প্রেস বিজ্ঞপ্তি : পীর সাহেব জৈনপুরী প্রিন্সিপাল আল্লামা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেছেন, নিখীল বিশ্বের সমস্ত রাসূল ও নবীদের মোজেজার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ মুজেজা হল মেরাজে রাসূল (সা.)। যারা মিরাজুন্নবী (সা.)কে সর্বান্তকরণে বিশ্বাস করবে তারা হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) এর সাথী হয়ে বেহেশতে যাবে। আর যারা মেরাজকে বিশ্বাস করবে না তারা আবু জাহালের সঙ্গী হয়ে জাহান্নামে যাবে। সম্প্রতি মোহাম্মদপুরের ৩/১৪, ব্লক-জি, লালমাটিয়ায় জৈনপুরী খানকা (দরবার) শরীফ কমপ্লেক্সের উদ্যোগে আয়োজিত ওয়াজ ও দোয়া মাহফিলে তিনি একথা বলেন। ডেসকো’র সাবেক জি.এম আলহাজ্জ মো. শফিকুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর ও মোহাম্মদপুর থানা কমিটির সভাপতি আলহাজ্জ ডা. মো. খলিলুর রহমান, মোহাম্মদপুর থানা কমিটির সেক্রেটারী শেখ জহির আহমেদ, ঢাকা মহানগর উত্তর এর সেক্রেটারী মো. শহীদুল আলম, নায়েবে আমীর মো. রুহুল আমিন খান মেহেদী (মতি) এবং আলহাজ্জ খোরশেদ আলম চৌধুরী প্রমুখ। ওয়াজ করেন খলিফায়ে জৈনপুরী মাওলানা ডা. আব্দুস সবুর কামাল, প্রফেসর সোহরাব হোসেন, মাওলানা এমদাদুল হক প্রমুখ। মিলাদ পড়ান দরবারের খাদেম সাব্বির আহমেদ (এরশাদ), হাফেজ মাওলানা ওলিউল্লাহ, মাওলানা মো. মাঈন উদ্দিন প্রমুখ।
তাফসিরকালে জৈনপুর পীর সাহেব পবিত্র কোরআনের অকাট্য দলিল ও সহীহ বোখারী ও মুসলিম শরীফের হাদিসের উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, মহান আল্লাহ তা’আলা স্বীয় বান্দা (হাবিব) (সা.) কে মসজিদে হারাম (বায়তুল্লাহ শরীফ) থেকে মসজিদে আকসা (বায়তুল মাকদিস) পর্যন্ত রাতের বেলায় বোরাকের মাধ্যমে এবং হযরত জিব্রাইল (আ.) এর মাধ্যমে বায়তুল মাকদিস থেকে সিদরাতুল মুন্তাহা পর্যন্ত এবং সিদ্রাতুল মুন্তাহা থেকে রাফরাফের মাধ্যমে দয়াল মাওলার খাস দরবার পর্যন্ত পৌছার ব্যবস্থা করে দিয়ে মিরাজ পালনের সুব্যবস্থা করে দেন, সেই মহান আল্লাহর জন্যই সমস্ত পবিত্রতা (সুরা বনী ইসরাইল)। সুরা ইমরানে বর্ণিত সমস্ত নবীদের অঙ্গীকার পূরণের একমাত্র ওছিলা ছিল মেরাজ। সুরা আন্নাজমি’র মধ্যে এবং কুরআন শরীফের বিভিন্ন স্থানে পবিত্র মেরাজ শরীফের প্রকাশ্য ও ইঙ্গিতবাচক দলিল মওজুদ রয়েছে। এহেন বাস্তব মেরাজকে যারা অবিশ্বাস করবে তারা মোমিন হতে পারবে না। নিখীল বিশ্বের সমস্ত রাসূল ও নবীদের মোজেজার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ মুজেজা হইল মেরাজে রাসূল (সা.)। বুখারী ও মুসলিম শরীফের বর্ণনা অনুযায়ী ফারাফা’য়াল্লাহুলী বায়তাল মাকদিসা এবং ফাযযালাল্লাহু লিবাইতাল মাকদিসা। অর্থাৎ: আবু জাহালের মেরাজের অবিশ্বাস্য প্রশ্নের প্রতি উত্তরে আল্লাহ বায়তুল মাকদিসের ঘরকে নবীজী (সা.) এর সম্মুখে হাজির করেছিলেন। নবীজী দেখে দেখে তার প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়েছিলেন (সুবহানআল্লাহ)।
এটা দেখে সমবেত জনগণ মুসলমান হয়ে গেল। অথচ আবু জাহাল “আন্তা সাহেরুন আজীম” “তুমি বড় যাদুকর” বলে ঈমান আনলো না। আর হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা.) যখন মেরাজের ঘটনাবলী দয়াল নবীজীর জবান মোবারকে শুনলেন বিনা দলিলে সাথে সাথে বললেন-সাদ্দাকতা ইয়া রাসূলাল্লাহ (সা.)। অর্থাৎ হে প্রিয় নবীজী আপনার মেরাজ বাস্তব সত্য। সেই দিন থেকে হযরত আবু বকর (রা.) সিদ্দিক উপাধিতে ভূষিত হলেন। সুতরাং মেরাজের বিশ্বাসীরা হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) এর সাথী হবেন। আর অবিশ্বাসীরা আবু জাহালের সাথী হবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন