিল দৃষ্টি থাকে না বটে, তবে মুগ্ধতা ও আত্মপ্রসাদ থাকে, যা সন্তানের ক্ষতি টেনে আনে। এটাকে মুরব্বিরা বাবা-মায়ের নজর বলে থাকেন।
এটি সামাজিক বিষয়। মনস্তত্তে¡র সাথেও এর সম্পর্ক আছে। হাদিস শরীফে এর প্রতিই ইশারা করা হয়েছে। যে জন্য সকাল-সন্ধ্যা আয়াতুল কুরসির আমল ও সূরা ফালাক ও নাস পাঠের মাধ্যমে নিজের ও সন্তানের হেফাজত কামনা করার নিয়ম ইসলামে আছে। দিনরাত অন্যান্য দোয়া-দরুদ ও জিকির অজিফা এসব উদ্দেশ্যেই করা হয়ে থাকে।
উত্তর দিচ্ছেন, আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামি ফিকহ ও ফতওয়া বিশ্বকোষ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন