ইনকিলাব ডেস্ক : আগামী মাসে ভারত সফরের কথা নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে. পি শর্মার। এ নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। তবে জবাবে কে. পি শর্মা ওলি গত মঙ্গলবার বলেছেন, নেপাল-ভারত সীমান্তে যতদিন অবরোধ চলবে ততদিন তার পক্ষে নয়াদিল্লি সফর করা যথাযথ হবে না। গত সেপ্টেম্বরে নেপালে ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে নতুন সংবিধান পাস হয়। এরপর থেকেই মধেষি সম্প্রদায় তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে সীমান্ত এলাকাগুলোতে। তাদের দাবি, এ সংবিধানে তাদের অধিকারকে খর্ব করা হয়েছে। ফলে নেপালের দক্ষিণাঞ্চলে তরাই এলাকায় সংবিধান বিরোধী বিক্ষোভ দিন দিন জোরালো হয়ে ওঠে। সেই বিক্ষোভ অবরোধে রূপ নিয়েছে। তা চলছে ৫ মাস। ভারতের সঙ্গে নেপালের রয়েছে ১৮৬৮ কিলোমিটার উন্মুক্ত সীমান্ত। তার বড় একটি অংশে এ বিক্ষোভ চলছে। ফলে ভারত থেকে নিত্যপণ্য নেপালে প্রবেশ করতে পারছে না। তরাই এলাকার মধেষিদের আন্দোলনে ভারতের ইন্ধন আছে বলে অভিযোগ নেপালের। তারা একে ভারতের অঘোষিত অবরোধ হিসেবে আখ্যায়িত করছে। মধেষি আন্দোলনে ৪১টি ট্রানজিট ও কাস্টমস পয়েন্টের বেশির ভাগই বন্ধ হয়ে আছে। উল্লেখ্য, নেপালের তেরাই অঞ্চলে দেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৫১ ভাগ মানুষের বাস। কিন্তু রয়েছে পার্লামেন্টের তিন ভাগের এক ভাগ মাত্র আসন। এ জন্য মধেষিরা আরও আসন দাবি করছেন সেখানে। সরকারি চাকরিতে তাদের আনুপাতিক হার আরও বাড়াতে বলছে। ২০০৭ সালের অন্তর্বর্তী সংবিধানে তাদের যেটুকু অধিকার দেয়া হয়েছিল তা পুনর্বহালের দাবি উঠেছে।
দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর আগামী মাসে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে প্রথম বিদেশ সফর হিসেবে ভারতে যাওয়ার কথা রয়েছে কে. পি শর্মা ওলির। কিন্তু বামপন্থি এই প্রধানমন্ত্রী এখনও মধেষিদের দাবি মেনে নেন নি। বলেছেন, তেরাই অঞ্চলে ওই উত্তেজনাকর অবস্থার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তিনি নয়াদিল্লি সফরে যাবেন না। গত মঙ্গলবার তিনি নেপালের সিনিয়র সব সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
সেখানে ওলি আশা প্রকাশ করেন যে, কয়েক দিনের মধ্যে নেপাল-ভারত প্রবেশপথগুলোর অবরোধ তুলে নেয়া হবে। এ অবস্থা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তিনি ভারত সফরে যাবেন না। তিনি বলেন, আমি বন্ধুদের সঙ্গে বন্ধুত্বে বিশ্বাস করি। আমি আশা করি সীমান্ত পয়েন্টগুলোতে যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তা প্রত্যাহার করা হবে। ওয়েবসাইট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন