শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

ইসরায়েলে যেতে চেয়ে বিতর্কে নেইমার

স্পোর্টস ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ৭ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৭ এএম

সেই গত জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত পায়ের চোটে পড়ে খেলার বাইরে আছেন নেইমার। ফলে মাঠের ভেতরে কোনো কিছুর জন্য সংবাদপত্রের শিরোনাম না হতে পারলেও, নেইমারের আলোচনায় আসা কিন্তু থেমে নেই। কখনো সম্ভাব্য দল বদলের জন্য আলোচনায় আসছেন, বা কখনো সাক্ষাৎকার দিয়ে। তবে এবার আলোচনায় এলেন সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণে। তার ইসরায়েলে যেতে চাওয়া নিয়েই ব্রাজিলজুড়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়!

স¤প্রতি ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন জাইর বোলসোনারো। ৬৪ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ বিভিন্ন কারণে নিজ দেশেই সমালোচিত। প্রচণ্ড মাত্রায় নারীবিদ্বেষী, সমকামীদের বিরুদ্ধে যখন-তখন উল্টোপাল্টা বক্তব্য দেন। ব্রাজিল দেশটা আগে সেনাশাসকদের অধীনে ছিল, প্রায়ই সেসব দিনের কথা মুগ্ধতাভরে স্মরণ করেন বোলসোনারো। ১৯৯৯ সালে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার দিয়ে কিছু হয় না। দেশের উন্নতি চাইলে সেনাশাসনের অধীনে চলে যেতে হবে ব্রাজিলকে।

সেই বোলসোনারো এখন প্রেসিডেন্ট হয়ে বন্ধুত্ব পাতিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে। চার দিনের সফরে ইসরায়েল গিয়েছেন তিনি। সেখানেই দুই নেতা মিলে এক ভিডিও বার্তা রেকর্ড করে নেইমার ও ব্রাজিলের আরেক সফল ক্রীড়াবিদ সার্ফিং তারকা গ্যাব্রিয়েল মেদিনাকে ইসরায়েলে আসতে বলেছেন। নেতানিয়াহুকে বলতে শোনা গেছে, ‘নেইমার ও মেদিনা, তোমরা ইসরায়েলে এসো। তোমাদের দুজনকেই আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। সবাইকে নিয়ে চলে এসো তোমরা। জেরুজালেম তোমাদের অপেক্ষায়।’ এই ভিডিও বার্তার জবাবও নেইমার দিয়েছেন আরেক ভিডিও বার্তা দিয়ে। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘বেনিয়ামিন ও বোলসোনারো, আমাদের আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ধন্যবাদ। আমরা আসছি (ইসরায়েলে)।’

নেইমারের এই ভিডিও বার্তা ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমালোচনা শুরু হয়েছে। টুইটারে সবাই ধুয়ে দিচ্ছেন পিএসজি তারকাকে। বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মতো ‘মানবতাবিরোধী’ ও ‘খুনি’ প্রেসিডেন্টের দেশে নিজ দেশের সবচেয়ে বড় তারকা কীভাবে যেতে পারেন, ব্রাজিলিয়ানরা ভেবেই পাচ্ছেন না। একজন টুইটারে লিখেছেন, ‘নেইমার বুঝতেও পারছে না নেতানিয়াহুর মতো একজনকে সমর্থন করে ও কী ভুল করতে যাচ্ছে।’ আরেকজন নেইমারের সাবেক বান্ধবীর সঙ্গে তুলনা দিয়েছেন নেইমারের, ‘যেখানে ব্রুনা (ব্রুনা মার্কেজিন-নেইমারের সাবেক বান্ধবী) আফ্রিকার দেশগুলো ভ্রমণ করে আর সেখানে টর্নেডো আক্রান্ত শিশুদের মুখে খাবার তুলে দেয়, সেখানে নেইমার একজন খুনির দেশে যাচ্ছে, যে ফিলিস্তিনের শিশুদের খুন করেছে। দুজনের ছাড়াছাড়ি হওয়ায় ব্রুনার কোনো ক্ষতি হয়নি। বরং নেইমারের কবল থেকে সে রক্ষাই পেয়েছে।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন