শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

টানা দরপতনে বিক্ষোভ

শেয়ারবাজার

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ১১ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

শেয়ারবাজারে দর পতনের প্রতিবাদে গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সামনে বিক্ষোভ করেছে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা। অব্যাহত দরপতনের জন্য তারা বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেনকে দায়ী করে তার পদত্যাগের দাবিতে শ্লোগান দেয়। তারা বলেন, পরিস্থিতির উন্নতি না হলে তারা কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।
ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা রাজধানীর মতিঝিলে ডিএসই কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় ডিএসই কার্যালয়ের সামনে মতিঝিলের শাপলা চত্বরমুখী ব্যস্ত রাস্তা কিছু সময়ের জন্য অবরোধও করেন বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা। তবে পুলিশের হস্তক্ষেপে তারা অবরোধ তুলে নেন।
বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভের আগে গতকাল বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন ব্রোকারেজ হাউসের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে চলমান দরপতনে করণীয় নির্ধারণে বৈঠক করে ডিবিএ। ওই বৈঠকে ডিএসইর একাধিক পরিচালকও উপস্থিত ছিলেন। ডিবিএ ও বিএমবির নেতারা বলেছেন, স্বল্পমেয়াদি কিছু পদক্ষেপ দিয়ে বাজারের চলমান তারল্য সংকট ও বিনিয়োগকারীদের আস্থার সংকটকে সম্পূর্ণরুপে দূর করা যাবে না। এজন্য দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত সংকটগুলো সমাধানে বিএসইসিকে জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে। শেয়ারবাজারের দরপতন ঠেকাতে গত মঙ্গলবার নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ সংশ্নিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে দফায় দফায় মিটিং-সিটিং হয়। শেয়ার বিক্রির চাপ কমাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ প্রভাবশালী মহল থেকে বড় ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকের কাছে ফোন গেছে। শেয়ার কেনার জন্য রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ সংস্থা আইসিবিকেও বলা হয়েছে। এত কিছুর পরও ফলাফল শূন্য। শেয়ারবাজারে লাগাতার দরপতন অব্যাহত আছে। দরপতনে পুঁজি হারিয়ে বিনিয়োগকারীরা মতিঝিলে বিক্ষোভ ও কিছু সময়ের জন্য সড়ক অবরোধ করেন। এমন প্রেক্ষাপটে দরপতন যাতে আরও গভীর না হয়, তার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি গতকাল বিকেলে বাজারের প্রধান স্টেকহোল্ডার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, ব্রোকারদের সংগঠন ডিবিএ, মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর সংগঠন বিএমবিএর নেতা এবং বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন ব্রোকারেজ হাউসের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন। বৈঠকে সংশ্নিষ্টদের দাবির মুখে দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্রোকারেজ বুথ স্থাপনের অনুমতি দিতে রাজি হয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। এছাড়া শেয়ারের ক্রয় চাহিদা বাড়াতে ‘স্ট্ক্রিপ নেটিং’ অর্থাৎ একই দিনে একই শেয়ার কিনে বিক্রির সুযোগ প্রদানের বিষয়ে সম্মত হয়েছে বিএসইসি। সংশ্নিষ্টদের দাবি,এতে শেয়ার কেনাবেচা বাড়বে এবং দরপতন বন্ধ করতে কিছুটা সহায়তা করবে।
সংশ্নিষ্টদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন আইনের মধ্যে থেকে যা কিছু করার তা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর সংগঠন বিএমবিএর সভাপতি ও লংকাবাংলার শেয়ারবাজার উইংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসিরউদ্দিন চৌধুরী বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা, বিশেষত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলো চাইলেও এ সময়ে বিনিয়োগ করতে পারছে না। কারণ ব্যাংক কোম্পানি আইনের মাধ্যমে তাদের বিনিয়োগ করার সুযোগ হ্রাস করা হয়েছে।
এদিকে সংবাদ সম্মেলন করে ডিবিএর সভাপতি শাকিল রিজভী বলেছেন, চলতি দরপতনের বড় কারণ তারল্য সংকট। বিনিয়োগকারীদের নতুন করে বিনিয়োগ করার সামর্থ্য নেই। এ অবস্থায় স্বল্পমেয়াদে বাজারে নতুন বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে যেসব এলাকায় ব্রোকারেজ হাউস নেই, সেখানে ব্রোকারেজ হাউসগুলোর বুথ বা সার্ভিস সেন্টার করার অনুমতি প্রদানের দাবি জানানো হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন