বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কন্যা হত্যার বিচার চেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে অসহায় পিতার অবস্থান

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ এপ্রিল, ২০১৯, ২:৫৩ পিএম

‘হয় আপোষ করো, না হয় মরো’- একমাত্র মেয়ের হত্যা মামলা তুলে নিতে এভাবেই এক বাবাকে হুমকি দিচ্ছে আসামি পক্ষের লোকজন। মেয়ে কামরুন নাহার তুর্ণার হত্যার বিচার ও নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বুধবার দুপুর ১২টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ মফিজুল হক। তুর্ণার ছবি সংবলিত একটি ব্যানার গলায় ঝুলিয়ে একাই অবস্থান নেন তিনি। মৃত্যুর আগে মেয়ে হত্যার বিচার দেখে যাওয়ার আকুতি জানান এই অসহায় বাবা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারতলা গ্রামের আমিরুল হকের ছেলে আরিফুল হক রনির সঙ্গে পারিবারিকভাবে তাঁর চাচাতো বোন কামরুন নাহার তুর্ণার বিয়ে হয়। তাঁদের একটি মেয়ে সন্তানও রয়েছে। বিয়ের পরই তাঁদের মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে কলহ দেখা দেয়। এই কলহের জের ধরে গত ২০১৭ সালের ২৪ এপিল তুর্ণাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন রনি। হত্যার সময় তুর্ণা তিন মাসের অন্তঃস্বত্বা ছিলেন। হত্যার পর তুর্ণার মরদেহ বাড়ির একটি পরিত্যক্ত পানির ট্যাঙ্কে লুকিয়ে রাখা হয়। এ ঘটনায় তুর্ণার স্বামী রনিকে আসামি করে ২৫ এপ্রিল আশুগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন মফিজুল হক। পরে ওই বছরের ২১ মে আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক রনিকে কারগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে জামিনে কারামুক্ত হন রনি। ইতোমধ্যে আদালতে হত্যা মামলা অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এরপর থেকেই মামলা তুলে নিয়ে আপোষ করার জন্য তুর্ণার বাবা মফিজুল হককে নানাভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন রনি ও তাঁর পরিবারের লোকজন।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে মফিজুল হক সাংবাদিকদের বলেন, আসামি পক্ষের লোকজন আমাকে বারবার হুমকি দিচ্ছে আপোষ না করলে আমাকে মেরে ফেলবে। আমার তো কোনো ওয়ারিশ নেই, তাই আমাকে হত্যা করেলে আমার বিচার চাওয়ারও কেউ নাই। সেজন্য আমাকে এলাকার সর্দারদের দিয়ে চাপ দিচ্ছে মামলা তুলে নিতে। আমি একা অহসায় অবস্থায় আছি, আমার কেউ নেই। আমি বিপদে আছি। আমার মেয়ের হত্যার বিচার যেন হয়, আসামির যেন সর্বোচ্চ শাস্তি হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপাপ্ত পুলিশ সুপার) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, মফিজুল হক তাঁকে হুমকি দেয়ার কোনো অভিযোগ থানায় করেছেন কিনা সেটি আমার জানা নেই। তবে অভিযোগ করে থাকলে বিষয়টি তদন্ত করে বিয়ষটি আদালতকে জানানো হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন