শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই কিভাবে চলছে ডিএনসিসির বর্জ্য ডাম্পিং

সংসদীয় স্থায়ী কমিটির প্রশ্ন

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই রাজধানীর আমিনবাজারে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) বর্জ্য ডাম্পিংয়ের ল্যান্ডফিলটি চলছে। ২০০৭ সাল থেকে সেখানে বর্জ্য ডাম্পিং শুরু হলেও পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই এতদিন ধরে কিভাবে বন্যাপ্রবণ স্থানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা হচ্ছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের কাছে তার কোনো ব্যাখ্যাও নেই। গতকাল মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
২০০৫-০৬ অর্থবছরে আমিনবাজারের ৫০ একর জমিতে এই ডাম্পিং স্টেশনটি তৈরি হয়। ২০০৭ সাল থেকে সেখানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শুরু হয়। এই প্ল্যান্টের মেয়াদ ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারিত থাকলেও এখনও সেখানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চলছে। মেয়াদ শেষ হলেও নতুন করে এর আয়তন বাড়ানো হয়নি।
সংসদীয় কমিটির বৈঠকের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার অবিভক্ত সিটি করপোরেশন শুরুতে এই প্রকল্পের জন্য ‘স্থানগত ছাড়পত্র’ পায়। ‘স্থানগত ছাড়পত্র’র অর্থ হলো কোনো এলাকায় কাজ করার ছাড়পত্র। এই ছাড়পত্র পাওয়ার পর প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানকে ‘এনভায়রনমেন্টাল ইমপ্যাক্ট এসেসমেন্ট’ করে প্রতিবেদন দিতে হয়। সেই প্রতিবেদন মূল্যায়ন করে কাজ করার জন্য ছাড়পত্র দেয় পরিবেশ অধিদপ্তর।
সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, স্থানগত ছাড়পত্র নিয়ে বর্জ্য ডাম্পিংয়ের কাজ করা যায় না। এতদিন ধরে আমিন বাজারে সিটি করপোরেশন কিভাবে এই কাজ করছে সেটা একটা প্রশ্ন। আমিনবাজারের যেখানে এই ডাম্পিং স্টেশন সেটা ফ্লাড জোন। আশপাশে নদী-খাল রয়েছে। বর্ষার সময় এই বর্জ্য আবার পানিতে মিশছে। তাছাড়া ৫০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হলেও বর্তমানে কাজ চলছে ৭৩ একর জমির ওপর। এতে জমির মালিকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এম এ রাজ্জাকের সাথে কয়েক দফা যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। সংসদীয় কমিটির বৈঠকে সাভারের ট্যানারি নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান সাবের হোসেন। তিনি বলেন, ট্যানারির তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার একটা ব্যবস্থা থাকলেও অন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়টি সেরকমভাবে নেই। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
এ ছাড়া প্লাস্টিক বোতলের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়া এবং এর পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি। সাবের হোসেন চৌধুরী জানান, ১৯৯০ সালে বাংলাদেশে বছরে ১৫ হাজার মেট্রিক টন ওয়ানটাইম প্লস্টিকের বোতল ব্যবহার হলেও বর্তমানে ব্যবহার হয় ১২ লাখ মেট্রিক টন। তিনি বলেন, ওয়ানটাইম প্লাস্টিক বোতলের ব্যবহার নিয়ে কোন রেগুলেশন নেই। সারাবিশ্বে এই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। আমাদের দেশে ব্ষিয়টি নিয়ে সেভাবে কাজ করা হচ্ছে না। এর ব্যবহার এবং পুন:প্রক্রিয়াজাত করতে কী করা যায় সে বিষয়ে ভাবতে হবে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন