শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ভারত কেনার আগেই রাফালের প্রশিক্ষণ নিয়েছে পাক পাইলটরা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ এপ্রিল, ২০১৯, ৪:২১ পিএম

কাতারের বিমানবাহিনীর হাতে থাকা রাফাল যুদ্ধবিমানের সাহায্যে নিজেদের পাইলটদের এই বিমান ওড়ানো শিখিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। ২০১৭ সালের নভেম্বরেই ফ্রান্সের মাটিতে চলে ওই প্রশিক্ষণের কাজ। সদ্য প্রকাশিত এ ধরনের একটি রিপোর্টে উদ্বেগে পড়ে গেছে ভারত। কারণ, অত্যাধুনিক রাফাল যুদ্ধবিমানের সাহায্যেই আকাশযুদ্ধে নিজেদের এগিয়ে রাখার পরিকল্পনা ছিল ভারতের।

এআইএন অনলাইন ডটকম নামের একটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এই রিপোর্ট। যাতে বলা হয়েছে, ‘২০১৭ সালের নভেম্বরে কাতারের হয়ে যে পাইলটরা রাফাল বিমান ওড়ানোর প্রশিক্ষণ পেয়েছেন, তারা প্রত্যেকেই পাকিস্তানি বিমানবাহিনীর অফিসার।’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের মতোই ফ্রান্সের কাছ থেকে রাফাল কিনতে চুক্তিবদ্ধ কাতার। রাফাল যুদ্ধবিমান প্রস্তুতকারক দাসোঁ অ্যাভিয়েশনের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা প্রেস বিবৃতি থেকে দেখা যাচ্ছে, ২০১৫ সালে ফ্রান্সের কাছ থেকে ২৪টি যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি করে কাতার। ২০১৭ সালে কাতার আরও ১২টি রাফাল যুদ্ধবিমান কিনতে নতুন চুক্তি করে ফ্রান্সের সঙ্গে। প্রথম দফার ২৪টি যুদ্ধবিমানের জন্য চুক্তির অর্থমূল্য ছিল প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। সেই যুদ্ধবিমান চালানোর জন্য প্রশিক্ষণ নিতেই কাতার থেকে ফ্রান্সে গিয়েছিল পাইলটদের একটি দল। সেই দলেই ছিলেন পাকিস্তানি পাইলটরা, এমনটাই দাবি এআইএন অনলাইন ডটকমের।

দাসোঁ অ্যাভিয়েশনের যে কর্মকর্তারা এখন ভারতে আছেন, তাদের এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তারা এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, কাতার এয়ার ফোর্সের হয়ে পাকিস্তানি পাইলটরা রাফাল ওড়াতে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, এই রকম কোনো খবর তাদের কাছে নেই। নয়াদিল্লিতে ফরাসি দূতাবাসের তরফেও এই খবরটিকে ভুয়া বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও দাসোঁ অ্যাভিয়েশনের ফ্রান্সের অফিস থেকে এ নিয়ে এখনও কোনো বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি।

মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বরাবরই সামরিক সহযোগিতার সম্পর্ক রয়েছে পাকিস্তানের। এই অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে মোতায়েনও থাকেন পাকিস্তানি সেনা। জর্ডানের মতো দেশের কাছ থেকে সরাসরি সামরিক সহযোগিতা পেয়ে থাকে পাকিস্তান। কিছু দিন আগেই ইসলামাবাদকে ১৩টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দিয়েছিল জর্ডান। বালাকোটে ভারতীয় বিমানবাহিনীর অভিযানের পর নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে যে যুদ্ধবিমানগুলি ভারতের আকাশে হামলা চালাতে এসেছিল, তার মধ্যে জর্ডানের দেওয়া যুদ্ধবিমানও থাকতে পারে, এমনটাই অনুমান বিশেষজ্ঞদের।

বিভিন্ন পাক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ইসলামাবাদে পাক বিমানবাহিনীর সদর দফতরে গিয়েছিলেন কাতারের বিমানবাহিনীর প্রধান। সে সময় পাকিস্তানি বিমানবাহিনীর প্রধান বলেছিলেন, ‘সামরিক ক্ষেত্রে পাক বিমানবাহিনীকে সব রকমের সাহায্য করতে প্রস্তুত কাতার।’

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরেই ভারতে আসতে চলেছে রাফাল যুদ্ধবিমান। তার আগেই পাকিস্তানি পাইলটরা এই বিমান ওড়ানোর প্রশিক্ষণ নিয়ে ফেললে তা যথেষ্ট উদ্বেগের ভারতের কাছে। কারণ, ভারত তার নিজের পছন্দ মাফিক রাফাল যুদ্ধবিমানে বেশ কিছু রদবদল করার পরই তা কিনতে সম্মত হয়েছে। তাই কাতারের কেনা যুদ্ধবিমানের সঙ্গে ভারত যে রাফাল কিনছে, তার ফারাক থাকলেও এই বিমানের রাডার ব্যবস্থা দুই দেশের ক্ষেত্রেই এক। অত্যাধুনিক এই রাডার ব্যবস্থা থাকলে বিমান ওড়ানোর সময়ই পাইলটরা টের পেয়ে যান, আকাশ বা সমুদ্রের কোথায় বিপদ লুকিয়ে আছে বা কোন জায়গা থেকে আঘাত হানার প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রতিপক্ষ। এখন এই রাডার ব্যবস্থা পাকিস্তানের হাতে থাকলে ভারতের রাফাল আকাশে উড়লেই পাক সেনারা তার হালহকিকত জেনে ফেলতে পারবে খুব সহজেই।

ভারতীয় বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত পাইলট অংশুমান মইনকার বলেছেন, ‘প্রশিক্ষণ নেওয়া থাকলে তারা জেনে যাবে, এই যুদ্ধবিমানের অস্ত্রব্যবস্থা কেমন। কতক্ষণ আকাশে উড়তে পারে। কীভাবে এই বিমান অভিযান চালায়, এই সব কিছুই।’

অর্থাৎ, রাফাল হাতে থাকলে ভারতীয় বিমানবাহিনীর আক্রমণের কৌশল কী হতে পারে, তা নিয়ে পাকিস্তানি বিমানবাহিনীর কাছে আর কিছুই অজানা থাকবে না। সূত্র: এনডিটিভি।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
ওবাইদুল ১৩ এপ্রিল, ২০১৯, ৮:১৮ পিএম says : 0
পাকিস্তান নিয়ে ভারতের ওন লাইন পত্রিকা গুলিতে যা প্রকাশ হয় তার সবই গুজব ।
Total Reply(0)
Mohammed Kowaj Ali khan ১৪ এপ্রিল, ২০১৯, ৫:৪৯ এএম says : 1
পাকিস্থান নয় ভারতের জন্য আতংক হচ্ছে বাংলাদেশ। ..........................
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন