শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

রূপালী ব্যাংক থেকে প্রতারক আটক

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ এপ্রিল, ২০১৯, ৭:৩৯ পিএম

রূপালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে এক ভূয়া সাংবাদিককে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ব্যাংকটির এক মহাব্যবস্থাপককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে মতিঝিল থানা পুলিশ তাকে আটক করে। এস কে এ হাসান নামের ওই ব্যক্তি নিজেকে দৈনিক সমাচারের সাংবাদিক পরিচয় দিলেও ব্যাংকের নিরাপত্তা বিভাগ ও পুলিশকে পরিচয়পত্র দেখাতে পারেননি। এছাড়া তাকে একেক সময় একেক পরিচয় দিতে দেখা গেছে। তিনি নিজেকে কখনও সাংবাদিক, কখনও শিল্পপতি, কখনও ইঞ্জিনিয়ার পরিচয় দিয়েছেন।

রূপালী ব্যাংকের নিরপাত্তা বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এস কে এ হাসান বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রূপালী ব্যাংকের ভিজিলেন্স এন্ড ইন্টিলিজেন্স বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক মো. ইকবাল হোসেন খাঁর কক্ষে জোরপূর্বক প্রবেশ করেন। ওই উপমহাব্যবস্থাপক রূপালী ব্যাংকের ফরিদপুর জোনাল অফিসে কর্মরত সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. বায়জিদ মোল্লার বিরুদ্ধে উত্থপিত অভিযোগের বিভাগীয় তদন্তের দায়িত্বে আছেন।

নিরপত্তা বিভাগের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা মেজর (অব.) খন্দকার মুকিত আল মাহমুদ বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন যাতে বায়জিদ মোল্লার বিরুদ্ধে না যায় সে বিষয়ে হুমকি দিতেই এসকেএ হাসান ব্যাংকে আসেন। এর আগেও দুই বার তিনি ইকবাল হোসেনকে হুমকি দিয়ে গেছেন।

জানা গেছে, এস কে এ হাসানের বিষয়ে উপমহাব্যবস্থাপক মো. ইকবাল হোসেন খাঁ নিরাপত্তা বিভাগকে জানালে তারা মতিঝিল থানা পুলিশকে অবহিত করে। পরে থানার উপ-পরিদর্শক ফারুক টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে হাসানকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।

ঘটনার বিষয়ে মতিঝিল থানায় এজাহার দায়ের করেছেন মো. ইকবাল হোসেন খাঁ। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, দুপুর সারে ১২টার দিকে এসকেএ হাসান ফরিদপুর জোনাল অফিসে কর্মরত মো. বায়েজিদ মোল্লার বিরুদ্ধে তদন্ত সংক্রান্ত বিষয়ে তদবীর করতে আমার অফিস কক্ষে জোরপূর্বক প্রবেশ করে। তদন্ত প্রতিবেদন বায়েজিদ মোল্লার বিরুদ্ধে গেলে আমাকে দেখে নেওয়ার পাশাপাশি প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। শুধু তাই নয়, তদন্ত সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলার এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ অসাদাচরণ, বাংলাদেশ ব্যাংকে অভিযোগ দায়ের এবং ইতোমধ্যে ব্যাংকের অন্যান্য ঊর্ধতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাগুলোর ন্যয় আমাকেও বিভিন্ন ধরনের মামলায় ফাসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। একই সাথে সে তার মোবাইল ফোনে অফিস কক্ষে উপস্থিত সকলের কথা ও ছবি ভিডিও রেকর্ড করতে থাকে। তাকে বারংবার নিষেধ করলেও কোন কর্ণপাত না করে ভিডিও করতে থাকে। এসকেএ হাসান ইতোপূর্বে ব্যাংকের ৫ কর্মকর্তার বিরদ্ধে মামলা করেছেন ও মামলার স্বাক্ষী হয়েছেন বলেও এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন