মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কেশবপুর ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতির নেতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

কেশবপুর উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ এপ্রিল, ২০১৯, ২:৩৫ পিএম

কেশবপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় আজ বুধবার বেলা ১১টায় শহরের দৌলত বিশ্বাস চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে। মানববন্ধন থেকে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান বক্তব্য প্রদানকালে বলেন, বাংলাদেশ ক্যমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতি কেশবপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর পাল বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করায় তার গ্রেফতার দাবিতে এ মানববন্ধ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক পুলিশি তদন্তে মূল ঘটনা ফাঁস হয়ে পড়েছে।

পুলিশি তদন্তে জানা গেছে, যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগ কেশবপুর শহরের ত্রিমোহিনী মোড় হতে হাসপাতাল পর্যন্ত সড়কের উত্তর পাশ দিয়ে ড্রেন নির্মাণ করছে। ঠিকাদার কাজ শুরুর কয়েক দিন পর গত ২৭ মার্চ সকালে প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নানসহ অন্যান্য শিক্ষকরা স্কুলের জমি দখলের অভিযোগে উন্নয়ন কাজের ঠিকাদার এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে বাকবিতন্ডা ও কাজ বন্ধের চেষ্টা চালায়। বাংলাদেশ ক্যমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির কেশবপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক ও পাল মেডিকেলের সত্ত্বাধিকারী শঙ্কর পালের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পাশে যখন এ ঘটনা ঘটছিল তখন তিনি ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন বেশ কয়েক দিন ধরে ড্রেনের কাজ শুরু হলেও তখন বাঁধা না দিয়ে এখন বাধা দিয়ে কাজ বন্ধের চেষ্টা করছে কেন? এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ বিরোধের জের ধরে গত ২৭ মার্চ শঙ্কর পালের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ ও বুধবার কেশবপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্কুলের ক্লাস বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের রাস্তায় দাঁড় করিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে। এ নিয়ে অভিভাবকদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভেরও সৃষ্টি হয়েছে। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান, সহকারি প্রধান শিক্ষক প্রবীর দত্ত, শিক্ষক আব্দুস সালাম, সালাউদ্দীন প্রমুখ। মানববন্ধন শেষে কেশবপুর থানার এসআই ফকির ফেরদৌস সঙ্গিয় ফোর্স নিয়ে সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তদন্ত করেন। এ সময় তিনি স্কুল কর্তৃপক্ষ ও শঙ্কর পালসহ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের বক্তব্য শোনেন।
ওই বিদ্যালয়েল অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সামিয়া আফরিন জানায়, কি কারণে মানববন্ধন জানিনা। স্যারেরা মানববন্ধনে আসতে বলেছেন তাই এসেছি।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান বলেন, স্কুলের জায়গা দখল করে ড্রেন নির্মাণের কাজ চলছে। ঘটনার দিন আমিসহ অন্যান্য শিক্ষকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারকে স্কুলের জায়গা ছেড়ে দেয়ার কথা বলি। তখন শঙ্কর পাল সড়ক ও জনপদ বিভাগ ও ঠিকাদারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে আমাদের কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ও হুমকি প্রদান করে।

পাল মেডিকেলের সত্ত্বাধিকারী শঙ্কর পাল বলেন, ঘটনার দিন প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষকরা ঠিকাদারের লোক জনের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হন। এ সময় আমি তাদেরকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করি এবং প্রধান শিক্ষককে বলি বেশ কিছু দিন ধরে কাজ করার পর এখন বাধা দিয়ে কাজ বন্ধ করার চেষ্টা করছেন কেন। ঘটনাকে স্কুল কর্তৃপক্ষ ভিন্ন খাতে নেয়ার অংশ হিসেবে তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে।
এদিকে, বাংলাদেশ ক্যামিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতি কেশবপুর শাখা বিষয়টি নিয়ে বুধবার দুপুরে জরুরী বৈঠকে বসেছে। অন্যদিকে, কেশবপুর সর্বজনীন কালীমন্দীর কমিটি এ মানববন্ধনের আয়োজন করায় প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহিন বলেন, পুলিশকে না জানিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক তার ব্যক্তি স্বার্থ উদ্ধারের জন্য এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছেন। তবে বিষয়টি নিরসনে উভয় পক্ষকে থানায় ডাকা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন