শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

লাগাতার ঝড়ে চাঁদপুরে বিদ্যুতের ক্ষয়-ক্ষতি

চাঁদপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:২৪ পিএম

চৈত্র মাসেই বয়ে যাচ্ছে একের পর এক কালবৈশাখী ঝড়। ঋতু অনুযায়ী চৈত্র মাসে প্রখর রোদ পড়ার কথা। কিন্তু চিরায়ত সেই আবহ এবার দেখা যাচ্ছে না। চৈত্র মাস প্রায় শেষের পথে। চৈত্রের খরতাপ নেই। আবহাওয়া অনেকটা ঠান্ডা-শীতল। এবার চৈত্র মাস থেকেই শুরু হয়ে গেছে ঝড়-বৃষ্টি। তাও স্বাভাবিক ঝড়-বৃষ্টি নয়। যাকে বলে কালবৈশাখী ঝড়। সাথে যেনো আষাঢ়-শ্রাবণের বৃষ্টি।

চৈত্র মাসে এমন ঝড়-বৃষ্টি অতীতে কেউ দেখেননি। আর এ ঝড় এবং অসময়ের বৃষ্টিতে নানাদিক দিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। অসময়ের বৃষ্টিতে আলুর সর্বনাশ হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে বিদ্যুত সরবরাহে। লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়া বিদ্যুতায়িত তারে জড়িয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।

চাঁদপুর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের তথ্য মতে, গত ১৫ দিনে ঝড়ে চাঁদপুরে পিডিবির প্রায় ১৭টি পিলার ভেঙ্গে পড়েছে। অসংখ্য তার ছিঁড়েছে। এমনকি কয়েকটি ট্রান্সফর্মারও জ্বলে গেছে।

ঝড় আসলেই চাঁদপুরে বিদ্যুৎ চলে যায় তার কারণ কী? জবাবে পিডিবির সহকারী প্রকৌশলী মোঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, স্বাভাবিক বাতাস বা বৃষ্টি হলে বিদ্যুৎ নেয়া হয় না। কিন্তু যখন দেখি প্রচন্ড বাতাস বইছে, ঝড় হচ্ছে, তখনই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিই। কারণ হচ্ছে, প্রচন্ড ঝড়ে বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে যাচ্ছে, তার ছিঁড়ে যাচ্ছে, ব্যানার-সাইনবোর্ড-ঘরের চালা উড়ে এসে বিদ্যুতের তারের উপর পড়ছে। এতে বিদ্যুতের যেমন ক্ষতি হচ্ছে, তেমনি জানমালেরও ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। তাই একথা সত্য প্রচন্ড ঝড়ের আভাস দেখলে এবং ঝড় শুরু হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয় হয়। তিনিই জানান, গত ১৫ দিনে ঝড়ে চাঁদপুরে পিডিবির প্রায় ১৭টি পিলার ভেঙ্গে পড়েছে এবং অসংখ্য তার ছিঁড়ে গেছে। এ কারনে ঝড় শুরু হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা যায় না।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন