শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

নিউইয়র্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী : কর্মীদের হাতাহাতি

কূটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:২৮ পিএম

নিউইয়র্কের জেএফকে বিমানবন্দরের বহিরাগমন টার্মিনালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনকে স্বাগত জানাতে জড়ো হয়েছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। নিজেদের মতো করে ছিল তাদের অবস্থান। শুরুটা ভালই ছিল। মন্ত্রী একে একে সবাইকে ছবি তোলার সুযোগ দিচ্ছিলেন। ফুলেল শুভেচ্ছা জানানোর ওই আয়োজনে জটলাও বাড়ছিল।
ঠেলা-ধাক্কায় অনেকে টিকতে পারছিলেন না। মন্ত্রী অবশ্য অনেককে ডেকে কাছে নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেষ্টা করছিলেন। এ অবস্থায় তিনি গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপও সেরে নেন।
কিন্তু ব্রিফিং শেষ হতে না হতেই ঘটে বিপত্তি। ছবি তোলার জন্য মন্ত্রীকে ঘিরে হৈ চৈ বাড়তে থাকে। অবশ্য সেখানেও তিনি এবং তার সুহৃদরা চেষ্টা করেন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে।
কিন্তু না, শেষ পর্যন্ত তা-ই ঘটলো। দ্বিধা-বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের আওয়ামী পরিবারের কয়েকজন বিশৃঙ্খল সদস্যরা একে অন্যের প্রতি তেড়ে আসে। ঠেলা-ধাক্কা থেকে হাতাহাতি! টাইম টেলিভিশনের ফেসবুক লাইভ তখনও চলছিল। সেখানে যা দেখা গেল কর্মীদের বাকবিতন্ডা, হাতাহাতি আর হৈ চৈ’র মূহুর্তে ভিড়ের মধ্যখান থেকে মন্ত্রীকে নিরাপদে সরিয়ে নেন জাতিসংঘস্থ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন এবং সিনিয়র আওয়ামী লীগ নেতারা।
উপস্থিত একাধিক নেতা এবং কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আচমকা ওই ঘটনায় মন্ত্রী বিব্রত ও বিরক্ত। নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশী ডায়াসফোরায় হরহামেশা ঘটা এমন ঘটনা বন্ধে সিনিয়র সিটিজেনদের আরও সক্রিয়তাও কামনা করেছেন তিনি।

উল্লেখ্য, লাইভ অনুষ্ঠানে দেখা যায় মন্ত্রী বাংলাদেশে জারি হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাভেল এলার্ট নিয়ে গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন। এটাকে চলার পথের ঘটনা এবং ছোটখাটো বিষয় বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তবে মন্ত্রী বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ট্রাভেল এলার্ট জারির আগে বাংলাদেশকে জানালে আরও ভাল হতো। তিনি এ-ও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র না-কী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে হামলার আশঙ্কার খবর পেয়েছে। তবে ট্রাভেল এলার্ট জারির পরও মন্ত্রীর সঙ্গে বাসে চড়ে ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত রাজধানী থেকে অনেক দূরের পথ শ্রীমঙ্গলে গেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একটি রাষ্ট্র। সে হিসাবে দেশটিতে কোন গুরুতর অপরাধী আশ্রয় পেতে পারে না। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও’র আমন্ত্রণে স্থানীয় সময় সকাল সোয়া ৮টার দিকে (বাংলাদেশ সময় রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে) যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানো মন্ত্রী তার সঙ্গে বৈঠকে বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরতের আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কিছুটা ছাড় দেয়ার প্রস্তাব করবেন বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, ওয়াশিংটন সময় সোমবার সকালে হবে মোমেন-পম্পেও’র কাঙ্খিত সেই বৈঠক।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
Salim Mohammed ৮ এপ্রিল, ২০১৯, ৮:১৩ পিএম says : 0
মন্ত্রী বাহাদুরকে মেরেছে?
Total Reply(0)
Faruq Faruq ৮ এপ্রিল, ২০১৯, ৮:১৩ পিএম says : 0
ভোট চোরেরা মাইর খাবে এটা স্বাবাভিক।
Total Reply(0)
খলিল ফখরুল ৮ এপ্রিল, ২০১৯, ৮:১৪ পিএম says : 0
নিউইয়র্কেও বুঝি সরিষার চাষ হয়। ভাবছিলাম ⛽ শুধু বাংলাদেশে মারে। এখন বুঝলাম তেলের দাম এতো বেশি ক্যান
Total Reply(0)
Norul Shamsuzzaman ৮ এপ্রিল, ২০১৯, ৮:১৪ পিএম says : 0
বাঙ্গালী চামচারা পৃথিবীর সব জায়গায় !
Total Reply(0)
Joy Hasan ৮ এপ্রিল, ২০১৯, ৮:১৪ পিএম says : 0
বিরানি ভাগাভাগি নিয়ে মারামারি বললেই তো হয়।
Total Reply(0)
Sale Bin Husain ৮ এপ্রিল, ২০১৯, ৮:১৪ পিএম says : 0
আমার জালেমের উপর এতটুকু রাগ আসেনা যতটুকু মজলুমের উপর আসে, আর তা এজন্যই যে,সে মজলুম হয়েও জুলুমের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে না। --শাইখুল ইসলাম হুসাইন আহমদ মাদানী (রহ:)
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন