বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ইসলামি বিধান মেনে চলা দেশের তালিকার শীর্ষে আয়ারল্যান্ড, ১৩১ সৌদি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ এপ্রিল, ২০১৯, ৫:৫১ পিএম

যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও বাণিজ্য বিভাগের প্রফেসর হুসেইন আসকারি সম্প্রতি ইসলামের বিধান মেনে চলার ব্যাপারে গবেষণাকর্ম সম্পন্ন করেছেন। সেই গবেষণায় তিনি দেখার চেষ্টা করেছেন, বিশ্বের কোন দেশগুলোতে দৈনন্দিন জীবনে ইসলামি বিধান মেনে চলা হয়।

গবেষণার নমুনায় দু'শ আটটি দেশ ছিল। সেসব দেশের মধ্যে কারা কতটা রাষ্ট্র পরিচালনা ও সমাজের মধ্যে ইসলামি বিধান মেনে চলে, সেসব বিবেচনা করা হয়েছে।

গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, ইসলামি রীতি মেনে চলা দেশের তালিকার শীর্ষে ইসলামি কোনো দেশের নাম নেই। এমনকি তালিকার ৩৩ নম্বরে রয়েছে মালয়েশিয়া এবং কুয়েত রয়েছে ৪৮ এ।

গবেষক হুসেইন আসকারি বলেন, মুসলিম দেশগুলো রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য ইসলামি আইন ব্যবহার করে। এমন অনেক দেশ আছে; যেগুলো ইসলামি রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত। তবে সেখানকার সমাজে ইসলামি আইন মেনে চলা হয় না, দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে, এমনকি ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ড চলছে সেখানে।

গবেষণার ফলাফলে দেখানো হয়েছে, সমাজে ইসলামি বিধান মেনে চলার ক্ষেত্রে আয়ারল্যান্ড, ডেনমার্ক, সুইডেন, যুক্তরাজ্য, নিউজিল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে ও বেলজিয়াম তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের দেশ বাহরাইন ৬৪ নম্বরে এবং সৌদি আরব রয়েছে একশ ৩১ নম্বরে।

অন্যদিকে তথাকথিত ইসলামি দেশগুলোতে মুসলমানরা নামাজ আদায় করেন, রোজা রাখেন, কোরআন-হাদিস পড়েন, নারীরা পর্দা মেনে চলে, দাড়ি রাখার সংখ্যা বেশি, ইসলামি পোষাক নিয়ে সচেতন; তবে সমাজে দুর্নীতি আর পেশাগত জীবনে অসদুপায় অবলম্বনের নজির চতুর্দিকে।

এর আগে ২০১০ সালেও এক গবেষণায় ইসলামি বিধান মেনে চলা দেশগুলোর তালিকার শীর্ষে ইসলামি রাষ্টের নাম ছিল না। ওই গবেষণায় নিউজিল্যান্ড, লাক্সেমবার্গ, আয়ারল্যান্ড, আইসল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া এবং নেদারল্যান্ড ছিল তালিকার শীর্ষে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (12)
saif ১১ এপ্রিল, ২০১৯, ৯:৫৮ এএম says : 1
আসলেই তাই, যে দেশের সমাজ ও শাসন ব্যবস্তা থেকে ইসলাম উঠে যাবে তাদের অবস্থা আল্লাহ্‌ ই ভালো জানেন।
Total Reply(0)
কাফী ১১ এপ্রিল, ২০১৯, ৮:৫৩ পিএম says : 4
এরকম ফালতু গবেষণা যা জীবনে দেখিনি। কাফেরদের দ্বারা পরিচালিত সবচেয়ে নিকৃষ্ট গবেষণা।
Total Reply(0)
মোস্তফা কামাল ১১ এপ্রিল, ২০১৯, ৯:৫৬ পিএম says : 4
মনে হয় ক দিন পর কবরস্থানের নাম আসবে। যে দেশে মুসলমানই নাই সে দেশ ইসলামী আইন মানায় ফাস্ট। শয়তানী ছাড়া কিছুই না এখানে দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে মুসলমানরা ইসলাম মানে না তাহলে কি কাফেররা ইসলাম মানে?
Total Reply(0)
Maolana masudur rahman bikrampuri ১৫ এপ্রিল, ২০১৯, ২:১৭ পিএম says : 0
গবেষনাটির যথেষ্ঠ গুরুত্ব রয়েছে। আমরা মুসলমানরা যেকোন কাজে ইসলাম শব্ধ ব্যাবহার করলেই সেটাকে ইসলামি বলি। কিন্তু ইসলামের প্রকৃত অনুশাসন মেনে চলিনা। ইসলামি বলে ইসলাম বিরোধী কার্য কলাপ পরিচালনা করতে দিধা করিনা। তবে ইসলামি অনুশাসন মানা আর মুসলমান হওয়া এক জিনিস নয়। ইসলামি অনুশাসন মানা হলে সমাজে এবং রাষ্টে অশান্তি থাকতে পারেনা। বিষয়টি যারা অনুধাবন করেছে তারা ইসলামি অনুশাসনকে তাদের জীবনে বাস্তবায়ন করেছে। সেচাই মুসলমান হোক চাই না হো। অধিকাংশ মুসলমানদের মধ্যে ইসলামি অনুশাসন মানার বালাই নেই কিন্তু কারো কোন কথায় একটু হেরফের হলেই ফিতনা সৃষ্টি করে সমাজ ও রাষ্টে অশান্তি সৃষ্টি করে তুলি। লেবাস আর সুরত মূল উদ্দেশ্য নয় বরং ইসলামি অনুশাসন মানাই মূল উদ্দেশ্য। ইসলামি অনুশাসন যেকেহই মেনে চলতে পারে। আসুন বড় বড় কথা বলে সমাজে ফিতনা সৃষ্ট না করে বাস্তবতা কে মেনে নেয়া।
Total Reply(0)
Md. Altaf Hossain ১৫ এপ্রিল, ২০১৯, ৩:১৫ পিএম says : 0
ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানকে তালিকায় কত নম্বর স্থান দেয়া হয়েছে তা জানতে পারলে ভালো হতো।
Total Reply(0)
Shamsul Haque ১৬ এপ্রিল, ২০১৯, ৫:০৪ এএম says : 0
যে সব ইউরোপিয়ান দেশ গুলোর কথা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে তাদের জনগণের যদি শুধু ঈমান থাকতো আমি মনেকরি আমরা যারা মুসলিম বলে দাবি করি আল্লাহ আমাদের চেয়ে ওদের হিসাব সহজ করে দিতেন।
Total Reply(0)
taijul Islam ১৬ এপ্রিল, ২০১৯, ১১:১০ এএম says : 0
রকম ফালতু গবেষণা যা জীবনে দেখিনি।
Total Reply(0)
Mainuddin Sujan ১৯ অক্টোবর, ২০২০, ২:২২ এএম says : 0
গবেষণাটি অমুলক মনে হয়নি আমার মতে। মুসলমান হিসেবে ব্যক্তি জীবনে ইসলাম পালনে তেমন গাফিলতি আছে,, রাষ্ট্র রাজনীতি নিয়ে ইসলামের শিক্ষকদের সঠিক কথা গুলো মানুষের বুঝানোর ব্যর্থতাও আছে,, এ অবস্থায় তা হবার তাই হয়েছে।
Total Reply(0)
Mainuddin Sujan ১৯ অক্টোবর, ২০২০, ২:২২ এএম says : 0
গবেষণাটি অমুলক মনে হয়নি আমার মতে। মুসলমান হিসেবে ব্যক্তি জীবনে ইসলাম পালনে তেমন গাফিলতি আছে,, রাষ্ট্র রাজনীতি নিয়ে ইসলামের শিক্ষকদের সঠিক কথা গুলো মানুষের বুঝানোর ব্যর্থতাও আছে,, এ অবস্থায় তা হবার তাই হয়েছে।
Total Reply(0)
Mainuddin Sujan ১৯ অক্টোবর, ২০২০, ২:২২ এএম says : 0
গবেষণাটি অমুলক মনে হয়নি আমার মতে। মুসলমান হিসেবে ব্যক্তি জীবনে ইসলাম পালনে তেমন গাফিলতি আছে,, রাষ্ট্র রাজনীতি নিয়ে ইসলামের শিক্ষকদের সঠিক কথা গুলো মানুষের বুঝানোর ব্যর্থতাও আছে,, এ অবস্থায় তা হবার তাই হয়েছে।
Total Reply(0)
ফয়জুল হক ১০ ডিসেম্বর, ২০২১, ৭:১৯ এএম says : 0
আমার মনে হয় গবেষণাটি অমূলক নয়। কথা হচ্ছে ষারা মুসলিম তারা কিভাবে ইসলাম চর্চা করতে পারে। আসলে তাদের ঈমান নেই। কিন্তু ইসলামের বিভিন্ন বিধানের চর্চা আছে, যেগুলো অন্য ধর্মেও স্বীকৃত। ষেমন মিথ্যা বলা, প্রতারণা করা, অপরকে৷ ঠকানো, আমানতের খতিয়ান করা, প্রতিশ্রুতি না রাখা, অন্যের মেরে খাওয়া, চোগলখোরি করা,গীবত করা, পণ্যদ্রব্যে ভেজাল মেশানো, ডিউটি ফাঁকি দেওয়া, সময়মত ডিউটিতে না আসা,দেশের স্বার্থ বিরোধী কাজ করা, অন্যের অধিকার সম্পর্কে সচেতন না থাকা, শ্রমের সঠিক মর্যাদা না দেওয়া এ সবই ইসলামে নিষিদ্ধ। কিন্তু আমরা বা আমাদের মুসলিম প্রধান দেশগুলোতে ব্যক্তিগতভাবে অথবা রাষ্ট্রীয় ভাবে কতটুকু মানা হয়। এসব বিধিবিধান মেনে চলার ব্যাপারে অন্যান্য দেশ আমাদের মুসলিম প্রধান দেশগুলো থেকে এগিয়ে আছে। তবে তাদের এ মেনে চলাটা সামাজিক শান্তি সুস্থিতি উন্নতি বিধানের লক্ষ্যে চর্চিত হয় পরকালে মুক্তি পাওয়ার জন্য নয়—নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে।
Total Reply(0)
আ রউফ প্রধান ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৫:৪০ এএম says : 0
শিরো নাম হওয়া উচিৎ ছিল "ইসলামী বিধি নিষেধ যাদের মধ‍্যে বেশী পরিলক্ষিত হয় তাদের তালিকা।" ওরা তো এগূলো শরীয়া হিসেবে মানেনা এগুলো ভালো তাই বাস্তব জীবনে চর্চা করে। মুসলমানরা মুখে শ্বীকার করে কিন্তু বি শ্বাস করে করলে তো চর্চাই করত।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন